অ্যালবিনিজম কি? অ্যালবিনো কারা? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
1,057 বার দেখা হয়েছে
"জীববিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (7,950 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (7,950 পয়েন্ট)

অ্যালবিনিজম একটি বিরল জিনগত রোগ। এর ফলে জন্মের পর থেকেই ত্বক, চুল, চোখ সাদা বা বিবর্ণ থাকে। মানুষসহ নানা প্রজাতির পশু-পাখির মাঝে আলবেনিজম দেখা যায়। মূলত জিনগত ত্রুটির জন্য ত্বক, চুল, চোখে মেলানিনের অনুপস্থিতি হয় এবং অ্যালবিনিজম দেখা দেয়। অ্যালবিনিজম কয়েক প্রকারের হতে পারে। এগুলো হলো: OCA (OCA 1, OCA 2, OCA 3, OCA 4), Ocular Albinism, Hermansky Pudlak Syndrome, Chediak Higashi Syndrome, Griscelli Syndrome।

OCA1 : এটি হয় মূলত টাইরোসিনেজ এনজাইমের অনুপস্থিতির জন্য। এর দুটি সাবটাইপ হচ্ছে OCA1a, OCA1b। যাদের OCA1a হয় তাদের দেহে পুরোপুরি মেলানিন থাকেনা। আর যাদের OCA1b হয় তাদের দেহে অল্প পরিমাণে মেলানিন উৎপন্ন হয়।

OCA2 : এটি হয় OCA2 জিনের ত্রুটির জন্য যার ফলে মেলানিন উৎপাদন কমে যায়। OCA2 হলে মানুষের দেহে হালকা রঙ থাকে, চুল হলুদাভ বা বাদামী হয়।

OCA3 : এটি হয় TYRP1 জিনের ত্রুটির জন্য। মূলত যাদের ত্বকের রঙ কালো তাদের মাঝে দেখা দেয়। OCA3 এর ফলে মানুষের ত্বক, চুল, চোখ হয় লালচে বাদামী। এটি দক্ষিণ আফ্রিকায় দেখা যায়।

OCA4 : এটি হয় SLC45A2 প্রোটিনের জন্য। এর ফলে মেলানিন উৎপাদন কমে যায়। OCA4 এর লক্ষণগুলো প্রায় OCA2 এর মতো। এটি পূর্ব এশিয়ায় দেখা যায়। 

Ocular Albinism : X ক্রোমোজোমের জিন মিউটেশনের জন্য হয় এবং পুরুষদের মাঝে বেশি দেখা যায়।

Hermansky Pudlak Syndrome : বিরল ধরনের অ্যালবিনিজম, যেকোনো একটি জিনের ত্রুটির জন্য হয়।

Chediak Higashi Syndrome : LYST জিনের ত্রুটির জন্য হয়। এর লক্ষণগুলো OCA এর মতো। সাইন্স বী

Griscelli Syndrome : সবচেয়ে বিরল অ্যালবিনিজম, এটিও জিনগত ত্রুটির জন্য হয়।

অ্যালবিনিজম বংশগত রোগ। পিতা-মাতার অ্যালবিনিজম থাকলে সন্তানের মাঝেও দেখা দেয়। বিশ্বব্যাপী প্রতি ২০,০০০ জনে একজনের এটি হয়। অ্যালবিনিজম সম্পূর্ণরুপে সারানোর কোন চিকিৎসা এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। 

ছবি ১ঃ দুটি বিরল জিনগত অস্বাভাবিকতা অ্যালবিনিজম এবং হেটারোক্রোমিয়ার আক্রান্ত ১২ বছর বয়সী Amina Ependieva।

ছবি ২ঃ অ্যালবিনো পরিবার।

ছবি ৩ঃ ১২ বছরের ব্যবধানে জন্ম নেওয়া দুই অ্যালবিনো বোন।

ছবি ৪ঃ অ্যালবিনো বাচ্চাদের অস্বাভাবিক সৌন্দর্য।

ছবি ৫ঃ অ্যালবিনো পুরুষ।

© নিশাত তাসনিম (সাইন্স বী)

0 টি ভোট
করেছেন (7,560 পয়েন্ট)

অ্যালবিনিজম বা লিউসিজম (Leucism) হল একটি জন্মগত ব্যাধি, যা চুল, চোখ এবং ত্বককে বিবর্ণ করে দেয়। মানুষ সহ অন্যান্য প্রাণী যেমন বাঘ, সিংহ, কুমির, পাখির আরও নানা প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে অ্যালবিনিজম দেখা যায়।

কারণ

ত্বক, চুল বা চোখে জৈব রঞ্জক পদার্থ বা পিগমেন্টের সম্পূর্ণ বা আংশিক অনুপস্থিতিতে অ্যালবিনিজম হয়। এর প্রভাবে ফটোফোবিয়া (আলোক সংবেদনশীলতা), নিস্টাগমুস ( চোখের অনৈচ্ছিক নড়াচড়া), এমব্লাইয়োপিয়া (এক চোখের দৃষ্টিক্ষমতা হ্রাস) ইত্যাদি রোগ দেখা দেয়। এছাড়াও বিরক ক্ষেত্র বিশেষে অ্যালবিনিজমের সাথে মেলানিনের ঘাটতির সম্পর্ক রিয়েছে। যার ফলে ইম্যুউনো কোষের প্রয়োজনীয় গ্রানিউলে প্রভাব বলে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সহজে রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।

 

