নিউকেয়ারবিডিডটকম নামক একটি ওয়েবসাইটে ‘‘সপ্তাহ অনুযায়ি গর্ভাবস্থা’’ শিরোনামের একটি নিবন্ধে বলা হয়, ‘‘২৯ সপ্তাহ: এই সপ্তাহে বাচ্চার ওজন ১৩০০-১৪০০ গ্রামের মত হয় ও ২৭ সে. মি. লম্বা হয়।ফুসফুসের গঠন সম্পূর্ণ না হলেও বাচ্চা শ্বাস প্রশ্বাস নিতে শুরু করে। বাচ্চার চোখ আলো সনাক্ত করতে পারে ও হাড়ের গঠন সম্পূর্ণ হয়।গর্ভাবস্থায় হাটা সবচেয়ে ভাল ব্যায়াম।’’ [http://www.neocarebd.com/soptaho-onujayi-gorvabosta.php]
এখানে বলা হয়, ‘‘বাচ্চা শ্বাস প্রশ্বাস নিতে শুরু করে’’। কিন্তু একটা বাচ্চা মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় কিভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নেয়, তা এখানে বলা হয়নি। এটা বলা সম্ভবও নয়। কারণ বাচ্চার মায়ের নাক দিয়ে তো আর বাচ্চার পক্ষে শ্বাস প্রশ্বাস নেয়া সম্ভব নয়! তাছাড়া মায়ের পেটে নাকের মতো কোনো ছিদ্রও নেই, যে ছিদ্র দিয়ে বাচ্চা শ্বাস প্রশ্বাস গ্রহণ এবং বর্জনের কাজ করবে।
মূলত মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় বাচ্চার বয়স যা-ই হোক, বাচ্চা কোনোভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে পারে না। মায়ের পেট থেকে ভূমিষ্ট হবার পর বাচ্চার নাভির সাথে মায়ের যে নাভিরজ্জু থাকে, তা কেটে দেয়ার পর থেকেই বাচ্চা শ্বাস প্রশ্বাস নিতে শুরু করে। এমনকি বাচ্চা যখন মায়ের পেটে থাকে, তখন এই নাভিরজ্জুই বাচ্চার শ্বাস প্রশ্বাসের কাজের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। এই নাভিরজ্জুই বাচ্চার শরীরে মায়ের শরীর থেকে শক্তি পেীঁছিয়ে দেয়। বাচ্চা তখন যেমন মুখ দিয়ে কোনো কিছু খেতে পারে না, তেমনি নাক দিয়েও শ্বাস প্রশ্বাসের কাজ করতে পারে না। বাচ্চার ফুসফুস এবং পেট থাকলেও সেগুলো ক্রিয়াহীন থাকে। বাচ্চার ফুসুফুস এবং পেট, বাচ্চার মুখ এবং নাক এই সবগুলোর পক্ষে কাজ করে নাভিরজ্জু।
ভূমিষ্টের পর যখন বাচ্চার নাভির সাথে মায়ের এই নাভিরজ্জু কেটে দেয়া হয়, তখন বাচ্চা মুখ দিয়ে যেমন খেতে শুরু করে, নাক দিয়েও শ্বাস প্রশ্বাসের কাজ করতে শুরু করে।
এই সম্পর্কে সবচেয়ে সঠিক কথা উল্লেখ করেছে myfairylandbd নামক একটি ওয়েবসাইট। সেখানে বলা হয়,
‘‘বাচ্চা সাধারণত প্রসবের আগ পর্যন্ত শ্বাস প্রশ্বাস শুরু করে না। এ সময় পর্যন্ত আম্বিলিকাল কর্ড বা নাভিরজ্জু বাচ্চার শরীরে অক্সিজেন পরিবহন করতে থাকে।’’