মোবাইল ফোন থেকে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি বিকিরিত হয়। সাধারণত দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল ফোন (2G, 3G, 4G) 0.7-2.7 GHz ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জে রেডিওফ্রিকোয়েন্সি নির্গত করে। পঞ্চম প্রজন্মের (5G) মোবাইল ফোনগুলি 80 GHz পর্যন্ত ফ্রিকোয়েন্সি স্পেকট্রাম ব্যবহার করে। মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সময় নিম্ন স্তরের নন-আয়নাইজিং বিকিরণ নির্গত করে। সেল ফোন দ্বারা নির্গত বিকিরণের ধরণকে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (আরএফ) শক্তি হিসাবেও উল্লেখ করা হয়। গবেষণায় বলা হয়েছে, "বর্তমানে এমন কোন সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রমাণ নেই যে নন-আয়নাইজিং বিকিরণ মানুষের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।" আরএফ অন্যান্য ধরণের বিকিরণ (যেমন এক্স-রে) থেকে আলাদা যেগুলোকে আমরা ক্ষতিকারক হিসেবে জানি। মোবাইল ফোন থেকে সাধারণত তিন ধরণের রেডিয়েশন হয়।
১. আলো ( মোবাইল ফোনের ডিসপ্লের আলো)
২. আলো (রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি)
ব্লুটুথ - 2.4 GHz (1m পর্যন্ত রেঞ্জের জন্য 1 mW, 10 m পর্যন্ত রেঞ্জের জন্য 2.5 mW) ওয়াইফাই - 2.4 GHz / 5 GHz (~35–55 mW) সেলুলার - 850 - 1900 MHz (সক্রিয় ট্রান্সমিশনের সময় 1 mW স্ট্যান্ডবাই থেকে 2W সর্বোচ্চ)
৩. তাপ (ব্যাটারি থেকে পাওয়ার ব্যাবহার করার সময় ইলেকট্রনিক উপাদান দ্বারা ছড়িয়ে পড়ে)
একটি মাইক্রোওয়েভ ওভেনও 2.4 GHz ব্যান্ডে RF ব্যবহার করে।
বর্তমানে বেশিরভাগ ফোনেই নন-আয়োনাইজিং বিকিরণ করে। এটি তেমন ক্ষতিকর নয় বললেই চলে। তবে আয়োনাইজিং বিকিরণ হলে অনেক সমস্যা। এতে টিউমার, ক্যান্সার ইত্যাদি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এছাড়াও, সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, মোবাইল ফোনের রেডিয়েশনের সাথে ফোনের ব্রাইটনেসের কোনো সম্পর্ক নেই।
তবে ফোনের ব্রাইটনেস চোখের ক্ষতির কারণ হতে পারে।