কোমা অবস্থায় মস্তিষ্কের সচেতনতা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বন্ধ থাকে। বিশেষ করে স্মৃতি গঠনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিপোক্যাম্পাস (hippocampus) সেই সময় কার্যক্ষম থাকে না। ফলে নতুন কোনো স্মৃতি তৈরি হয় না, এবং মানুষের চেতনা থাকে একধরনের "নিউরোলজিক্যাল ব্ল্যাকআউট" অবস্থায়। বিজ্ঞানীরা বলেন, এই অবস্থায় থাকা মানুষরা বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পারে না, তাই কোমায় থাকা সময়টা মনে রাখাও সম্ভব নয়।
যখন কেউ কোমা থেকে জেগে ওঠে, তখন তার মনে হয় যেন হঠাৎ করেই সব বদলে গেছে। তার কাছে মনে হয়, যেন এক মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটল, আর পরের মুহূর্তেই সে জেগে উঠেছে। মাঝখানের সময়টা যেন তার জীবনের বাইরে চলে গেছে। আসলে তার ব্রেইন সেই সময়টা 'রেকর্ড' করতে পারেনি, তাই তার মনে কিছুই থাকে না। এমনকি কেউ কেউ জ্ঞান ফেরার পর দুর্ঘটনার আগের কিছু ঘটনাও ভুলে যেতে পারে।
তবে কিছু ক্ষেত্রে, যদি কোমা খুব হালকা হয় বা খুব স্বল্প সময় স্থায়ী হয়, তখন কিছু স্বপ্নের মতো অস্পষ্ট অনুভূতি রোগীর মনে থেকে যেতে পারে। কিন্তু, এসব খুবই বিরল এবং পরিষ্কারভাবে মনে রাখার মতো নয়। তাই সাধারণভাবে বলা যায়, কোমায় থাকা সময়টা মানুষ একদমই মনে রাখতে পারে না।