কাচের দাগ পরিষ্কার করার জন্য কি ব্যবহার করা যায়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
486 বার দেখা হয়েছে
"চিন্তা ও দক্ষতা" বিভাগে করেছেন (15,280 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (140 পয়েন্ট)
গ্লাস পরিষ্কার করবার জন্য বাজারে বেশ কিছু রকমের পণ্য-দ্রব্যাদি পাওয়া যায়।

এছাড়াও,

১) সাদা ভিনেগার মিশ্রিত জল (১ঃ৩) পরিমাণে মিশিয়ে দিয়ে তাতে ভিজিয়ে রেখে,

২) সাবানগুড়ো পানি (১ঃ৯)

৩) যদি কাচে পানির দাগ পরে থাকে তবে কোনো ধারালো বস্তুর দ্বারা ঘষে তা তুলে ফেলা সম্ভব।
0 টি ভোট
করেছেন (9,280 পয়েন্ট)
গৃহ ও জীবনযাপন
কাঁচের ওপরের যেকোনো দাগ তোলার ১০টি ঘরোয়া কৌশল
কাঁচের ওপরে পড়া দাগ তোলার সহজ দশ ঘরোয়া উপায়
 
বাথরুমে হোক কি বেসিনে, সুন্দর দেখানোর জন্য কাঁচের ব্যাপক ব্যবহার আমরা করে থাকি। আর বাথরুম বা বেসিন, যেহেতু জলের সঙ্গে এই সবের যোগ বেশি, তাই জলের দাগ এই কাঁচে পড়া স্বাভাবিক। কাঁচের খাবারের টেবিলেও এই দাগ পড়ে যায় দীর্ঘ দিন ধরে মোছামুছি করার জন্য। কিন্তু এই দাগ তুলবেন কি করে! খুব সহজে আর ঘরোয়া দশ পদ্ধতিতে।


১. ডিশ ওয়াসিং লিকুইডঃ

কাঁচের ওপরে পড়া দাগ তোলার জন্য ডিশ ওয়াসিং লিকুইড ব্যবহার
সহজ এবং সুন্দর উপায় কাঁচ থেকে দাগ তোলার জন্য। ভাল ব্র্যান্ডের ডিশ ওয়াসিং লিকুইড কিনে আনুন। কয়েক ফোঁটা কাঁচের ওপর দিয়ে দিন। একটা স্পঞ্জ নিন আর জলে অল্প চুবিয়ে ওই ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে লিকুইড বুলিয়ে নিন কাঁচের ওপর। আস্তে আস্তে করে কাঁচ ঘষে নিন। তারপর পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিন বা মুছে নিন কাঁচ। তারপর একটা শুকনো তোয়ালে দিয়ে কাঁচ মুছে নিন।

২. খবরের কাগজ দিয়ে পরিষ্কারঃ
খবরের কাগজ দিয়েও ভাল করে জলের দাগ তুলে ফেলা যায়। খবরের কাগজ পরিষ্কার জলে ভিজিয়ে রাখুন। ভাল করে ভিজে গেলে কাগজ তুলে যে ডেলা মতো হয়ে যাবে। সেই ডেলা কাঁচের ওপর ভাল করে বিছিয়ে দিন। খানিক পর ভাল করে কাগজ তুলে ফেলুন। পরিষ্কার ভিজে কাপড় দিয়ে মুছে নিন কাঁচ আর হাওয়ায় শুকিয়ে যেতে দিন।


৩. ভিনিগারের প্রয়োগঃ
ভিনিগারের ব্যবহার আমরা টাইলস থেকে দাগ তুলতে করি। কিন্তু কাঁচ থেকে জলের দাগ তুলতেও ভিনিগার ভাল কাজে আসে। ভিনিগার আর বেকিং সোডা নিয়ে একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ কাঁচের ওপর যেখানে জলের দাগ সেখানে দিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মিশ্রণ অল্প স্ক্রাব করে নিন আর জল দিয়ে তুলে ফেলুন।

৪. লেবুর রসের ব্যবহারঃ
লেবুর রসকে প্রাকৃতিক ব্লিচার বলা হয়। যে কোনও দাগ তুলতে অনবদ্য কাজ দেয়। এক্ষেত্রে লেবুর রসের সঙ্গে লাগবে ভিনিগার। সমান অনুপাতে ভিনিগার আর লেবুর রস মিশিয়ে সেই মিশ্রণ একটা স্প্রে বোতলে নিয়ে দাগের জায়গায় স্প্রে করুন। ২০ মিনিট মতো রেখে দিন আর তারপর ভিজে কাপড় দিয়ে মুছে নিন। ঝকঝকে হয়ে উঠবে কাঁচ

