আমরা জানি শীতকালে পরিবেশের তাপমাত্রা খুবই কম থাকে। ফলে, ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ু স্তর শীতল থাকে এবং বায়ুতে মিশে থাকা জলীয়বাষ্প ধীরে ধীরে ঘনীভূত হতে থাকে, ঠিক যেমনটা করে মেঘ তৈরি হয়। ঘনীভূত জলীয় বাষ্প ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণায় পরিণত হতে থাকে। বায়ুমণ্ডলে থাকা ধূলিকণার সাথে মিশে ঘনীভূত জলীয়বাষ্প খুব সহজেই কুয়াশা তৈরি হতে পারে।
কুয়াশা তৈরির পেছনে বাতাসের আর্দ্রতা ও তাপমাত্রার পার্থক্য দায়ী থাকে। ভূ-পৃষ্ঠ রাতে দ্রুত তাপ বিকিরণ করে ঠাণ্ডা হয়ে পড়লে ভূ-পৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ু স্তর ঠাণ্ডা ও আর্দ্র হয়। এবং কুয়াশা তৈরির উপযুক্ত অবস্থার সৃষ্টি করে। তবে, সমুদ্রের উপকূল-ভাগে, উষ্ণতর বায়ু, শীতল সমুদ্রের পনির সংস্পর্শে আসলেও কুয়াশার সৃষ্টি হয়।
আবার আমরা জানি, পানি তিন অবস্থায় থাকতে পারে- কঠিন, তরল, বায়বীয়। শীতকালে বাতাসে থাকা জলীয়বাষ্প ঠাণ্ডায় জমে বিন্দু বিন্দু পানির আকার ধারণ করে। এই পানির অণুগুলো জলীয় বাষ্পের চেয়ে ভারী হওয়ায় নিচে নেমে আসে যাকে আমরা কুয়াশা বলে থাকি।