মৌমাছি হুল ফোটালে আগে ফুলে যায় নাকি আগে যন্ত্রণা করে!!! আগে যন্ত্রণা বা জ্বালা করে পরে ফুলে যায়। তাই তো? এর কারণ কি? মাংসে এদের হুলের সাথে অম্লীয় পদার্থ ফেরোমন ঢেলে দেয়। এতে ওই জায়গাটা একটু সময়ের জন্য অবশ হয়ে যায় এবং পরে জ্বালা করতে থাকে।
মৌমাছির বিষে শতকরা ৮৮ ভাগ পানি থাকে। এই পানির কারণে প্রাণিদেহের আর্দ্র কোষের ভেতর বিষ দ্রুত ছড়িয়ে যেতে পারে। ফেরোমন ব্যতীত মৌমাছির বিষ হচ্ছে গন্ধহীন তরল যার pH হচ্ছে ৪.৫-৫.৫।
মৌমাছির দংশনে ব্যথার জন্য অন্যতম উপাদানটি হচ্ছে মেলিটিন (Melittin)। এই উপাদান বিষের শুষ্ক ওজনের শতকরা ৫০ ভাগ থাকে। মেলিটিন দংশনের স্থানের লোহিত রক্তকণিকাকে ভেঙে ফেলে এবং রক্তনালীকে প্রসারিত করে। রক্তনালীর প্রসারণের জন্য অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তচাপ কমে যায়।
মেলিটিন ছাড়াও ফসফোলাইপেজ এ২ (Phospholipase A2) নামক প্রোটিন থাকে যা কোষ আবরণী ধ্বংস করে। এটি ব্যথা ও প্রদাহ কারণ। বিষের শতকরা ৯ ভাগ হচ্ছে হিস্টামিন। যার প্রভাবে কৈশিকনালীর ভেতর থেকে তরল পদার্থ বেরিয়ে আসে। এ কারণেই মৌমাছি কামড়ালে চুলকানির ন্যায় লাল বিন্দু দেখা যায় বা ফুলে যায়।
যখন একটি মৌমাছি দংশন করে, তখন এটি সাধারণত ত্বকে একটি কাঁটাযুক্ত স্টিংগার রেখে যায়। স্টিংগার এমন একটি বিষ নির্গত করে যা লোহিত রক্তকণিকা এবং ত্বকের মাস্ট কোষকে ধ্বংস করে। প্রতিক্রিয়া হিসাবে, শরীর ব্যথা রিসেপ্টর কোষগুলিকে সক্রিয় করে এবং হিস্টামিন তৈরি করে, যা ব্যথা, চুলকানি এবং ফোলা সৃষ্টি করে।