মহাকাশ কত দূর পর্যন্ত বিস্তৃত? ও মহাকাশের কি কোনো সীমা আছে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
790 বার দেখা হয়েছে
"জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (135,490 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (135,490 পয়েন্ট)
সহজভাবে বললে, আমাদের মহাবিশ্ব এতটাই বিস্তৃত যে কোনো হিউম্যান ব্রেনের পক্ষে তা কল্পনা করা সত্যিকার অর্থেই অসম্ভব! কঠিনভাবে বুঝতে চাইলে পড়া চালিয়ে যেতে পারেন।

‌আমরা যে ছোট্ট পাথুরে গ্রহটাতে বাস করি তার নাম পৃথিবী(ছোট্ট বলাতে রাগ কইরেন না যেন)। পৃথিবীসহ আরও ৭ টি গ্রহ এবং তাদের উপগ্রহসমূহ, এস্ট্রয়েড বেল্ট, ধূমকেতু, উল্কা এরা সবাই সূর্য নামে একটি নক্ষত্রের চারপাশে প্রদক্ষিণ করছে। এই সূর্য পৃথিবী থেকে ১৩ লক্ষ গুণ বড়। এটাকেই আমরা মোটামুটিভাবে সৌরজগত বলে থাকি।

আমাদের সৌরজগতটি আবার মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির একটি ক্ষুদ্র সদস্য। আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে সূর্যের মতো অথবা সূর্যের চেয়েও অনেকগুন বড় অসংখ্য নক্ষত্র রয়েছে। মোট কতটি নক্ষত্র রয়েছে আমাদের এই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে??? উত্তরটা দিতে চাইলে বলতে হবে, একটা বড় আকারের বালুভর্তি ট্রাকে যে কয়টি বালুকণা বিদ্যমান ঠিক ততটি নক্ষত্র বা সৌরজগত রয়েছে আমাদের এই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে (প্রায় ৪০০ বিলিয়ন)।

আবার প্রত্যেকটা তারা একে অপরের থেকে বিশাল দুরত্বে অবস্থিত। সূর্যের পর আমাদের সবচাইতে কাছের যে নক্ষত্রটি রয়েছে তার নাম 'প্রক্সিমা সেন্টরি'। এটি আমাদের থেকে ৪.২২ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। অর্থাৎ আলোর গতিতে ভ্রমণ করলেও সেখানে পোছাতে আমাদের ৪.২২ বছর সময় লেগে যাবে। ভয়েজার-১ মহাকাশযান যেটি এখন পর্যন্ত মহাকাশে সর্বাধিক দুরত্ব অতিক্রম করা একটি স্পেসক্রাফ্ট। ভয়েজার-১ এখনো প্রতি সেকেন্ডে ১৭ কিলোমিটার বেগে ছুটে চলেছে। এটি যদি প্রক্সিমা সেন্টরিতে ঘুরে আসতে চায় তাহলে এর সময় লাগবে প্রায় ৫ হাজার বছর।

এটাতো কেবলমাত্র আামাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির হিসাব। মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির পর সবচাইতে কাছের যে গ্যালাক্সিটি রয়েছে সেটি এই এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি। এন্ড্রোমিডা আমাদের থেকে ২.৫ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। মিল্কিওয়ে, এন্ড্রোমিডা এদের মতো ১২-১০০০ টি গ্যালাক্সি নিয়ে তৈরি হয় একটি লোকাল গ্রুপ। একে গ্যালাক্সি ক্লাস্টার বলে।

অনেকগুলো গ্যালাক্সি ক্লাস্টার একত্রে মিলে তৈরি হয় সুপার ক্লাস্টার।

এরকম অনেক অনেক অনেক ক্লাস্টার নিয়ে আমাদের মহাবিশ্ব তৈরি। এখানেই কী শেষ?

হয়তো না। বিজ্ঞানীরা মাল্টিভার্স তত্ত্বের কথা বলেছেন যেখানে বলা হয় আমাদের ইউনিভার্সের মতোই অসংখ্য ইউনিভার্স রয়েছে। আবার প্যারালাল ইউনিভার্সের কথাও চিন্তা করা যায়। এছাড়াও কসমিক ইনফ্লুয়েশন থিওরি (আমি এটা বুঝি নাই) অনুযায়ী পুরো মহাবিশ্ব আমাদের অবজার্ভেবল ইউনিভার্সের তুলনায় ১৫০ সেক্সটিলিয়ন গুণ বড়।
0 টি ভোট
করেছেন (6,150 পয়েন্ট)
মহাকাশের সীমানা নির্ধারণ করা সম্ভব না। আমাদের দৃশ্যমান মহাবিশ্বই প্রায় ৯৩ বিলিয়ন আলোকবর্ষ। আর দৃষ্টির অগোচরে কত বিশাল মহাবিশ্ব আছে এটা সঠিকভাবে অনুমান করা যায় না। আর মহাবিশ্ব প্রতিনিয়ত প্রচন্ড গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই মুহূর্তে যতটুকু মহাবিশ্ব আছে, পরের মুহূর্তেই ্তার চেয়ে বড় হয়ে গিয়েছে। তাই এর নির্দিষ্ট কোনো সীমানা নেই।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+19 টি ভোট
13 টি উত্তর 31,745 বার দেখা হয়েছে
15 অক্টোবর 2020 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Abdul Hamid (420 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 337 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
3 টি উত্তর 1,041 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 521 বার দেখা হয়েছে
30 ডিসেম্বর 2021 "জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,490 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
4 টি উত্তর 1,566 বার দেখা হয়েছে

10,844 টি প্রশ্ন

18,544 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

845,679 জন সদস্য

8 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 8 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Khairul_Alom_Fardush

    140 পয়েন্ট

  2. daga88unite

    100 পয়েন্ট

  3. go88com12

    100 পয়েন্ট

  4. ishtisamzgift

    100 পয়েন্ট

  5. topbetcam

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন গাছ মনোবিজ্ঞান খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার দুধ উপায় হাত শব্দ মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...