নিঃস্বাসের সাথে কার্বন ডাই অক্সাইড থাকে এটা সত্য কথা। কিন্তু ফু এর সাথে কার্বন ডাই অক্সাইড থাকে তা তো আপনি নিশ্চিত করে বলতে পারেন না। কারণ দুটো তো ভিন্ন জিনিস। তাহলে সত্যটা কি? আসুন স্পষ্ট ভাবে জানি। আসলে আপনি যখন মুখের বাহির থেকে বাতাস টেনে নিয়ে ফু দেন তখন তাতেCO2 এর পরিমাণ খু্বই নগণ্য থাকে। যেটা আসলে বর্জন যোগ্য বা ধর্তব্য নয়। কিন্তু আপনি যখন নাক দিয়ে বাতাস নিয়ে বা ফুসফুস থেকে বাতাস নিয়ে ফু দেন তখন এতে কার্বন ডাই অক্সাইড পর্যাপ্তই থাকে । মানে কাউন্ট করার মত। কিন্তু আপনি যে ফুটা দেন সেটা সরাসরি আগুনে পৌঁছায় না। সেটা আমাদের বায়ু মণ্ডলের ভিতর দিয়ে পৌঁছায়। আপনার ফু প্রথমে বাতাসে ধাক্কা দেয়। দু বাতাস মিশ্রিত হয় তারপর তো আগুনে পৌঁছায়। তো এমনিতেই আপনার নিঃশ্বানে যে CO2 থাকে তা আগুন নিভানোর জন্য যথেষ্ট না। তার উপর বাহিরের বাতাস মিশ্রিত হবার কারণে অক্সিজেনের পরিমাণ আরো অনেক বৃদ্ধি পায়। যার কারণে আগুন নেভে তো নাই, বরং আরো বেশি করে জ্বলে ওঠে। আরো কিছু ঘটনা ঘটে। যেমন ফু এর কারণে বাতাস প্রবাহ মান থাকে। ফলে কি হয়? CO2 আগুনের সংস্পর্শে যায় তো ঠিকই কিন্তু সেটা জায়গা দখল করে অক্সিজেন আসা বন্ধ করতে পারে না ( প্রবাহমাণতার জন্য) ফলে অক্সিজেন ঠিকই আগুনের সংস্পর্শে যাওয়ার সুযোগ পায়।