কেউ কোমায় চলে গেলে সেখানে তার ব্রেইন কি করে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+10 টি ভোট
1,150 বার দেখা হয়েছে
"বিবিধ" বিভাগে করেছেন (15,710 পয়েন্ট)

1 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (15,710 পয়েন্ট)
Nishat Tasnim

কোমা গ্রীক শব্দ যার অর্থ ‘ঘুমন্ত অবস্থা’। কোন ব্যক্তি যদি লম্বা সময়ের জন্য অচেতন বা অজ্ঞান থাকেন তাহলে তিনি কোমায় রয়েছেন বলা হয়ে থাকে। কোমা আসলে কোন অসুখ নয় বরং বলা যায় এটি শরীর ও মনের এক বিশেষ অবস্থা। যখন আমরা সুস্থ স্বাভাবিক থাকি, তখন আমাদের মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষগুলো পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন ঘটনায় সাড়া দেয়।কিন্তু কোমায় আচ্ছন্ন থাকলে মানুষের কোন অনুভূতি বা প্রতিক্রিয়া প্রকাশের ক্ষমতা থাকেনা।

ব্যক্তি জীবিত কিন্তু তার মস্তিষ্ক সচেতনতার সর্বনিম্ন পর্যায়ে অবস্থান করে। যে ঘুমাচ্ছে তাকে ডেকে,ঝাঁকিয়ে কোন না কোনভাবে আপনি ঠিক জাগিয়ে তুলতে পারবেন।কারণ তার মস্তিষ্ক আপনার কার্যকলাপে সাড়া প্রদানে সক্ষম তখন। কিন্তু কোমায় থাকা মানুষটিকে আপনি শত চেষ্টার পরেও সজাগ করে তুলতে পারবেন না।অনিশ্চিত-অঘোর ভাব ছেড়ে রোগী কবে চোখ তুলে তাকাবে তা কেউ জানে না।তখন রোগীর কাছের মানুষদের মনের অবস্থাটা সত্যিই কল্পনাতীত।দিন যত যেতে থাকে কোমা থেকে ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা ততই মিইয়ে যেতে থাকে।

অনেকে অপারেশনের সময় অচেতন আর কোমায় অচেতন এ দুটো ব্যাপার আলাদাভাবে বুঝতে পারেন না। সার্জারি বা অপারেশনের সময় যেভাবে অচেতন করা হয় তখন রোগীর জ্ঞান ফিরিয়ে আনা এনাসথেসিস্ট বা সার্জনের নিয়ন্ত্রণেই থাকে।তাহলে কোমায় চলে যাওয়া ব্যক্তিকে কেন ফেরানো সম্ভব না তার পক্ষে! তার কারণ, ব্যক্তি তখন থাকে স্টিমুলাস নন-রেসপণ্ডিং স্টেজে। তার চারপাশের কোন উত্তেজনাতেই ,নাক-মুখের সামনে যত শক্তিশালী চেতনা ফেরানোর ওষুধই ধরা হোক,কিছুতেই তার চেতনা ফিরবে না।

তবে কোমায় চেতনাহীনতার বিভিন্ন মাত্রা রয়েছে। কখনো রোগীর কাছ থেকে কিছু স্টিমুল্যান্টের সাড়া পাওয়া যায়।গ্লাসগো কোমা স্কেল কোমার মাত্রা নির্ণয়ের জন্য একটি মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে ৩ থেকে ১৫ এর ভিতর। স্কোর ৩ থেকে ৫ এর ভিতর আসলে বুঝতে হবে রোগী গভীর অচেতনাবস্থায় রয়েছে যেখান থেকে আর কখনো ফিরে আসা হয়তো সম্ভবও না।স্কোর ১১ থেকে ১৫ মানে সংবেদনশীল অবস্থা,রোগীর চেতনা এখনো কিছুটা অক্ষত।এ অবস্থায় রোগী হাত নাড়তে পারে,চোখ দিয়ে ইশারায় কথা বলতে পারে ,কখনোবা হ্যা বা না তে উত্তরও দিতে পারে।

কোমায় থাকতে অনেকে স্বপ্নও দেখে থাকে।ঘুমের ভেতরে আমরা যে কারনে স্বপ্ন দেখি ,কোমা অবস্থাতেও একই ঘটনা ঘটে।আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক না পাওয়াকেই আমরা স্বপ্নের ভিতর দিয়ে পেতে চাই।মৃত্যুর দরজা থেকে ফিরে আসা মানুষের স্বপ্ন নিয়ে ব্যাপক গবেষনা করেছেন মনস্তাত্ত্বিক কেনেথ রিং। তিনি তাঁর গবেষণার ফল লিপিবদ্ধ করেছেন ‘Heading Toward Omega’ বইটির পাতায়।

©সংগ্রহীত

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+17 টি ভোট
2 টি উত্তর 2,020 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 697 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 950 বার দেখা হয়েছে

10,863 টি প্রশ্ন

18,562 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

860,887 জন সদস্য

28 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 28 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. fly88eco

    100 পয়েন্ট

  2. fly88innet

    100 পয়েন্ট

  3. hitclubcare

    100 পয়েন্ট

  4. sunwin1to

    100 পয়েন্ট

  5. lc88skcoolcenter

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক #ask শরীর রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল চিকিৎসা কী পদার্থবিজ্ঞান প্রযুক্তি সূর্য স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল মনোবিজ্ঞান আগুন গাছ খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার শব্দ দুধ উপায় হাত মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা বাতাস ভয় স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য মৃত্যু হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা চার্জ অক্সিজেন দাঁত ভাইরাস আকাশ গতি কান্না বিড়াল আম
...