কোথায় থাকে গাছেদের মস্তিষ্ক?
চার্লস ডারউইন[1] গাছের অংগ-প্রতংগের নড়াচড়া পর্যবেক্ষণ পূর্বক ১৮৮০ সালে “The Power of Movements in Plants” নামে একটি বই বের করেন। বলেন, বীজ থেকে প্রথমেই যে অংশটি (root-tip) বেরোয় সেটি নিম্ন শ্রেনীর প্রাণিদের ব্রেইনের মতই কাজ করে। ব্রেইনটি বেরোনো অংশের শীর্ষস্থানেই অবস্থান করে। জগদীশ চন্দ্র বসু[2, 3] পরীক্ষা (১৯০০) করে বলেন, প্রতিটি গাছ এবং প্রতিটি অংগেই যেন একটি স্নায়ুতন্ত্র আছে। ক্লেভ ব্যাক্সটার [4,5] (১৯৬৬) মনে করেন গাছ অন্যান্য প্রাণীকুলের সাথেও যোগাযোগ করতে পারে।
লতানো গাছগুলোর বেড়ে উঠার জন্য অবলম্বন দরকার। যাকে তাকে এরা অবলম্বন করবে না। Lowe’s or Home Depot থেকে কৃত্রিম সহায়ক নিয়ে আসুন। পাতি গুলো চ্যাপ্টা হলে গাছের এন্টিনা গুলো ওদিকে তাকাবেই না। তিন হাত দূরে যদি কোন কঞ্চি থাকে তবে তার জন্যই আতি-পাতি করবে। খ্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটরের সংবাদ দাতা প্যাট্রিক জনসন [৬] বলেছেন – ক্ষুদে পরগাছা স্ট্র্যাংগলউইড ধারে কাছে শত্রু বা মিত্র আছে কিনা তা বুঝতে পারে। বন্ধু হলে কাছে আসবে। নতুবা মুখ ঘুরিয়ে থাকবে।
আপনি হয়ত বুদ্ধি করে দুটো জাংলা বানিয়েছেন। একটাতে লাউ করবেন আর একটাতে ছিম। মাঝখানে চার ফুট ব্যবধান রেখেছেন। আপনি আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করবেন। লাউ গাছ আপনার দেওয়া জায়গার গোটাটা দখল না করেই লুল পুরুষের মত ছিম গাছের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে ওটিও দখল করতে। কারণ সে জানে আপনি যতটুকু ব্যবস্থা লাউএর জন্য করেছেন তা ভবিষ্যতে যথেষ্ঠ হবে না।
খৃষ্টের জন্মেরও ২৮০ বছর আগে এরিষ্টটল গাছের বুদ্ধিবৃত্তি দর্শনে মুগ্ধ হয়ে বিশ্বাস করেছিলেন গাছের আত্মা আছে, আছে সংবেদনশীলতা। ছেলে ফ্র্যান্সিসের লেখা বইতে ডারউইন লিখলেন, বীচি থেকে প্রথম যে শিকড়টি বের হয় তারই ডগায় থাকে গাছের বিস্তৃত মস্তিষ্ক। এই মস্তিষ্কই বিভিন্ন অংগ থেকে অনুভূতি একত্রিত করে এবং সীমিত নড়াচড়া নিয়ন্ত্রন করে। এই ধারায় neurobiological গবেষনা চলে Bose [7], Simons [8], Roshchina [9]। কিন্তু Frantisek, Stefano, and Dieter [10] বিষয়টি ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখছেন। এঁরা বলেন, শিকড়ের ডগায় (root apex or tip) বিশেষ ধরণের একগুচ্ছ কোষ থাকে যার হাতেই থাকে মস্তিষ্ক সদৃশ যত গুনাবলী। আজকাল বিজ্ঞানী মহলে স্বীকৃত যে, গাছেরা পরিবেশ থেকে নানাবিধ সংকেত আহরণ করতে এবং ত্বড়িত বিশ্লেষণ করতে সক্ষম। এমন কি কোন পরিস্থিতিতে কী করতে হবে সে বিষয়ে পূর্বেই পরিকল্পনা করতে পারে। আশ্চর্যের বিষয় যে ভুল-ভ্রান্তি বিশ্লেষণ এবং মেমরি ব্যবস্থাপনা বিষয়েও নাকি গাছেরা সম্যক জ্ঞান রাখে।
Credit : Muktomona