কীভাবে সহজেই পড়া মনে রাখা যায় ? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
1,050 বার দেখা হয়েছে
"সৃজনশীলতা" বিভাগে করেছেন (170 পয়েন্ট)
গবেষণায় দেখা গেছে, রাতে(সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে) 1-2 hour 2-3 বার মনোযোগ দিয়ে পড়লে এরপর ঘুম গিয়ে সকালে উঠে সে পড়া পড়লে সেটা আমাদের brain এ automatic set up হয়ে যায়। পড়াকে যদি আরো longlasting করতে চান সেইদিন 1-2 hour সেই পড়া পড়লে পড়াটা অনেকদিন মনে থাকবে।

3 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (9,280 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর
প্রথমে বলি আপনাকে পড়া মনে রাখতে হবে আর সেই পড়া স্যারকে জমা দিতে হবে এই টাইপের চিন্তা ভাইরে ছুড়ে ফেলে দেন।
যা পড়বেন নিজের জ্ঞান লাভের জন্য। আর মানসিক কোনো চাপ নিয়ে পড়ালেখা করবেন না।
আপনি যা পড়ছেন তা ঢালাভাবে মুখস্ত নয় বরং ধীরে সুস্থে বুঝে বুঝে পড়ার চেষ্টা করুন।

পড়া মুখস্ত না হওয়ার অন্যতম কারন হচ্ছে আপনাকে পড়া জমা দিতে হবে নাইলে স্যার মারবে, ক্লাসে লজ্জা দিবে, নম্বর কম পাবো এইটাইপের মানসিক চাপ নিয়ে পড়ালেখা করা। যদি আপনি অন্যের জন্য চাপে পড়ে কোনোকিছু পড়েন সেটা বেশিদিন মনে থাকবেনা।

তারচেয়ে দেখবেন আপনি বাসায় যেই গল্পের বইগুলো পড়েন সেখান থেকে প্রশ্ন করলে অনেকদিন পরেও আপনি উত্তর দিতে পারছেন। কারনটা হচ্ছে গল্পের বইটা আপনি কারো চাপে পড়ে পড়ছেন না।
অন্যদিকে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমরা যা শিখি তার বেশিরভাগই টিচারদের চাপে পড়ে শিখি।।।

সুতরাং আপনি ঢালা মুখস্ত করে বা শর্ট টেকনিক ইউজ করে হয়তো অল্প কয়েকদিন কোনোকিছু নিজের আয়ত্তে রাখতে পারবেন কিন্তু বেশি সময় ধরে পড়া মনে রাখতে নিজের ইচ্ছায় বুঝে বুঝে পড়ার কোনো বিকল্প নেই।
মনে রাখতে হবে এই উদ্দেশ্যে নয় বরং শেখার উদ্দ্যেশ্যে পড়ুন।
0 টি ভোট
করেছেন (1,100 পয়েন্ট)
সম্পাদিত করেছেন
আমি মনে করি এই প্রশ্নের উত্তর একেক জনের জন্য একেক রকম হবে। প্রতিটি মানুষের মনোযোগী থাকার ক্ষমতা একেক রকম। তবে আমি সাধারণ কিছু কৌশল বলছি।

প্রথমত, পড়ার জন্য পড়তে হবে। স্কুলের টিচারদের ভয়ে অথবা ক্লাসে অপদস্থ হওয়ার ভয়ে যে পড়াশুনা করা হয় তা কখনোই দীর্ঘ সময়ের জন্য মনে রাখা সম্ভব না। নিজের জন্য পড়তে হবে।

এখন পড়া মনে কিভাবে রাখা যাবে তা নিয়ে কথা বলি। পড়া মনে রাখার সব থেকে সহজ উপায় হচ্ছে বেশি করে পড়া। যত বেশি পড়বে তত বেশি মনে থাকবে। তবে এই কথা হয়তো সবাই করো না করো কাছ থেকে শুনেছে। তাই এখন বলবো বেশি পড়া যায় কি করে।

আমরা সবাই ইন্টারনেটে বিভিন্ন মোটিভেশনাল স্পিকারদের এবং ছাত্রছাত্রীদের ইন্টারভিউ এর ভিডিওতে শুনতে পাই তারা প্রতিদিন ২০ ঘণ্টা পড়ত, খুবই কম ঘুমাতো এবং পড়াশোনা ছাড়া অন্যান্য কাজ অত্যাবশ্যকীয় না হলে করতো না। এসব কথা সত্যি কিনা তা নিয়ে আমাদের মনে উঠে আসে সন্দেহ। তবে সেই সন্দেহকে পাশে রেখে চলুন আমরা জেনে নিই আসলে অভাবে পড়াশোনা করত কতটা স্বাস্থ্যসম্মত। দিনে ২০ ঘণ্টা পড়াশুনা করা কোনোভাবেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়।আপনার শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম এবং সামাজিক কার্যক্রম প্রয়োজন।

সাধারণভাবে, দিনে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা পড়া পর্যাপ্ত। তবে এর থেকে বেশিও চাইলে পড়তে পারেন। তবে সারাদিন বই নিয়ে বসে না থেকে যক্ষণ পড়াশোনা করবেন, কার্যকর ভাবে করবেন। এর জন্য আপনি বিভিন্ন কৌশল এর ব্যাবহার করতে পারেন।

