মাহফুজুর রহমান রিদোয়ান
বেপারটা হলো আপনি মোবাইল ক্যামেরায় পুরো গ্যালাক্সির ছবি উঠাচ্ছেন না।আপনি যদি একটা রুমে থাকেন তবে সে রুমের একটি অংশীর ছবি আপনি অবশ্যই ক্যামেরা দিয়ে উঠাতে পারবেন।
আপনি মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির মধ্যেই আছেন। আকাশে তাকালে যত তারা দেখেন সবই মিল্কিওয়ের অংশ। অর্থাৎ রোজই আপনি মিল্কিওয়ে এর নানা উপাদান দেখতে পাচ্ছেন। তবে আপনি হয়তো মিল্কিওয়ে দেখা বলতে মিল্কিওয়ের ঘন অংশটা দেখা বুঝিয়েছেন। মিল্কিওয়ে আসলে চাকতির মতো বলে এর বাহুবরাবর নক্ষত্রের ঘনত্ব বেশি, এজন্য একটা দাগের মতো মনে হয়। অনেকে ভাবে এটাই বুঝি "মিল্কিওয়ে", কিন্তু আপনি নিজেও মিল্কিওয়ের অংশ।
যাই হোক, এমন দৃশ্য বিশ্বের সব জায়গা থেকেই দেখা যাবে। কিন্তু আমরা দেখতে পাইনা কারণ রাতের পৃথিবী এখন কৃত্রিম আলোতে ভরা। আলোর দূষণের কারণে রাতের আকাশ পরিষ্কার দেখা সম্ভব না আমাদের জন্য। এজন্য দেখবেন মহাকাশ গবেষকরা মূলত দুর্গম পাহাড়ি এলাকা বা মেরু অঞ্চল বেছে নেয় টেলিস্কোপ বসানোর জন্য, যেখানে শহরের আলো নেই। আকাশে চাঁদ থাকলেও পরিষ্কার আকাশ দেখা সম্ভব না। অর্থাৎ এমন নক্ষত্ররাজির দেখা পেতে আপনাকে এমন স্থানে যেতে হবে যেখানে অন্তত কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে কোন আলোর উৎস নেই এবং যখন আকাশে চাঁদ থাকবে না। তাহলে আকাশের দিকে ভালোভাবে লক্ষ্য করলে নিচের ছবির মতো একটা আবছা অবয়ব দেখতে পাবেন। যদিও ঠিক এমন দেখাবে না কারণ আলোর দূষণ কিছু না কিছু থেকেই যায় শহুরে এলাকায়।