সিনেমায় অনেক কিছুই ভুল দেখানো হয়। যেমন:
পিন খোলা
সিনেমায় দেখানো হয় নায়ক খুব সহজেই এক টানে গ্রেনেড থেকে পিন খুলে ফেলেছে। কিন্তু বাস্তবে এটা এত সহজ না। নিরাপত্তার জন্য গ্রেনেডের পিনের দুই মাথা এভাবে ছবির মতো বাঁকানো থাকে। এটা খুলতে অনেক শক্তি লাগে তাই শুধু অভিজ্ঞরাই এটা খুলতে পারে।
ছোড়ার পদ্ধতি
সিনেমা-ভিডিও গেমে সাধারনত গ্রেনেড ছুড়ে মারা হয় কিছুটা উপরে নিশানা করে অনেকটা রংধনুর মতো। কিন্তু এভাবে গ্রেনেড মারা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ শত্রুপক্ষ চাইলে সহজেই গ্রেনেডটি ক্রিকেট বলের মতো ক্যাচ নিয়ে আবার ছুড়ে দিতে পারে। তাই এটা ছোড়া হয় একদম সোজা যথাসম্ভব শক্তি দিয়ে। তাহলে গ্রেনেডটি ঘুরতে থাকবে আর ড্রপ খেলে স্পিন বোলিং এর মতো অন্যদিকে ঘুরে যাবে। এতে গ্রেনেডটি সহজে শত্রুপক্ষের চোখে পড়বে না।
বিস্ফোরণ
একটা গ্রেনেড বিষ্ফোরন দেখতে অনেকটা বড়সড় বাজি ফোটার মতোই। একটু আলোর ঝলকানি, কিছু ধোঁয়া আর ধুলা এইটুকুই। রাতে কিছু আলো হয়। কিন্তু সিনেমায় দেখানো পারমাণবিক বোমার মতো বিশাল আগুনের গোলার ছিটেফোটাও থাকে না।
শব্দ
বড় বিস্ফোরণ না হলে কি হবে, গ্রেনেড আবার প্রচন্ড শব্দ করে ফাটে। আমি আগে কসোভোতে কাজ করেছি। সেখানে আমাদের ঘাঁটির সামনে একরাতে বন্ধুর সাথে মজা করে গ্রেনেড মেরেছিলাম। শব্দ শুনে আমাদের কমান্ডার ছুটে এসে জানতে চাইলো কি হয়েছে। আমরা বললাম হয়তো ন্যাটোর কোনো বিমান আশেপাশে বোমা ফেলেছে (মিথ্যা বলেছি কারণ এভাবে গ্রেনেড ছোড়ার নিয়ম নেই)। কমান্ডার আবার আমাদের কথা ঠিকই বিশ্বাস করেছিল।
ক্ষতি
সিনেমায় সাধারনত দেখায় গ্রেনেডে মানুষ মারা যায় আগুনে পুড়ে। কিন্তু মানুষ আসলে মরে এই কারণে
গ্রেনেডের ভিতরে এভাবে শত শত লোহার টুকরা থাকে, অনেকে এগুলোকে স্প্লিন্টার নামে চেনে। বিস্ফোরিত হলে স্প্লিন্টার গুলো চারিদিকে ছিটকে যায়। আপনি যদি বিস্ফোরণের ৫ মিটারের মধ্যে থাকেন তাহলে স্প্লিন্টারের আঘাতে তৎক্ষণাৎ মারা যাবেন। ১৫ মিটারের মধ্যে থাকলে প্রাণে বেঁচে গেলেও গুরুতর আহত হবেন। এমনকি বাকি জীবন শরীরের ভেতর স্প্লিন্টার নিয়ে পার করতে হতে পারে। তাছাড়া বিস্ফোরনের শক ওয়েভে আপনার হাত-পাও উড়ে যেতে পারে।