সন্তান জন্মের সাথে সাথেই কিভাবে মায়ের বুকে দুধ আসে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
1,688 বার দেখা হয়েছে
"লাইফ" বিভাগে করেছেন (120 পয়েন্ট)

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (9,280 পয়েন্ট)

মায়েদের বুকের দুধ কিভাবে আসে জানেন কি?

 

মাতৃগর্ভে ভ্রূণ সঞ্চারিত হবার সাথে সাথে শিশুর আগমনীবার্তা মায়ের দেহে প্রচার হয়ে যায়। মস্তিষ্ক ও দেহের কিছু গ্রন্থি এবং জরায়ুর ফুলের নিঃসৃত হরমোনের প্রভাবে স্তনে দুধ তৈরির প্রক্রিয়া চলতে থাকে। স্তনের কোষগুলো বাড়তে থাকে এবং এই কোষেই দুধ তৈরি হয়। এই তৈরি প্রক্রিয়াকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়: 

- ল্যাক্টোজেনেসিস-১ 

- ল্যাক্টোজেনেসিস-২ 

- ল্যাক্টোজেনেসিস-৩

ল্যাক্টোজেনেসিস-১ : প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায় দুটি হরমোনের নিয়ন্ত্রণাধীন। প্রজেস্টেরন ও ইস্ট্রজেন নামক হরমোন দুটি গর্ভাবস্থার প্রধান হরমোন। শিশুর সম্ভাব্য জন্মের ১২ সপ্তাহ আগে এই পর্যায় সম্পূর্ণ হয়। যদিও শুরু হয় গর্ভাবস্থার চার পাঁচ মাস থেকে। এই সময় শুধু “কলস্ট্রাম” নামক প্রাথমিক দুধ তৈরি শুরু হয়। দুধে ল্যাক্টোজ, প্রোটিন, ইমিউনোগ্লবিনের পরিমাণ বাড়ে। সোডিয়াম ও ক্লোরিনের পরিমাণ কমে। দুধ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পদার্থ স্তনে এসে জমা হতে থাকে।

ল্যাক্টোজেনেসিস-২ : এই পর্যায়ও হরমোনের নিয়ন্ত্রণাধীন। শিশুর জন্মের ৩০ থেকে ৪০ ঘণ্টা পরে এই পর্যায় শুরু হয়। বাচ্চার জন্মের সাথে সাথে প্লাসেন্টা জরায়ু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়, তাই প্লাসেন্টা থেকে বের হওয়া হরমোন, যেমন- প্রজেস্টেরন, ইস্ট্রজেন ও প্লাসেন্টাল ল্যাক্টজেনও হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। শুরু হয় প্রোল্যাক্টিনের কাজ। দুধ তৈরিতে এই হরমোন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একে বলে মাতৃত্ব হরমোন বা mothering hormone. এর কাজ হলো প্রকৃত দুধ তৈরি করা। প্রোল্যাক্টিনের ক্ষরণ অ্যারিওলার উত্তেজনার উপর নির্ভরশীল। শিশু স্তন মুখে নিয়ে টানলেই এই উত্তেজনা তৈরি হয়। না টানলে তৈরি হবেনা।

কাজেই দেখা যাচ্ছে শিশু দুধ না খেলে দুধ তৈরির পদ্ধতি গোড়াতেই ধাক্কা খাবে। দুধই তৈরি হবেনা। তাই দুধ বুকে আসুক না আসুক, বুকের দুধ পেতে গেলে জন্মের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, শিশুকে বুকে দিতে হবে। শিশু স্তন মুখে নিয়ে টানলে তবেই ভবিষ্যতে দুধ হবে, না হলে হবেনা। প্রতিবার দুধ খাবার পরে এই প্রোল্যাক্টিনের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যায়। দিনে রাতে সব সময় এই ঘটনা ঘটে। তাই দুধের পরিমাণ বাড়াতে হলে বা ঠিক রাখতে হলে দিনে রাতে সব সময়ই শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।

ল্যাক্টোজেনেসিস-৩ : এই পর্যায়ে বুকে পরিণত দুধ তৈরি হয়। প্রথম দুটি পর্যায় নির্ভর করে প্রধানত হরমোনের উপর। কিন্তু তৃতীয় পর্যায় নির্ভর করে বুকের অটোক্রিন বা স্থানীয় অবস্থার উপর। প্রথম দুটি পর্যায় দুধ তৈরি শুরু করে- তৃতীয় পর্যায় এটিকে চালু রাখে। এই চালু রাখাটা নির্ভর করে সম্পূর্ণভাবে শিশুর উপর, সে দুধ খাচ্ছে কি না তার উপর। এই পর্যায় শুরু হয় শিশু জন্মের ৫০ থেকে ৭৩ ঘণ্টা পর।

 

©️ওমেন্সকর্নার

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+3 টি ভোট
2 টি উত্তর 4,581 বার দেখা হয়েছে
+4 টি ভোট
2 টি উত্তর 3,581 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 566 বার দেখা হয়েছে
02 ডিসেম্বর 2022 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Nadia (4,020 পয়েন্ট)
+2 টি ভোট
4 টি উত্তর 908 বার দেখা হয়েছে
10 ফেব্রুয়ারি 2022 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Nabendu mondol (560 পয়েন্ট)

10,723 টি প্রশ্ন

18,367 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

240,878 জন সদস্য

67 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 67 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Al Moyaj Khondokar

    210 পয়েন্ট

  3. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  4. Hasan rafi

    140 পয়েন্ট

  5. Mehedi_Bknowledge

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া শীতকাল গরম কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ মস্তিষ্ক শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন গ্রহ রসায়ন তাপমাত্রা উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা পাখি গ্যাস মন সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম বিড়াল কান্না নাক
...