মোবাইল ফোন বর্তমান সময়ে আমাদের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত একটি ডিভাইস । এটি এতোটাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে জড়িয়ে গেছে যে এখনকার সময়ে মোবাইল ফোন ছাড়া যেন আমাদের টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের এই বহুল ব্যবহৃত ডিভাইসটি থেকে যে রেডিয়েশন নিগর্ত হয়, তা আমাদের শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা কি আমরা জানি? কিংবা আদৌ এই রেডিয়েশন নিগর্ত হয় কি না তার সম্পর্কেও অনেকে অবগত নন।
আমাদের মোবাইল ফোনগুলোর সাথে মোবাইল ফোনের মূল স্টেশনের যোগাযোগ থাকে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়েশনের মাধ্যমে। যদি এই রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়েশন উচ্চমাত্রায় থাকে, তবে তা একটি "থার্মাল " প্রভাবের সৃষ্টি করে, যার ফলে আমাদের দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। আর যদি এই রেডিয়েশন সাধারণের থেকে কম থাকে তবে তা আমাদের দেহে মাথাব্যথা, ব্রেইন টিউমার এসব জাতীয় রোগের সৃষ্টি করে।
২০১১ সালের মে মাসে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়েশনের সম্পর্কে জানিয়েছে যে, 'এটির ফলে মানব দেহে অনেক বড় বড় ঝুঁকির সম্ভাবনা আছে, যার মধ্যে ব্রেইন ক্যান্সার অন্যতম'। এটি নিয়ে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের এখনও গবেষণা চলছে।
মোবাইল ফোনের এই রেডিয়েশন সাধারণত ২ ধরনেরঃ
১. আয়নাইজিং রেডিয়েশনঃ এটি মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর, যার মধ্যে এক্স এবং গামা রশ্মি অন্তর্ভুক্ত। এগুলো মানব দেহের কোষকলা নষ্ট করে দেয়, যার ফলে ক্যান্সারের সৃষ্টি হয়।
২. নন - আয়নাইজিং রেডিয়েশনঃ এটি তেমন ক্ষতিকর নয়, তবে এটি নির্গমনের ফলে দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়েশন যদি নন - আয়নাইজিং হয় তবে তা ক্যান্সার তো দূরের কথা, শরীরের তেমন কোনো ক্ষতি করে না বললেই চলে।
আর যেহেতু এখনকার মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো ফোনগুলোতে রেডিয়েশনের এই ক্ষতিকর কথা চিন্তা করে তাই মোবাইল ফোনগুলোতে নন - আয়নাইজিং রেডিয়েশন সেট করে দেওয়া হয়, ফলে এটি এখন আমাদের জন্য তেমন কোনো ক্ষতির কারণ হিসেবে বিবেচিত হয় না। তবে দীর্ঘসময় ধরে মোবাইল ফোন কাছে রাখলে সমস্যা দেখা দিতেও পারে। সে ক্ষেত্রে যথাসম্ভব সতর্ক থাকা উচিত!
লেখকঃ Nafisa Tasmiya | সায়েন্স বী
#science #bee #facts #mobile #radiation