এই প্রশ্নের আগে আমাদের আগে জানা দরকার মানুষ কেন অজ্ঞান হয়??
এরজন্য বিশেষজ্ঞরা মূলত ৪টি কারনকেই দায়ী করেছেন।
১. নিম্নরক্তচাপ: শরীরে রক্তচাপ কমে গেলে মানুষ অজ্ঞান হয়ে যায়।
২. ডায়াবেটিক: অতিরিক্ত মুত্র ত্যাগ করলে শরীরে জলের পরিমান কমে যায়। ফলে অত্যাধিক সুগারে নার্ভ দূর্বল হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে মানুষ অজ্ঞান হয়ে যায়।
৩. হৃদরোগ: হার্টে সমস্যা থাকলে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন হয়না। ফলে মানুষ অজ্ঞান হয়ে যায়।
৪. ডিহাইড্রেশন এর কারণে মানুষ অজ্ঞান হয়ে যায়।
অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মূল কারণটি ঘটে মস্তিষ্কে।নিম্নরক্তচাপ,ডায়াবেটিস,হৃদরোগ,ডিহাইড্রেশন ইত্যাদি কারনে যদি মস্তিস্কের নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমাদের শরীর মস্তিস্কের সাথে অনেকসময় যোগাযোগ হারায় আর এটাকেই আমরা জ্ঞান হারানো বা অজ্ঞান হওয়া বলি। আর অনেক সময় ঔষধ প্রয়োগ করে মানুষকে অজ্ঞান করা হয়। অইক্ষেত্রে ঔষধে এমন রাসায়নিক উপাদান থাকে যা মস্তিস্কের উপর ক্রিয়া করে মানুষকে চেতনাহীন করে দেয়। যেমনঃ অপারেশন এর আগে রোগীকে এনেস্থেসিয়া দেওয়া হয়। আবার ল্যাবে কোনো প্রানীকে চেতনাহীন করতে ব্যবহৃত হয় ক্লোরোফরম।
সুতরাং মানুষ অজ্ঞান হয় কখন আর কেন তা আমরা এতক্ষণে নিশ্চই ক্লিয়ার??
এইবার আসি মূল প্রশ্নে মাথায় আঘাত পেলে মানুষ কেন অজ্ঞান হয়ে যায়??
এর উত্তর হচ্ছে মাথায় আঘাত মানে মস্তিকে আঘাত। আমাদের মাথার খুলি ছোটখাটো আঘাত থেকে ব্রেইনকে রক্ষা করতে পারে কিন্তু বড় কোনো আঘাত পেলে আমাদের মস্তিস্কের নার্ভগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর সেই ক্ষতির হিসাব অনেকটা নির্ভর করে আঘাতটা মাথার কোন স্থানে লেগেছে আর কতটা আঘাত লেগেছে। নার্ভের ক্ষতি হওয়ার কারনে কোনো কোনো সময় স্থায়ীভাবেও একজন মানুষ চেতনা হারাতে পারেন আর সাধারন ভাষায় একে কোমায় চলে যাওয়া বলে। অস্থায়ীভাবে অজ্ঞান হওয়া মানে কিছুক্ষন পরে আঘাতপ্রাপ্ত ব্যাক্তি তার জ্ঞান ফিরে পাবে। আঘাতের কারনে অনেকসময় ব্যাক্তিকে বমি করতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য যে, মাথায় খুব জোরে আঘাত পেলে যদি নার্ভ সিস্টেমের বেশি ক্ষতি হয়ে তাহলে রোগীর বড় ধরনে ক্ষতিও হতে পারে।যেমনঃ মানসিক বিকারগ্রস্ততা, মেমরি লস, ব্রেইন ডেথ এমন কি মৃত্যুও হতে পারে।
উত্তরদাতাঃ শাহ রেয়াজুর রহমান রাজ।