মানুষ কোমায় গেলে শারীরিক কার্যাদি কিভাবে হয়?? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
472 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (1,100 পয়েন্ট)

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (16,190 পয়েন্ট)

আচ্ছা কখনো কি ভেবে দেখেছেন, কোমা ব্যাপারটা আসলে কেমন? টিভিতে বা চলচ্চিত্রে কোমায় থাকা রোগীদেরকে সবসময় দেখানো হয় একজন ঘুমন্ত ব্যক্তির মতো। বাহ্যিক দিক থেকে ভাবলে, ব্যাপারটা তো ঠিকই আছে, কোমা তো আসলে ঘুমের মতই দেখতে! চোখ বন্ধ থাকবে, নিঃশ্বাস হবে ধীর, মুখের অভিব্যক্তিটা হবে শান্তিপূর্ণ- কোমা সত্যিকার অর্থে এমনটাই।

তবে বাইরে থেকে একজন ঘুমন্ত ব্যক্তি আর কোমায় থাকা রোগীকে একই রকম দেখা গেলেও, ভেতরে, বিশেষ করে মস্তিষ্কের কার্যক্রম দু’ক্ষেত্রে পুরোই আলাদা। মস্তিষ্কের চোখে ঘুম আর কোমার মাঝে কোনো সাদৃশ্যই নেই।

কোমাকে তার মেডিক্যাল সংজ্ঞায় দেখানো হয়েছে একধরনের অচেতনতা হিসেবে, যে অচেতনতা থেকে মানুষটিকে জাগানো সম্ভব নয়; আলো, শব্দ বা সাধারণ ব্যথার স্টিমুলির প্রতি কোমায় থাকা ব্যক্তি থাকবে অসাড়, তার কোনো স্বাভাবিক ঘুমচক্র বা স্লিপ সাইকেলও থাকবে না, তাকে কোনো স্বেচ্ছাকৃত নড়াচড়াও করতে দেখা যাবে না।  

কোমার সংজ্ঞাটি বিশদ বটে, কিন্তু কোমায় থাকার সময়ে আসলে একজন মানুষের মস্তিষ্কে কী চলে, সে ব্যাপারটি ভালোই কৌতূহলোদ্দীপক। কোমাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা সম্বোধন করেন এক চেতনার ব্যাধি  বা 'Disorder of Consciousness' হিসেবে। চেতনার ব্যাধিগুলো সাধারণত হয় মস্তিষ্ক কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলে।

ক্ষতিগ্রস্থতা অনেকভাবেই হতে পারে। স্ট্রোক হতে পারে, অক্সিজেনের অভাব হতে পারে, মাথায় বড়সড় আঘাতে ফলেও হতে পারে এই ক্ষতি। আর মস্তিষ্কের কোনো একটা ক্ষতি মানুষের মাঝে গভীর অচেতনতার সূত্রপাত ঘটাতে পারে, যে অচেতনতা টিকতে পারে দিনের পর দিন, কিংবা মাসের পর মাস। এই অচেতনতার নামই কোমা। যদিও দর্শন মানুষের চেতনার স্বরূপ নিয়ে অনেক তর্ক করেছে, কিন্তু মেডিকেলের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই সোজাসাপ্টা। কারো চেতনা আছে তখনই বলা যাবে, যখন তার দুটি বৈশিষ্ট্য ঠিকঠাক থাকবে। তাকে হতে হবে awake বা সজাগ এবং aware বা সচেতন। সজাগ বলতে বোঝানো হচ্ছে কোনো মানুষের যদি স্বেচ্ছায় দেহকে সঞ্চালন করতে পারা, হাত নাড়ানো বা চোখের পাঁপড়ি নাড়ানো। আর সচেতন বলতে বোঝায়, আশেপাশের ঘটনার প্রতি প্রতিক্রিয়া থাকতে হবে। অর্থাৎ কেউ আঘাত করলে ব্যথা পেতে হবে, বা কেউ ডাকলে সাড়া দেবার ক্ষমতা থাকতে হবে। কারো কোনো চেতনার ব্যাধি হলে, এ দু’টো অন্তত যেকোনো একটিতে ঘাটতি দেখা যায়। কোমার ক্ষেত্রে দু’টো বৈশিষ্ট্যের একটিও থাকে না।

তবে একজন কোমায় থাকা রোগীর মস্তিষ্ক যে চলছে, তা বোঝা যায় রোগীর কিছু অটোমেটিক ব্যাসিক রেস্পন্স থেকে, যেমন তাদের চোখের পিউপিল ডাইলেটেড অবস্থায় থাকে। কিন্তু এই চলাটা সাধারণের তুলনায় নিতান্তই নগণ্য। মস্তিষ্ক কোমায় থাকা অবস্থায় অনেক কম শক্তি ব্যবহার করে, আপনার সবচেয়ে গভীর ঘুম থেকেও ১০-২০% কম শক্তি, আর জাগ্রত অবস্থার তুলনায় ৫০-৬০% কম। এই কম শক্তির ব্যবহার থেকেই বোঝা যায়, সারা মস্তিষ্কের কার্যক্রম তখন কতটা শিথিল রয়েছে। এই শিথিল থাকার কারণে, মস্তিষ্কে তখন আর রেগুলার স্লিপ সাইকেল থাকে না।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+10 টি ভোট
1 উত্তর 970 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 767 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 331 বার দেখা হয়েছে
01 ফেব্রুয়ারি 2022 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন samir dey (140 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 105 বার দেখা হয়েছে

10,743 টি প্রশ্ন

18,396 টি উত্তর

4,731 টি মন্তব্য

243,910 জন সদস্য

38 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 38 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. MIS

    930 পয়েন্ট

  2. shuvosheikh

    320 পয়েন্ট

  3. তানভীর রহমান ইমন

    160 পয়েন্ট

  4. unfortunately

    120 পয়েন্ট

  5. Muhammad_Alif

    120 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো #ask মোবাইল ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি #science স্বাস্থ্য প্রাণী বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #biology বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...