অটিজম নিয়ে ভুল ধারণা কী কী? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
307 বার দেখা হয়েছে
"তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে করেছেন (135,480 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (135,480 পয়েন্ট)
আমাদের অনেকের ধারণা, অটিজম একটি বংশগত রোগ। এটা সম্পূর্ণভাবে ঠিক নয়। সম্পূর্ণ সুস্থ বাবা মায়েরও অটিস্টিক শিশু হতে পারে। আবার অনেকের ধারণা সঠিক পরিচর্যার অভাবে শিশু অটিস্টিক হতে পারে। এটাও কিন্তু ঠিক নয়।

আসলে অটিজম কোনো রোগ নয়।

অটিস্টিক শিশুকে অনেকে বাবা মায়ের অভিশাপ বলে থাকেন, কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল এবং ভিত্তিহীন। অনেক শিশু জন্ম ও স্বভাবগতভাবেই একটু বেশি অস্থির, চঞ্চল, রাগী অথবা জেদি প্রকৃতির হতে পারে। এতেই কিন্তু বোঝা যায় না যে শিশুটি অটিস্টিক। শিশুর কোন আচরণে অটিজমের লক্ষণ প্রকাশ পেলে দেরি না করে প্রাথমিক অবস্থাতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আমাদের সমাজের নানান ভুল ধারনা ও কুসংস্কারের ফলে অনেক শিশুর ভুল চিকিৎসা হয়ে থাকে, যা শিশুর জীবনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

তবে উভয়ক্ষেত্রেই দেখা গেছে মহিলারা বেশি বয়সে বাচ্চা নিলে এসব মানসিক ও শারিরীক সক্ষমতার ঘাটতিজনিত রোগাক্রান্ত শিশুর জন্মহার বেড়ে যাবার আশংকা থাকে।
0 টি ভোট
করেছেন (3,170 পয়েন্ট)
Women's Corner
অটিজম সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা
অটিজম সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা
 ওমেন্সকর্নার ডেস্ক  ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
“অটিজম” বা “অটিস্টিক” শব্দটার সাথে আমরা সবাই ইদানীং কম বেশি সবাই পরিচিত। তবে অটিজম আসলে কি- এ ব্যাপারে খুব অল্প সংখ্যক মানুষের পরিস্কার ধারণা আছে। এটি না জানার মূল কারণ হচ্ছে এ সংক্রান্ত তথ্য সবার কাছে পৌছানোর মাধ্যমের অভাব। অটিজম সম্পর্কে সাধারণভাবে কিছু ভুল ধারণা আমাদের সমাজে প্রচলিত। গ্রামে কিছুদিন পূর্বে কিংবা বলা যেতে পারে এখনও মনে করা হয় অটিস্টিক শিশুরা ও ব্যাক্তিরা জিন বা ভুতের আছরের শিকার। কিংবা এও মনে করা হয় তারা পাগল। শুধু গ্রাম কেন শহরের অনেক স্থানে এই ধারনা বা এই চিত্র বিদ্যমান। অনেক শিক্ষিত লোকও এ বিষয় নিয়ে তাদের জ্ঞানকে অপ্রতুল মনে করেন। অনেক পরিবার বা ব্যাক্তি আছেন যারা অটিজম বা অটিস্টিক শব্দটির সাথে তখন পরিচিত হয়েছেন যখন তারা জানতে পেরেছেন যে তাঁদের পরিবারে বা তাঁদের কাছাকাছি কেউ এই অটিজম নামক সমস্যার মধ্যে অবস্থান করছে। অটিজম কি সমস্যা? হ্যাঁ এটা একটা সমস্যা। মনবিকাশগত সমস্যা। অনেকে এটাকে রোগ বলে অভিহিত করেন। কিন্তু  অটিজম কোনভাবেই রোগ নয়।

অটিজম কোন রোগ, বংশগত  বা মানসিক রোগ নয়, এটা স্নায়ুগত বা মানসিক  সমস্যা। এ সমস্যাকে ইংরেজিতে  নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার   বলে। অটিজমকে সাধারণভাবে শিশুর মনোবিকাশগত জটিলতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অটিজমের লক্ষণগুলো একদম শৈশব থেকেই, সাধারণত তিন বছর থেকে প্রকাশ পেতে থাকে। অটিজমে আক্রান্তরা সামাজিক আচরণে দুর্বল হয়, পারস্পরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে কম সক্ষম হয়। মানসিক সীমাবদ্ধতা ও একই কাজ বারবার করার প্রবণতা দেখা যায়। এই রোগে আক্রান্ত শিশু কারো সাথেই, সে সমবয়সী হোক কিংবা অন্য যে কোনো বয়সী কারো সাথে সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে না। নাম ধরে ডাকলেও সাড়া দেয় না। এরা অনেকেই আকার ইঙ্গিতে কথা বলতে পছন্দ করে।  এ ধরণের শিশু আপন মনে থাকতে পছন্দ করে। নিজের ইচ্ছের মত চলে। যখন যা করতে ইচ্ছে হয় তা করতে না পারলে এদের খিঁচুনি ভাব হয়। এরা কারো চোখের দিকে তাকায় না। কারো সাথে নিজের ব্যবহারের জিনিস পত্র শেয়ার করতে চায় না।  কারো দিকে তাকিয়ে হাসে না কিংবা আদর করলেও ততটা সাড়া দেয় না। অনেকে আবার আদর ও পছন্দ করে না। সাধারণভাবে অটিষ্টিক শিশুরা একই কথা বারবার বলে এবং একই কাজ বার বার করতে পছন্দ করে। তবে সকল অটিস্টিক শিশুরা একই রকম আচরন করবে তা ঠিক নয়।