আমি কার্যকর ভাবে পড়ার জন্য কিছু কৌশল উল্লেখ করছি,

•Pomodoro Technique: এটি এমন একটি কৌশল, যেখানে আপনি যতক্ষন সময় সম্পূর্ণ মনোযোগে পড়তে পারেন(সাধারণত ২৫ মিনিট অথবা তার চেয়ে বেশি) ততক্ষণ পড়ার পর ৫ মিনিট সময় বিশ্রাম নেবেন। বিশ্রাম কলে মনকে ঠান্ডা করার জন্য হাটাহাটি করুন বা এমন কিছু করুন যা আপনার মনকে হালকা করবে। এইরকম ৪ বৈঠক পর আপনি আরো একটু বেশি সময় বিশ্রামের জন্য নিন(সাধারণত ১৫ - ৩০ মিনিট)।
এবং এভাবেই চালিয়ে যান।
 

•Active recal: এই কৌশলে আপনি বার বার বই থেকে একই জিনিষ বার বার মুখস্ত না করে নিজেকে নিজেই কুইজ করবেন। এতে আপনার সৃতিতে পড়া দীর্ঘ সময় মনে থাকবে। এবং সময় কম অপচয় হবে।

•Feynman technique: এই কৌশলে আপনি যা পড়ছেন তা অন্য কাউকে বোঝানোর বা শিখানোর চেষ্টা করেন। এতে আপনার ঐ বিষয়ের উপর আরো ভালো ধারণা লাভ করেন এবং দীর্ঘ সময় সৃতীতে ধারণ করতে পারেন। এছাড়াও আপনার ঐ বিষয়ের কোনো ধারণাই কোনো রকম ত্রুটি থাকলেও তা খুঁজে পেয়ে যাবেন।

এই সব ছাড়াও আরো অসংখ্য কৌশল রয়েছে। তবে আপনি যেই কৌশলী অবলম্বন করুন না কেন, আপনাকে নিয়মানুবর্তিতার সাথে পড়তে হবে।
0 টি ভোট
পূর্বে করেছেন (220 পয়েন্ট)

দীর্ঘমেয়াদে মনে রাখা বা effective learning এর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির উপর গবেষণা স্মৃতি এবং cognitive psychology এর ভিত্তিতে দাঁড়ানো। দীর্ঘমেয়াদী মনে রাখা একটি কার্যকর পদ্ধতি হলো Spaced Repetition, এতে কোনো তথ্য নির্দিষ্ট বিরতিতে বারবার পুনরাবৃত্তি করা হয়। এই কৌশলটি স্মৃতিকে দীর্ঘমেয়াদী করতে সাহায্য করে। পুনরাবৃত্তি করার সময়ের ব্যবধান ধীরে ধীরে বাড়ানো যেতে পারে, যাতে মস্তিষ্ক নতুন তথ্যকে আরও কার্যকরভাবে প্রক্রিয়া করার সময় পায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, পড়ার সেশনের মধ্যে ব্যবধান { inter-study interval(ISI)} অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেশনগুলির মধ্যে দীর্ঘ ব্যবধান দীর্ঘমেয়াদী মনে রাখাতে সাহায্য করে, বিশেষ করে যখন নিয়মিত পর্যালোচনা করা হয়। এছাড়া retrieval practice বা নিষ্ক্রিয়ভাবে পর্যালোচনা করার পরিবর্তে সক্রিয়ভাবে তথ্য স্মরণ করা, দীর্ঘমেয়াদী মনে রাখার আরেকটি কার্যকরী কৌশল। এই পদ্ধতিটি retrieve বা পুনরুদ্ধার করার সাথে যুক্ত স্নায়ু সংযোগগুলিকে শক্তিশালী করে, যা ভবিষ্যতে মনে করা সহজ এবং নির্ভরযোগ্য করে। যদি অন্য কাউকে সহজে একটি জিনিস ব্যাখ্যা করতে পারা যায় তবে এটি ভালভাবে আয়ত্ত হয়েছে। একটি গবেষণা মতে, যখন কাউকে কিছু শেখানো হয় তখন তা 90% মনে থাকে। যতক্ষণ না এটি অন্যকে ব্যাখ্যা করতে পারছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত লেগে থাকুন। পড়ার সময় ফোকাস ধরে রাখার জন্য ডিভাইস বন্ধ করে বা দূরে রাখতে পারেন। বিক্ষিপ্ততা দূর করে পড়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। Visualization (যেমন: ছন্দ, ছবি, সংক্ষিপ্ত শব্দ, ছড়া) স্মৃতিশক্তিকে উদ্দীপিত করে এবং তথ্য ধরে রাখার জন্য সহায়ক। কোন কঠিন বিষয় শেখার সময় গ্রুপে করতে পারেন। পড়ার জন্য সময় ও স্থান নির্দিষ্ট করে এটিকে রুটিনে পরিণত করলে তা পড়ালেখায় সাহায্য করে।

তথ্যসূত্রঃ

১. https://www.evullab.org/.../CepedaPashlerVulWixtedRohrer...

২. https://www.joyce.edu/blog/study-tips-to-retain-information/

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 2,559 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 344 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 3,137 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 599 বার দেখা হয়েছে
+6 টি ভোট
4 টি উত্তর 10,857 বার দেখা হয়েছে

10,772 টি প্রশ্ন

18,450 টি উত্তর

4,741 টি মন্তব্য

258,840 জন সদস্য

62 জন অনলাইনে রয়েছে
3 জন সদস্য এবং 59 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. RTasfiat

    340 পয়েন্ট

  2. Be_Shafkat

    120 পয়েন্ট

  3. シャリア アミン

    110 পয়েন্ট

  4. Shanto Hasan

    110 পয়েন্ট

  5. mdsabbirahmmed

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা #science পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...