কৃষ্ণবিবর, শ্বেতবিবর এবং ক্ষুদ্রবিবরের মধ্যে একটার সাথে আরেকটার সম্পর্ক কী? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
294 বার দেখা হয়েছে
"জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (135,490 পয়েন্ট)

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (135,490 পয়েন্ট)
কৃষ্ণগহ্বর বা কৃষ্ণ বিবর (ব্ল্যাক হোল নামেও পরিচিত) মহাবিশ্বের অস্তিত্ব ও প্রকৃতি বিষয়ক একটি বহুল প্রচলিত ধারণা।এই ধারণা অনুযায়ী কৃষ্ণগহ্বর মহাবিশ্বের এমন একটি বস্তু যা এত ঘন সন্নিবিষ্ট বা অতি ক্ষুদ্র আয়তনে এর ভর এত বেশি যে এর মহাকর্ষীয় শক্তি কোন কিছুকেই তার ভিতর থেকে বের হতে দেয় না, এমনকি তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণকেও (যেমন: আলো) নয়। প্রকৃতপক্ষে এই স্থানে সাধারণ মহাকর্ষীয় বলের মান এত বেশি হয়ে যায় যে এটি মহাবিশ্বের অন্য সকল বলকে অতিক্রম করে। ফলে এ থেকে কোন কিছুই পালাতে পারে না।আবার সৌরজগৎ সহ সৌরজগতের মতো গ্যালাক্সিসহ আলোকীয় সকল বস্তুই কোনো না কোনো ব্ল্যাক হোলকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে।কিন্তু ব্ল্যাক হোলে কিছুই ছিটকে পড়ছে না। যা ছিটকে পড়বে, তাই নিশ্চিহ্নহয়ে যাবে। আর প্রত্যেকটা ব্ল্যাক হোল সৃষ্টিহয়, মূলত শেষ হয়ে যাওয়া বিপুল নক্ষত্রপিন্ড থেকে।

শ্বেত বিবর - কৃষ্ণ গহ্বরের ঠিক বিপরীতটা। এটি আলো বিকিরণ করে। এর কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায় নি, পুরোই কল্পিত ধারণার ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে আছে শ্বেতবিবর। তবে এর থিওরিটিক্যাল প্রমাণ রয়েছে। ধারণা করা হয়, যেহেতু ব্ল্যাক হোলের ভেতরে কোনো বস্তু গেলে তা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, সেই নিশ্চিহ্ন হওয়া বস্তুগুলো ব্ল্যাক হোল নিষ্পন্ন হলে হোয়াইট হোলের মধ্যে পতিত হয় এবং বিজ্ঞানীদের ধারণা যতটুকু পজেটিভ গ্রাভিটির চাপে ব্লাক হোল সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে এবং সব কিছুকে নিজের করে নিচ্ছে ঠিক তেমনি করে হোয়াইট হোল নেগেটিভ গ্রাভিটির চাপে হোয়াইট হোল সবকিছু বের করে দিচ্ছে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন ব্লাক হোলের কোয়াসার গুলো হতে পারে হোয়াইট হোল। হোয়াইট হোল দেখা যায় না, এর কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, এটি প্রতিনিয়ত আলো বিকিরণ করে। এবং ব্ল্যাক হোল যেমন তার অভ্যন্তরীণ কোনো তথ্য বা কোনোকিছুকেই বের হতে দেয় না, হোয়াইট হোল বিপরীতভাবেই কোনো তথ্য বা কিছুকেই তার অভ্যন্তরে ধরে রাখতে পারে না। সবকিছুই ছেড়ে দেয়। এজন্য এটি খুব উজ্জ্বল। সময়কে বিপরীত দিকে চালালে কৃষ্ণ বিবরকে শ্বেত বিবর বলে মনে হবে। এই প্রক্রিয়াটিকে "টাইম রিভার্সাল অফ ব্ল্যাক হোল" বলা হয়। একে একট উপপ্রমেয়মূলক তারা (Hypothetical star) হিসেবে আখ্যায়িত করা যেতে পারে। কৃষ্ণ বিবরের মত শ্বেত বিবরেরও ভর, চার্জ, কৌনিক ভরবেগ আছে।

"ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি’র পদার্থবিজ্ঞানী সিন ক্যারল হোয়াইট হোলকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেনঃ ব্লাক হোল হলো এমন একটি জায়গা যেখানে কেউ একবার গেলে আর ফিরে আসতে পারবে না; হোয়াইট হোল হলো এমন একটি জায়গা যেখান থেকে কেউ একবার বের হলে আর সেখানে ফিরে যেতে পারেনা। "৷ আপেক্ষিক তত্ত্বের সমীকরণ অনুসারে কিছু যদি এরকম একটি ব্লাক হোলে পড়ে তাহলে সে স্থান-কালের একটি পথে প্রবেশ করবে যাকে আমরা ওয়ার্ম হোল বা কীট বিবর হিসেবে চিনি এবং একটি হোয়াইট হোল দিয়ে সে বেরিয়ে যাবে। হোয়াইট হোল ঐ বস্তুর অংশগুলোকে মহাবিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নিক্ষেপ করবে এমনকি বিভিন্ন সময়েও নিক্ষেপ করতে পারে।

স্ট্রিং থিওরি অনুযায়ী প্যারালাল মহাবিশ্বগুলো একে অপরের সাথে লেগে আছে। যদি একটি মহাবিশ্ব অন্যটির সাথে লেগে থাকে তবে মাঝে মাঝে দুটিতে ধাক্কা লাগে তবে এক সুরঙ্গ (ওয়ার্মহোল) সৃষ্টি হয় যা দ্বারা প্যারালাল মহাবিশ্ব পৌঁছানো সম্ভব। যে মহাবিশ্বে হয়তো আপনার অতীতকাল বা ভবিষ্যৎ কাল চলছে। যার দ্বারা চলে যেতে পারেন অতীত বা ভবিষ্যতে।
আবার তাপবিদ্যার দ্বিতীয় ল থেকে বলা যায় যে,
কোনো ঘটনার এনট্রপি যদি পুনরুদ্ধার থেকে ফিরিয়ে আনা যায় তবে আমরা সময়কে ভ্রমণ করতে পারবো। উপরে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হল তা সবই তাত্ত্বিক তাই এখনো সুনির্দিষ্টভাবে বলা যায় না যে সময় পরিভ্রমণ করা আদৌ সম্ভব হবে কিনা।

তাহলে সংক্ষেপ বলা যায়, ব্ল্যাক হোল একটি মহাবিশ্বের শক্তিবহুল স্থান যার মধ্যে সঞ্চিত শক্তিগুলোর কিছুই বের হতে পারে না, ব্ল্যাক হোলকে কেন্দ্র করেই সৌরজগতের মতো গ্যালাক্সিগুলো আবর্তিত হয়। হোয়াইট হোল তার সম্পূর্ণ বিপরীত। এখানে ঘনত্ব নেই বললেই চলে, সব শক্তি বিকিরিত হয়ে যায়, যা একটি কল্পিত সূত্র। আর ওয়ার্ম হোল হলো, ব্ল্যাক হোলে পতিত হয়া বস্তু যার অস্তিত্বপাওয়া যায় না, তারা একটা সুরঙ্গ পথে হোয়াইট হোলে প্রবেশ করে অন্য কোনো স্থানে ছিটকে যায়, এই ব্ল্যাক হোল থেকে হোয়াইট হোলে যাবার কল্পিত সুরঙ্গ পথটি হলো ওয়ার্ম হোল। এদুটোর তাত্ত্বিক প্রমাণ থাকলেও বাস্তব প্রমাণ পাওয়া যায় নি।তাই বলা যায়, একটি অপরটির সাথে এভাবেই সম্পর্কযুক্ত।

তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া ও helplike.wordpress.com

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+2 টি ভোট
1 উত্তর 208 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 2,683 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 214 বার দেখা হয়েছে
+8 টি ভোট
3 টি উত্তর 1,888 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
3 টি উত্তর 449 বার দেখা হয়েছে

10,807 টি প্রশ্ন

18,512 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

512,438 জন সদস্য

173 জন অনলাইনে রয়েছে
29 জন সদস্য এবং 144 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ

    1280 পয়েন্ট

  2. Dibbo_Nath

    370 পয়েন্ট

  3. Fatema Tasnim

    340 পয়েন্ট

  4. _Polas

    160 পয়েন্ট

  5. Arnab1804

    140 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে ডিম চাঁদ কেন বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মাছ মশা শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা মস্তিষ্ক ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...