Nishat Tasnim শরীর ঘামে নিজেকে ঠাণ্ডা রাখার জন্য। ওয়ার্কআউটের সময় বেশি ঘামছেন মানে আপনার শরীর গরম হয়ে উঠেছে এবং স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসার জন্য ঘাম ঝরাচ্ছেন। যারা নিয়মিত এক্সারসাইজ করেন ও সঠিক ডায়েট মেনে চলেন তারা বেশি ঘামেন। এই ঘাম ঝরাকেই মেদ ঝরা ভেবে নেওয়া একেবারেই ভুল। কারণ শরীরে সঞ্চিত ফ্যাটই ক্যালারি ঝরানোর এনার্জি জোগায়। তাই নিয়মিত এক্সারসাইজ করলে ঘাম ঝরা ও ক্যালরি ঝরার প্রক্রিয়াই চলতে থাকে। যার ফলে ওজন কমে। ফ্যাট ঝরে না।
আমাদের শরীরে তিন ধরনের ফ্যাট থাকে। এগুলো হলোঃ-
১. সাবকুটেনাস : যা ত্বকের নিচে থাকে।
২. ভিসারাল : যা শরীরের ক্যাভিটিতে থাকে।
৩. ইন্ট্রামাসকুলার : যা কম পরিমাণে আমাদের পেশিতে থাকে।
মনে রাখতে হবে এই তিন ধরনের ফ্যাটের প্রতি যদি আমরা নজর না দিই তা হলে তা শরীরে চেপে বসতে পারে। রোগা হওয়ার জন্য ক্র্যাশ ডায়েট মেনে চললে বা অপর্যাপ্ত খাবার খেলে শরীরে এই তিন ধরনের ফ্যাট অতিরিক্ত পরিমাণ সঞ্চিত হতে থাকে। কারণ, আমাদের শরীরের কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয় এনার্জি ফ্যাট থেকেই আসে।
যে কারণে ঘাম ঝরা মানেই মেদ ঝরা নয় :
অতিরিক্ত ওয়ার্কআউটে ঘাম ঝরলেও তার মানে মেদ ঝরা নয়। শরীর ফ্যাটে সঞ্চিত এনার্জির সাহায্য ক্যালরি বার্ন করে। কিন্তু তার পরেই যখন আমরা খাবার খাই, সেই ঘাটতি মিটে যায়। প্রোটিন ও ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার পাশাপাশি কার্ডিও ট্রেনিং করলে শরীর মেদ ঝরাতে পারে। তাই বলে ব্যায়াম বা যোগাভ্যাস বন্ধ করবেন না। কেননা, এই ধরনের এক্সারসাইজ শরীরের ফিটনেস বাড়াতে সাহায্য করে। ফ্যাট বা মেদ ঝরাতে পাশাপাশি একটি ডায়েট চার্ট তৈরি করে নিতে পারেন। প্রতিদিনের খাবার সম্পর্কে একটু সচেতন থাকলেই শরীরে বাড়তি মেদ জমবে না। দ্রুত শরীরের ওজন কমাতে ফলের বিকল্প নেই। এজন্য আপেল, লেবু, তরমুজ, নারিকেল, বেদানা, পেঁপে এবং কমলালেবুর মতো উপকারি ফলগুলো খুব বেশি বেশি খেতে পারেন। এসব ফল আপনার মেদ ঝরাতে সহায়ক। সুইমিং, দৌড়ানো, সাইক্লিং, বক্সিং, বারপিইজ, ওয়াল ক্লাইম্বিং ওয়ার্কআউট করতে পারেন।