অনেক প্রাণী ফ্যাকাসে সাদা হওয়ার কারণ হিসেবে দায়ী করা হয় জিনগত বিশেষ বৈশিষ্ট্যকে। বংশসূত্রে পাওয়া টাইরোসিনেজ নামক এনজাইমের অনুপস্থিতিতে অথবা ক্ষতিগ্রস্ত টাইরোসিনেজের দরুণ অ্যালবিনিজম ঘটে। অবশ্য অ্যালবিনিজমের কারণে মানুষ ছাড়াও অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণী সাদা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ওই প্রাণীটিকে বলে অ্যালবিনো। রঞ্জক পদার্থ উদ্ভিদ বা প্রাণীকে রঙিন করে। লিউসিজমে আক্রান্ত প্রাণীদের বেলায় একাধিক রঞ্জক পদার্থের অভাব থাকে। আর এ কারণে প্রাণীটিকে সাদা বা ফ্যাকাসে রঙের দেখায়। অ্যালবিনজমের ক্ষেত্রে প্রাণী বা ব্যক্তির মেলানিন সম্পূর্ণভাবে উহ্য থাকে। অপরদিকে লিউসিজমের ক্ষেত্রে কিছু মাত্রায় মেলানিনের অভাব দেখা যায়। এক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি বা রোগীকে লিউকিসটিক বা অ্যালবিনয়েড বলে।

 

প্রকারভেদ

দুই ধরনের অ্যালবিনিজম দেখতে পাওয়া যায়। অকুলোকিউটানয়েস ও অকুলার অ্যালবিনিজম। প্রথম প্রকারের অ্যালবিনিজমে চোখ, ত্বক এবং চুল আক্রান্ত হয়। অকুলার অ্যালবিনিজম শুধুমাত্র চোখে আক্রান্ত করে। প্রথম প্রকারের অ্যালবিনিজম "কালো-বাদামী রঙা ত্বকের মানুষের" মাঝে দেখা যায়। ন্যাশনাল অরগানাইজেশন অব অ্যালবিনিজম এন্ড হাইপোপিগমেন্টেশন এর মতে, অকুলার অ্যালবিনিজমে মানুষের চোখের মণির রঙ সবুজ থেকে নীল এমনকি বাদামী রঙ ধারণ করতে পারে। এক্ষেত্রে খুব অল্প পরিমান পিগমেন্ট চোখে থাকে বলে আলো সরাসরি আইরিশে প্রতিফলিত হয়।

 

জিনেটিক্স

সাধারণত বংশসূত্রেই অ্যালবিনিজম রোগ ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ছড়ায়। এক্ষেত্রে রিসেসিভ অ্যালীল পিতামাতা উভয়েরই থাকলে তাদের সন্তানের অ্যালবিনো হয়ার সুযোগ থাকে। পিতামাতা দুইজনের মধ্যে একজন অ্যালবিনিজমের বাহক হলে সন্তানের অ্যালবিনো হওয়ার সুযোগ কম। তবে এক্ষেত্রে সন্তানও অ্যালবিনিজমের জিনগত বাহক হয়।এক্ষেত্রে জিনগতভাবে অ্যালবিনিজম বাহক এই রোগের কোনো লক্ষণপ্রকাশ করেনা। তাই জিনগত পরীক্ষা ছাড়া একজন ব্যক্তির স্বতন্ত্রভাবে অ্যালবিনিজম রোগের বাহক কিনা তা যাচাই করা মুশকিল। নারী ও পুরুষের মাঝে অ্যালবিনিজম হওয়ার হার সমান।

 

অকুলার অ্যালবিনিজম এক্স-লিংকড বংশানুক্রমে বিস্তার লাভ করে। যেহেতু পুরুষদের এক্স ও ওয়াই দুই ধরনের ক্রোমোজোম থাকে অপরদিকে নারীরা দুইটি এক্স ক্রোমোজমের ধারক হয়। তাই এই ধরনের অ্যালবিনিজম নারীদের চেয়ে পুরুষদের মাঝে বেশি হতে দেখা যায়।

 

চিকিৎসা

অ্যালবিনিজম সম্পূর্ণভাবে সারানোর মত কোন চিকিৎসা আজ অব্দি আবিষ্কার হয়নি। অ্যালবিনিজম রোগীদের সানবার্ন এড়াতে সতর্ক থাকতে হয় এবং নিয়মিত ত্বকের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়।

 

অ্যালবিনিজমের জন্য হওয়া চোখের সমস্যা কমাতে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। অবশ্য বলা বাহুল্য, এসব অস্ত্রোপচারে রোগীর অবস্থাভেদে সুফলও বিভিন্ন হয়। বেশিরভাগ রোগীরাই দৃষ্টি দূর্বলতা এড়াতে চশমার ব্যবহার করে থাকেন - উইকিপিডিয়া

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+6 টি ভোট
1 উত্তর 172 বার দেখা হয়েছে
22 ফেব্রুয়ারি 2021 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন noshin mahee (110,320 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
1 উত্তর 1,275 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 228 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 2,387 বার দেখা হয়েছে
29 জুলাই 2023 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Fatema Tasnim (4,820 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
3 টি উত্তর 456 বার দেখা হয়েছে
21 জুন 2022 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Nishat Tasnim (7,950 পয়েন্ট)

10,719 টি প্রশ্ন

18,361 টি উত্তর

4,729 টি মন্তব্য

239,781 জন সদস্য

28 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 28 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  3. almoyaj_k

    130 পয়েন্ট

  4. Mehedi_Bknowledge

    110 পয়েন্ট

  5. Monojit Das

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া শীতকাল গরম কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ মস্তিষ্ক শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস গ্রহ স্বপ্ন রসায়ন তাপমাত্রা উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা পাখি গ্যাস মন সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম বিড়াল কান্না নাক
...