আমাদেরকে প্রথমেই জানতে হবে উচ্চ রক্তচাপ বলতে আমরা কি বুঝি? সাধারণত যদি একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সিস্টোলিক (ওপরেরটা) রক্তচাপ ১৪০ বা তার বেশি এবং ডায়াস্টোলিক (নিচেরটা) রক্তচাপ ৯০ বা তার বেশি পাওয়া যায়, তাহলে সেই ব্যক্তির উচ্চ রক্তচাপ আছে বলে ধরা হয়।
উচ্চ রক্তচাপের কারন আমরা কমবেশি সবাই জানি। সেইগুলো আর লিখছি না।কারা বেশী ঝুঁকিতে আছেন সেই বিষয়ে জানা থাকলে উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার আগেই নিজেকে নিরাপদ রাখা যায়। সাধারণত স্থূলকায় ব্যক্তি, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি, ধূমপায়ী এবং যাঁরা শারীরিক পরিশ্রম কম করেন, তারা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিতে থাকেন বেশি।
এখন আসছি কিভাবে উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করা যায়ঃ
ওজন নিয়ন্ত্রনে আনতে হবে।
খাবারের সাথে অতিরিক্ত লবন খাওয়া বাদ দিতে হবে।
নিজের কাজ যথাসম্ভব নিজেই করার চেষ্টা করতে হবে।
অন্তত ২০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে।
৩০ মিনিট জোরে হাঁটতে হবে (যেন ঘাম বের হয়)
ধূমপান চিরতরে বাদ দিতে হবে।
মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা থাকলে তা নিয়ন্ত্রনের জন্য মেডিটেশন করা যেতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তি জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা সত্ত্বেও তাঁর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না এলে তাঁকে ওষুধ সেবন করতে হবে এবং তা অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শমতো।
এখন আসছি আপনার প্রশ্নের উত্তরে,
হঠাৎ কোন সুস্থ ব্যক্তির রক্তচাপ বেড়ে গেলে প্রথমেই তাকে বিশ্রাম নিতে হবে।তারপর মাথায় ঠাণ্ডা পানি দিতে হবে।কোনভাবেই অস্থির হওয়া যাবে না। তারপর চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে অবশ্যই।নিজে নিজে কোন ওষুধ সেবন করা যাবে না।ওষুধ লাগবে কি লাগবে না সেটা চিকিৎসকই বলবেন।