ত্বকের শুষ্ক হয়ে যাওয়ার আগে রোগ সোরিয়াসিস। প্রকৃতিগত কারণে শীতকালে এমনিতেই ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই এই সময়ে বিশেষ কিছু সতর্কতা না নিলে সোরিয়াসিসে আক্রান্তদের অসুবিধে হওয়ার কথা। নিচের পরামর্শ মেনে চলুন, উপকার হবে।
সাবান – সোরিয়াসিসে আক্রান্তদের বেশি সাবান না মাখাই ভাল। মাখলেও শীতকালে সপ্তাহে এক দিনের বেশি কোনও মতেই নয়। তা ছাড়া সাবান কম ক্ষারযুক্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়।
তেল– স্নানের আগে অবশ্যই তেল মাসাজ করা উচিত। তেল হিসেবে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল মাখা যায়। তবে সরষের তেল একেবারেই মাখা যাবে না। এতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তা ছাড়া পুরনো প্রচলিত ধারণা মতো গ্লিসারিন মাখাও ঠিক নয়। কারণ গ্লিসারিন প্রথমে ত্বকের ময়েশ্চার ধরে রাখতে সাহায্য করলেও পরে ত্বক শুষ্ক করে তোলে। তাতে ফল হয় বিপরীত।
স্নানের জল– স্নানের জল ঈষদুষ্ণ হওয়া উচিত। ঠাণ্ডা জলে ত্বকে বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। শ্যাম্পু– সপ্তাহে অন্তত দু’দিন শ্যাম্পু করা ভাল। তবে খুব ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সপ্তাহে একদিনই যথেষ্ট।
শ্যাম্পু- কোল টার জাতীয় হওয়া ভাল। কম ক্ষার যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করলেও চলবে। জামাকাপড়– সুতির জামাকাপড় পড়া উচিত। পশমের জামাকাপড় পরার আগে ফুল স্লিভ সুতির পোশাক পরে তার ওপরে পোশাক পরা দরকার। উলের পোশাক সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে আসলে ত্বকে অ্যালার্জি সৃষ্টি হতে পারে।
খাবারদাবার– ডায়েটে যেন ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি বেশি থাকে সেদিকে নজর রাখা দরকার। পর্যাপ্ত পরিমাণ সবুজ শাকসবজি ও প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। প্রসঙ্গত জানাই, বড়দের চেয়ে ছোটদের সোরিয়াসিস রোগে রেসপন্স ভাল হয়। কিন্তু বাচ্চাদের সারা গায়ে সোরিয়াসিস থাকলে খুব তাড়াতাড়ি ইনফেকশন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।