মূলত চামড়ার উপরের স্তরে স্বাভাবিক ত্বকের রংয়ের থেকে খানিকটা হালকা আঁচড়ের মতো দাগ পড়লেই বলা হয় ত্বক ফেটে গেছে। চামড়া স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি টান পড়লে এ ধরনের দাগ সৃষ্টি হয়।
সাধারণত হুট করে ওজন বেড়ে গেলে, বা হঠাৎ করে লম্বা হওয়ার কারণে এ ধরনের দাগ তৈরি হতে পারে। প্রথমে হালকা লালচে ও বেগুনি দাগ পরে হালকা হয়ে ফাটা দাগ সৃষ্টি হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হরমোনের পরিবর্তন, বয়ঃসন্ধিকাল, গর্ভাবস্থা এবং বিশেষ হরমোন থেরাপি ইত্যাদি কারণে শরীরে ফাটা দাগ পড়তে পারে। মূলত স্তন, উরু, পশ্চাৎদেশ, পেট, হাঁটু ইত্যাদি অংশেই ফাটা দাগ বেশি হয়। অনেক ক্ষেত্রে বংশগত কারণেও এই সমস্যা হতে পারে।
কোনো লোশন, ক্রিম বা তেল ব্যবহারের মাধ্যমে এই ফাটা দাগ থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া দুষ্কর। তবে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের যে কোনো ফাটা সমস্যারই মূল কারণই হল শুষ্কতা। আর্দ্রতার অভাবে ত্বক ফাটতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রেও ত্বকের আর্দ্রতার ভারসাম্য ধরে রাখতে হবে।
এ জন্য প্রচুর পানি পান করতে হবে। আর বাহ্যিকভাবে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সারা বছরই ব্যবহার করতে হবে ময়েশ্চারাইজার।
হঠাৎ যেন ওজন বেড়ে না যায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। পুষ্টিকর খাবার, প্রচুর সবজি ও ফল খেতে হবে নিয়মিত। সুস্থ ত্বকের জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আর তাই সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলাও জরুরি।