ডার্ক ম্যাটার কি শোষণ করে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+2 টি ভোট
284 বার দেখা হয়েছে
"পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (135,480 পয়েন্ট)

1 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (43,930 পয়েন্ট)

 

image

image

আজব এক জিনিস এই ডার্ক ম্যাটার। আলোর সাথে সম্ভবত এর এক ধরনের শত্রুতা আছে, কারণ ডার্ক ম্যাটার ভুলেও আলোর সাথে কোন সম্পর্কে যায় না। না সে আলো শোষণ করে, না করে প্রতিফলন। ফলে একে দেখাও যায় না। কেবল আলো নয়, আমাদের যে কোন তড়িৎ-চৌম্বকীয় তরঙ্গের সাথেও সে একই রকম আচরণ করে।

কী দিয়ে তৈরী এই ডার্ক ম্যাটার?

ডার্ক ম্যাটার কী দিয়ে তৈরী তা এখনও বের করা না গেলেও এইটুকু নিশ্চিত হওয়া গেছে আ

 

পড়া চালিয়ে যান

 

 

 

ডার্ক ম্যাটার এর অস্তিত্ব সম্পর্কে যতটা না আমারা নিশ্চিত, ঠিক ততটা ই অনিশ্চিত এর পরিচয় আর গঠন সম্পর্কে। প্রথমত, ইহা ডার্ক অর্থাৎ অন্ধকার বা কালো, মানে হলো এটা কোন তারকা বা গ্রহের আকৃতির নয় যা আমরা দেখতে পারি। গবেষণায় দেখা যায় যে। সেখানে অনেক ব্যবধান যা দিয়ে মহাবিশ্বের গঠনে ২৫% দরকার হয়। দ্বিতীয়ত, এটা নরমাল ম্যাটার এর কোন অন্ধকার মেঘ এর মতোও নয়। পরমান্য দিয়ে তৈরি এমনি এক বস্তু- Baryons ও নয়। শুধু মাত্র আমরা একে জানি এই জন্যে যে আমরা Baryonic মেঘ কে সনাক্ত করতে পারি এর মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করা তেজস্ক্রিয় বিকিরন এর শোষণ নির্ণয় করে। তৃতীয়ত- ডার্ক ম্যাটার কোন অ্যান্টিম্যাটার ও নয়। কারন আমরা সেই বিস্ময়কর গামা রশ্মি দেখতে পাই না যখন অ্যান্টিমেটার ম্যাটার দ্বারা ধ্বংস করার সময় উৎপন্ন হয়। ফলশ্রুতিতে- আমরা ওদেরই পৃথক করতে পারি সে সব বিশাল ব্ল্যাক হোল আকারের গ্যালাক্সি গুলো অভিকর্ষীয় লেন্সে ধরা পড়ে। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ম্যাটার আলোকে বেকে দিতে পারে যখন আলো তার অনেকটা কাছাকাছি হয়ে চলে, কিন্তু আমরা তখনও পর্যাপ্ত দৃশ্যমান আচরন দেখতে পাই না যে ধরে নিতে পারি অবজেক্ট এর বাকি ২৫% তৈরি হতে তা প্রয়োজন হয়। তাই রহস্য কন্টিনিউস...।

image

মহাশুন্যের সম্প্রসারন ব্যাখ্যা থেকে আমরা জানি যে সেখানে কতো টুকু ডার্ক এনার্জি রয়েছে। অন্য যে কোন কিছু থেকে এটা এক বিরাট বিস্ময়। মহাবিশ্বে ৭০ ভাগ এর ও বেশি ডার্ক এনার্জির অস্তিত্ব এই বিস্ময় কে আরও প্রকট করে তুলে। আর ডার্ক ম্যাটার আছে ২৫ ভাগ, বাকি সব কিছু পৃথিবীতে। এই পর্যন্ত যত কিছু পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে আমাদের যন্ত্রপাতি দিয়ে তা ৫ ভাগ এর ও কম সাধারন বস্তু- যুক্ত করেন গবেষকরা। আসলে একে মোটেও "নরমাল ম্যাটার" বা সাধারন বস্তু বলা বলা ঠিক নয়, কারন সেই কবে থেকেই এটা কিন্তু মহাবিশ্বের এক বিতর্কিত বস্তু হিসেবে ধরা হয়।