 
অটিজম রোগ সম্পর্কে সাধারণত কিছু ভ্রান্ত ধারণা লক্ষ্য করা যায়। এসব ভ্রান্ত ধারনার কয়েকটি দেয়া হলো:


 
১. অনেক অভিভাবক মনে করেন, তাঁরা সন্তানকে বেশি সময় দেননি বলে তাঁর সন্তানের অটিজম হয়েছে। আবার অনেকে সান্ত্বনা দিয়ে থাকেন, শিশু দেরিতে কথা বলে বা ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে, যা সঠিক নয়। পিতা-মাতার দুর্বল অভিভাবকত্ব অটিজমের জন্য দায়ী নয়।

২. অটিজম একটি মানসিক রোগ। এখানে শারীরিক কোনো সমস্যা জড়িত নয়। অটিজমের সঙ্গে বিকাশগত অক্ষমতা ও নিওরোবায়োলোজিক্যাল ডিজঅর্ডার জড়িত।

৩. চিকিৎসা করালে অটিজমে আক্রান্তরা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এটি সাময়িক সমস্যা, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সেরে যাবে। অটিজম কোনো সাময়িক সমস্যা নয়। মনে রাখতে হবে, এই ঘাটতি কখনো পুরোপুরি দূর হবে না। তবে ক্ষেত্রবিশেষে অটিজম আক্রান্তের সামাজিক আচরণের উন্নতি করা সম্ভব হয়।

৪. একই পরিবারে ভাইবোনদের মধ্যে একাধিক জনের অটিজম হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

৫. অটিজম আক্রান্ত সব শিশু/ব্যক্তির সমস্যা একই রকম। বাস্তবতা হলো, অটিজম-আক্রান্ত ব্যক্তিদের লক্ষণ ও উপসর্গ বিভিন্ন ধরনের হয়। একজনের সঙ্গে আরেকজনের মিল নেই।


 
৬. অনেকে মনে করেন, আক্রান্ত ব্যক্তিরা সবাই সুপ্ত প্রতিভার অধিকারী হয়। কখনো কেউ কেউ বিশেষ কোনো কাজে দক্ষতা দেখাতে পারে; কিন্তু এটা ব্যতিক্রমী ঘটনা। দেখা যায়, অটিজমে আক্রান্ত অনেক শিশুই বিভিন্ন প্রতিভা বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে অসম্ভব প্রতিভাসম্পন্ন হওয়া দূরে থাক, খুব সাধারণ দৈনন্দিন কাজকর্মেও অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে।

এসব বিষয় ছাড়া আরও অনেক ধরনের ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে, যা মোটেও গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয়। কেউ কেউ একে জ্বীন ভূত এর আছর জনীত প্রভাব বলেও মনে করে। কোনো শিশুর যদি ‘অটিজম’ সনাক্ত হয়, তাহলে এ ধরনের কথাবার্তা অগ্রাহ্য করার মানসিক শক্তি অর্জন করতে হবে। কারণ, নিউরনঘটিত যেকোনো সমস্যার উত্তরণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সময়সাপেক্ষ, পুরোপুরি সুস্থ হওয়াটাও অনিশ্চিত। সবার মনে রাখা প্রয়োজন, কোনো রকম জাদুকরি বা টোটকা চিকিৎসায় অটিজম সারে না।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
3 টি উত্তর 266 বার দেখা হয়েছে
19 নভেম্বর 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,480 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 238 বার দেখা হয়েছে
19 নভেম্বর 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,480 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 366 বার দেখা হয়েছে
05 জানুয়ারি 2022 "চিন্তা ও দক্ষতা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন R Atiqur (43,930 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 180 বার দেখা হয়েছে
19 নভেম্বর 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,480 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 227 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,633 জন সদস্য

114 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 114 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  2. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  4. NickolasAber

    100 পয়েন্ট

  5. ChristyKrieg

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...