চুল পড়া রোধে করণীয় প্রসঙ্গে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট বিশেষজ্ঞ ডা. এসএম বখতিয়ার কামাল বলেন, চুলের জন্য ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের ভিটামিনগুলো খুব দরকার এছাড়া ভিটামিন সি ও ডি খুব দরকার। অনেকে বলে ভিটামিন ই চুলের জন্য দরকার। কিন্তু ভিটামিন ই চুলের মধ্যে নেই বলেলেই চলে। সামান্য পরিমান ভিটামিন এ আছে। আগে মানুষ খেত কম। কিন্তু এখন মানুষ প্রচুর খায়। কিন্তু এ খাবারটা সুষম না। এ সুষম খাবারের অভাবে চুল পড়ে। প্রেগনেন্সি চুলের জন্য ভাল।
ডা. এসএম বখতিয়ার কামাল বলেন, প্রেগনেন্সি অবস্থায় চুল পড়ে না। বাচ্চা জন্মের ৪ মাস পর থেকে মায়ের চুল পড়া শুরু হয় এবং বাচ্চা জন্মের ১৪ মাস পর্যন্ত মায়ের এ চুল পড়া থাকে। অনেক মা বলেন যে, আমি ব্রেস্ট ফিড করাই না। আমার চুল পড়ে কেন? চুল পড়ার সঙ্গে ব্রেস্ট ফিডের কোনো সম্পর্ক নাই। প্রেগনেন্সির সময় হরমোনাল চেঞ্জের কারণে চুল পড়ে। চুলের ওর টর্চার হলো চুল পড়ার অন্যতম কারণ। আমাকে অনেক প্রশ্ন করে যে, চুলের যত্ন কিভাবে নেব? আমি বলি চুলে কোন যত্ন নাই। যত্ন নেবেন না।
তেল চুলের জন্য অপরিহার্য একসময় ধারণা করা হত। যে সমস্ত এলাকার লোক চুলে তেল দেয় সেসমস্ত এলাকার লোকদের চুল পড়ার সংখ্যা অনেক কম। তেল চুলে প্রটেক্টর হিসেব কাজ করে। অর্থাৎ দেয়ালে রং করলে দেয়ালের সৌন্দর্য্য যেমন বৃদ্ধি পায়। তেমনি দেয়ালকে প্রটেক্ট করে।
কাজের বুয়া বা রিকশাওয়ালার মাথায় টাকের সংখ্যা খুব কম। তাদের সহজে চুল পড়ে না। কারণ তাদের কোন টেনশন নাই। তারা অনেক বেশি পরিশ্রমী এবং তারা মাথায় তেল দেয়।
থাইরয়েডের কারণে রুগির চুল পড়ে। আবার থাইরয়েডের চিকিৎসার জন্য যে ঔষধ দেয়া হয় সেটার কারণেও চুল পড়ে। মিনোক্সিডিল ও ফিনিস্টারেড এই দুটো হলো সরকারকর্তৃক স্বীকৃত। মিনোক্সিডিল দিলে চুল প্রচুর গজায়। ছেড়ে দিলে সে চুল গুলো আস্তে আস্তে পড়ে যায় । রোগীর ধারণা যে, তার সবচুল পড়ে যাচ্ছে। ব্যাপার টা তা না। যার চুল পড়া রোগ তার চুল কমতেই থাকবে। মিনোক্সিডিল খুব নিরাপদ একটা ওষুধ। যা সারাজীবন ব্যবহার করা যায়। তবে এতে অনেকের মাথা চুলকায়। ড্রাই হয়ে যায়। মাথায় নিয়মিত তেল দিলে মিনোক্সিডিলের কারণে মাথায় যে ড্রাই ভাব তৈরি হয় তা থাকবে না।