ডার্ক এনার্জি নিয়ে আমার ব্যাখ্যা এই বলে যে- ডার্ক এনার্জি কিন্তু আমাদের মহাশুন্যের একটি সম্পদ। "আলবার্ট আইনস্টাইন" ছিলেন প্রথম ব্যক্তি, জিনি সর্ব প্রথম অনুধাবন করেন যে মহাশুন্য কিন্তু মোটেও শুন্য নয়। মহাশুন্যে আছে অদ্ভুত আর চমকপ্রদ সব বস্তু, যার অনেক গুলো সম্পরকে আমাদের খুব সামান্যই ধারনা আছে। স্যার আইনস্টাইন প্রথম যেটি আবিষ্কার করেন তা হলো- অনেক গুলো স্পেস অর্থাৎ মহাশুন্যের অস্তিত্ব কিন্তু বিদ্যমান। তার পরে আসে, তাঁর মাধ্যাকর্ষণ তথ্য- যে অংশে তিনি "মহাকর্ষীয় ধ্রুবক" কে অস্তিত্ব দান করেছেন, যা দ্বিতীয় ভবিষৎবাণী করে যে- মহাশুন্যের "Empty space" নিজে শক্তি উৎপাদন করতে সক্ষম। কেননা, এই শক্তি ও যে মহাশুন্যের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য, ইহা মহাশুন্যের সম্প্রসারন এর সাতে মিস্রিত হতে পারে না। যত বেশি মহাশুন্যের অস্তিত্ব বিদ্যমান হবে, তত বেশিই এই শক্তির আবির্ভাব ঘটবে। ফলশ্রুতিতে, এই শক্তিই মহাবিশ্ব দ্রুত থেকে দ্রুততর সম্প্রসারনের কারন। দুর্ভাগ্যবশতঃ কেউ ই এই সিদ্ধান্তে আজ পর্যন্ত আসতে পারে নি যে, এই মহাকর্ষীয় ধ্রুবক এখানে কেন আসলো, মহাবিশ্বের ত্বরণ পর্যবেক্ষণে কেন কম বেশি এর পরিমাপ কেই সথিক ধরতে হয়।

স্পেস কিভাবে শক্তি সংগ্রহ করে, তার আরেকটি ব্যাখ্যা আসে বস্তু বা পদার্থের "কোয়ান্টাম থিওরি" থেকে। এই থিওরি তে, " শুন্য স্তান বা স্পেস" আসলে সাময়িক বা কাল্পনিক ভাবে পরমাণু দ্বারা পরিপূর্ণ যা একাধারে সৃষ্টি হচ্ছে আবার অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যখন পদার্থবিদ গন চেষ্টা করলেন এর পরিমান গননা করতে, উত্তর আসলো ভুল- এক দুই জনের না, অনেকেরই। হিসেবে যে সংখ্যা টি বের হয়ে আসলো তা হলো -10^120 অর্থাৎ, ১ এর পরে ১২০ টা শুন্য বসালে যা হয় আর কি। অনেক কঠিন হয়ে গেলো এই উত্তর ভুল হওয়া তে। তাই রহস্য অজানাই থেকে গেলো।

সর্ব শেষ একটি সম্ভাব্যতা দেখা দিলো যে- আইনস্টাইন এর মাধ্যাকর্ষণ তথ্য সঠিক নয়। এটা শুধু মহাবিশ্বের সম্প্রসারনের উপরই প্রভাব ফেলে না, বরং তা প্রভাবিত করে যে ভাবে ছায়াপথে নরমাল ম্যাটার আচরন করে এবং যেভাবে ক্লাস্টার বা গুচ্ছ ছায়াপথ রুপেও আচরন করে। আর এই তথ্য এমন একটি রাস্তা দেখাতে পারে যদি সমাধান হয় যে ডার্ক এনার্জি সমস্যা নতুন কোন অভিকর্ষীয় থিওরি কি নাঃ আমরা পর্যবেক্ষণ করতে পারি কিভাবে গ্যালাক্সি গুলোএক গুছছ রুপে একত্রে আসে। কিন্তু যদি তা এমন ভাবে দেখা দেয় যে- অভিকর্ষের একটি নতুন সুত্র বা থিওরির প্রয়োজন, তবে তা কি রকম থিওরি হতে পারে? কিভাবে তা সৌরজগতের গতির সঠিক ব্যাখ্যা দিবে? যেমন তা দিতে পারে আইনস্টাইন এর থিওরি, এবং যা এখন পর্যন্ত আমাদের কে মহাবিশ্বের পৃথক ভবিষৎবাণী দিচ্ছে যা দরকার। যদিও সেখানে অনেক থিওরি আছে, কিন্তু কোন টা ই তত টা গ্রহণযোগ্য নয়। তাই এই রহস্য থেকেই যাচ্ছে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
1 উত্তর 320 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 264 বার দেখা হয়েছে
+4 টি ভোট
1 উত্তর 491 বার দেখা হয়েছে
24 ফেব্রুয়ারি 2021 "পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,480 পয়েন্ট)
+3 টি ভোট
1 উত্তর 241 বার দেখা হয়েছে
23 ফেব্রুয়ারি 2021 "পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,480 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
1 উত্তর 256 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,656 জন সদস্য

136 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 135 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  2. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  4. hubetplus

    100 পয়েন্ট

  5. SusanPerrier

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...