আমরা যখন মুখ ছোট করে ফু দিই, তখন আমাদের ফুসফুস থেকে বাতাস বের হওয়ার সময় আমাদের মুখের বাইরের বাতাসকে আরও বেশি স্থান দিতে হয়। এতে বাতাস দ্রুত প্রবাহিত হয় এবং আমাদের শরীরের তাপমাত্রা থেকে ঠান্ডা হয়ে যায়।
অন্যদিকে, যখন আমরা মুখ হা করে ফু দিই, তখন আমাদের ফুসফুস থেকে বাতাস বের হওয়ার সময় আমাদের মুখের বাইরের বাতাসের সাথে মিশতে বেশি সময় পায়। এতে বাতাস আমাদের শরীরের তাপমাত্রা থেকে বেশি উত্তপ্ত হয়ে যায়।
এটাকে আরও ভালভাবে বোঝার জন্য, আমরা একটি গ্যাসের তাপমাত্রার সাথে তার গতিশক্তির মধ্যে সম্পর্ক বিবেচনা করতে পারি। গ্যাসের অণুগুলি যত বেশি গতিশীল হয়, তার তাপমাত্রা তত বেশি হয়। যখন আমরা মুখ ছোট করে ফু দিই, তখন বাতাস দ্রুত প্রবাহিত হয়, যার ফলে বাতাসের অণুগুলির গতিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং তাপমাত্রা হ্রাস পায়।
এখানে একটি সহজ পরীক্ষা রয়েছে যা আপনি নিজেই করতে পারেন। একটি কাগজের টুকরো নিন এবং এটিকে আপনার মুখের কাছে ধরুন। তারপর, আপনার মুখ ছোট করে ফু দিন এবং দেখুন কাগজের টুকরোটি আপনার মুখ থেকে দূরে সরে যায় কিনা। এবার, আপনার মুখ হা করে ফু দিন এবং দেখুন কাগজের টুকরোটি আপনার মুখ থেকে দূরে সরে যায় কিনা। আপনি দেখতে পাবেন যে মুখ ছোট করে ফু দিলে কাগজের টুকরোটি আপনার মুখ থেকে আরও দ্রুত দূরে সরে যায়। এটি প্রমাণ করে যে মুখ ছোট করে ফু দিলে বাতাসের গতিশক্তি বেশি হয়।
এখানে আরও একটি বিষয় আছে। সেটি হচ্ছে, যখন আপনি ফু দিবেন তখন হা করে যতোটা বাতাস বের হবে, ফু দিলে সেই বাতাসটুকু কমপ্রেসড হয়ে বের হবে। এতে বাতাস সহজেই কিছুটা ঠান্ডা হয়ে যাবে।
অবশ্যই, এই প্রভাবটি খুব ছোট। আমরা যখন মুখ ছোট করে ফু দিই তখন বাতাসটি কেবলমাত্র কয়েক ডিগ্রি ঠান্ডা হয়ে যায়। কিন্তু এটি একটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত ঘটনা।
আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন। ধন্যবাদ!