৫. নুন ব্যবহারঃ

কাঁচের ওপরে পড়া দাগ তোলার জন্য নুন ব্যবহার
নুন কাঁচের ওপর মিনারেলের প্রয়োগের ফলে যে দাগ তা কমিয়ে আনে। নুন মিনারেলের জমে থাকা দাগকে ভেঙে দেয় ভিতর ভিতর। তাই সহজেই দাগ উঠে যায়। জলের মধ্যে শুধু একটু নুন মিশিয়ে নিন আর এক ঘণ্টা রেখে দিন। একটি স্প্রে বোতলে ওই জল নিয়ে কাঁচের ওপর দাগের জায়গায় দিন আর একটা স্পঞ্জ দিয়ে ঘষে নিন। তারপর পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিলেই আগের মতো চকচকে হবে আপনার কাঁচ।

৬. অ্যামোনিয়া যুক্ত লিকুইডঃ
হার্ডওয়ারের দোকানে অ্যামোনিয়া যুক্ত লিকুইড পেয়ে যাবেন। অ্যামোনিয়ার মাত্রা যাতে একটু বেশি থাকে সেটা দেখে নেবেন। এই লিকুইড দিয়েও কিন্তু সহজেই কাঁচের দাগ তোলা যায়। আগে হাতে গ্লাভস পরে নেবেন। তারপর অ্যামোনিয়া লিকুইড স্প্রে করে দেবেন কাঁচের ওপর। ১০ মিনিট রেখে দিয়ে অল্প ভিজে স্পঞ্জ দিয়ে কাঁচ পরিষ্কার করে নিন।


৭. টুথপেস্টের ব্যবহারঃ
কাঁচের থেকে দাগ তুলতে টুথপেস্ট এর আগে আপনি ব্যবহার করেন নি জানি। কিন্তু এবার ব্যবহার একবার করেই দেখুন। একটি ভিজে কাপড়ের মধ্যে টুথপেস্ট নিয়ে নিন। টুথপেস্টের ওপর অল্প জল নিন। তারপর কাঁচের ওপর মাখিয়ে নিন টুথপেস্ট। কাঁচে খুব বেশি জোর না দিয়ে ঘষে নিন। খানিক রেখে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। দুই বার এভাবে করলে অনেকটা পরিষ্কার হবে।

৮. কমার্শিয়াল পেস্ট ক্লিনজারঃ
বাজারে এই ধরণের ক্লিনসার খুব সহজে পাওয়া যায়। এগুলি ব্যবহারের সুবিধে হল, যেহেতু নিজে এটি পেস্ট, তাই জলীয় কোনও দাগ এই পেস্ট রেখে যায় না। একটি ব্রাশে করে অল্প পেস্ট লাগিয়ে নিন। এবার ওই দাগের জায়গায় লাগিয়ে আস্তে আস্তে ঘষে নিন। তারপর একটা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন। জল এক্ষেত্রে লাগবে না।

৯. অ্যাসিডিক ক্লিনসার ব্যবহার করুন বেশিঃ
অ্যামোনিয়া যুক্ত ক্লিনসার ব্যবহার করতে বলেছিলাম আগেই। কিন্তু আরেকটি ভাল পদ্ধতি হল অ্যাসিডিক লিকুইড ব্যবহার করা। এতে জলের দাগের ভিতরের রাসায়নিক কাঠামো সহজে ভেঙে যায়। হার্ডওয়ারের দোকানে পেয়ে যাবেন এরকম সলিউশন। শুধু ব্যবহার করার সময়ে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি। আর মনে রাখবেন, অ্যাসিডিক সলিউশন ব্যবহার করতে বলছি, অ্যাসিড নয়। হাতে গ্লাভস পরে কাঁচে সেই সলিউশন স্প্রে করে কাপড় দিয়ে ঘষে নিন। তারপর শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন।

১০. রোজের যত্নঃ
বিশেষ বিশেষ জিনিস ব্যবহার করে দাগ তো তুলবেনই। কিন্তু রোজের যত্ন আরেকটু বেশি হলে এই নানা রকম দাগ পড়ার সমস্যা আর খুব বেশি হয় না। রোজ কাঁচ জল ন্যাকড়া দিয়ে মুছে নিন। তারপর ভাল করে শুকিয়ে নিন। শুকিয়ে নেওয়াটা কিন্তু খুব ভাল করে হতে হবে। না হলে দাগ হতে থাকবে। সপ্তাহে এক দিন করে ওপরে বলা যে কোনও একটা সলিউশন ব্যবহার করুন। তাহলে সারা বছর ঝকঝকে থাকবে আপনার কাঁচের জিনিস।

(Collected)

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 1,370 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 430 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
1 উত্তর 487 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 659 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 231 বার দেখা হয়েছে

10,771 টি প্রশ্ন

18,440 টি উত্তর

4,741 টি মন্তব্য

257,056 জন সদস্য

23 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 23 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. M D Akib

    110 পয়েন্ট

  2. QuintonQ9942

    100 পয়েন্ট

  3. TammiDeVis49

    100 পয়েন্ট

  4. ChiquitaZfs3

    100 পয়েন্ট

  5. Kandace37U11

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা #science পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...