Fuel Dumping এর ঘটনা দেখা অত্যন্ত সৌভাগ্যের ব্যাপার। কারণ, একমাত্র এমার্জেন্সি ল্যান্ডিং এর ক্ষেত্রে Fuel Dumping নচেৎ নহে। যেমন,
3 idiot সিনেমার একদম প্রথম দৃশ্যে ফারহান কুরেশির যেভাবে হৃদ যন্ত্রণা হয়েছিল বিমান রানওয়ে ছাড়তে না ছাড়তেই, ঠিক একই ভাবে আপনার বা আপনার ফ্লাইটের কোনো যাত্রীর এমার্জেন্সি কোনো সমস্যা হয়, তখন তাকে হসপিটালে পাঠানোর জন্য এমার্জেন্সি ল্যান্ডিং এর দরকার হয়, তখন পাইলট নিজেই ইচ্ছাতেই বিমান থেকে অতিরিক্ত তেল ফেলে দেয়, যেটাকে বলা হয় Fuel Dumping ।
এক্ষেত্রে ব্যাপারটি পুরোপুরি বোঝার জন্য, তিনটি শব্দ জানা জরুরী,
- Dry Operating Weight:- বিমানবন্দরে বিমানে প্রথমে কোনো জ্বালানি তেল থাকে না, এবং কোনো যাত্রীও থাকে না বিমানের মধ্যে। এই অবস্থায় বিমানের ওজন কে বলা হয় Dry Operating Weight।
- Zero Fuel Weight:- এরপর বিমানে যাত্রী এবং সকল বিমান ক্রু উঠে যাওয়ার পর পুরো বিমানের যে ওজন হয়, সেটাকে বলা হয় Zero Fuel Weight(এই অবস্থায় বিমানে জ্বালানি তেলে থাকে না) ।
- Take Off Weight:- এরপর এই যাত্রী ভর্তি বিমানে যখন তেল ভর্তি করা হয়, তখন তেল সহ পুরো বিমানের ওজনকে বলা হয় Take Off Weight। অর্থাৎ, Take Off Weight=Zero Fuel Weight + Fuel Weight
ধরুন কোনো বিমানের Take off Weight Limit ১২ লাখ পাউন্ড, অর্থাৎ বিমানটি জ্বালানি তেল+নিজের ওজন+যাত্রীর ওজন মিলিয়ে ১২ লাখ পাউন্ড ওজন নিয়ে নিরাপদ ভাবে উড়তে সক্ষম। ১২লাখ পাউন্ডের কম ওজন হলেও সমস্যা নেই, তবে ১২ লাখ পাউন্ডের বেশি হলে দূর্ঘটনা হতেই পারে।
এর পর ধরুন,বিমানের Landing Weight Limit ১১ লাখ পাউন্ড। অর্থাৎ বিমানটি ওড়ার সময় যা ওজন থাকবে, ল্যান্ডিং করার সময় তার থেকে কম ওজন হয়ে যাবে, যেটা অবশ্যই ল্যান্ডিং ওজন সীমাবদ্ধতার মধ্যেই থাকতে হবে।
আর এই ওজনটি কমার কারণ, বিমানে দূরত্ব অনুযায়ী হিসেব নিকেষ করে জ্বালানি তেল ভরা হয়, যাত্রা পথে অতিক্রমের সাথে সাথে বিমানের জ্বালানি তেল দহন হতে থাকে, যার কারণে বিমানের ওজন কমে যায়।
এবার ধরুন ১০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার জন্য উপযুক্ত পরিমানে জ্বালানি তেল ভর্তি করা হয়েছে বিমানে। কিন্তু এমার্জেন্সি কারণে ১০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার পরেই ল্যান্ডিং করতে বাধ্য হয়েছে, এই অবস্থায় বিমান থেকে কিছু পরিমাণ জ্বালানি তেল ফেলে দিয়ে বিমানের ওজনকে Landing Weight Limit এর মধ্যে নিয়ে আসা হয়, যাতে সুরক্ষিত ভাবে বিমানটি অবতরণ করতে পারে।
এক্ষেত্রে একটা ব্যাপার মাথায় রাখা দরকার, উত্তরণের সময় বিমানকে মাধ্যাকর্ষণ বলকে অতিক্রম করতে হয়। কিন্তু অবতরণের সময় বিমানের পরিকাঠামোর উপর অনেক বেশি পরিমাণ ঘাতের প্রভাব পড়ে, এছাড়া তাপীয় সংকোচন প্রসারণ এর দারুন প্রভাব থাকে এই সময়। যার কারণে যতোটা সম্ভব কম ওজনে বিমানকে অবতরণ করাতে হয়।
- Quora