মনুষ্য প্রজাতির কাছাকাছি থাকা প্রাণীদের বাদ দিলে শুধুমাত্র হাতি এবং বাদুড়েররই পিরিয়ড হয়। আফ্রিকা এবং এশিয়াতে বসবাসরত বেশিরভাগ বানরেরই পিরিয়ড হয়। তবে গরিলার এবং টারসিয়ার্সের অল্প মাত্রায় পিরিয়ড হয়। তবে বাদুড়েরর পিরিয়ড ততোটা সদৃশ্য নয়।
এখন প্রশ্ন আসে, শুধুমাত্র মানুষ এবং উপরিউক্ত এই প্রাণীদেরই কেনো পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব হয়, অন্য প্রাণীর কেনো হয় না?
ঋতুস্রাবকারী প্রাণীগুলিতে গর্ভের প্রাচীরের রূপান্তর পুরোপুরি মা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, হরমোন প্রজেস্টেরন ব্যবহার করে। যা অন্য প্রাণীদের ক্ষেত্রে হয় না, মানে তাদের প্রজেস্টোরন হরমোন নেই। বেশিরভাগ অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর ক্ষেত্রে, গর্ভের এই পরিবর্তনগুলি ভ্রূণের সংকেত দ্বারা ট্রিগার করা হয়। ফলস্বরূপ, গর্ভাবস্থার প্রতিক্রিয়া হিসাবে গর্ভের আস্তরণ ঘন হয়।
পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব নারীদের প্রজনন চক্রের একটি অংশ। নারী গর্ভে প্রতিমাসে প্রজনন হরমোন ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টোরন জমা হয়ে গর্ভধারণের উপযুক্ত হয়। প্রক্রিয়াটি সম্পাদনে নারীগর্ভের এন্ডোমেট্রিয়া নামের একটি আস্তরণ ভ্রুণ তৈরিতে কাজ করে। এন্ডোমেট্রিয়ামের ওই আস্তরণ বেশ কয়েকটি ধাপে বিভক্ত হয়ে রক্তের শিরাগুলোর মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করে। ওই সময়ে নারীরা গর্ভবতী নাহলে প্রোজেস্টোনের স্তর নীচে নামতে থাকে। তখন এন্ডোমেট্রিয়াল ও রক্তের শিরা ওই রক্তকে আর ধারণ করতে পারে না এবং এটি নারীর যোনি দিয়ে বের হয়ে যায়। এই রক্তপাতই ঋতুস্রার নামে পরিচিত।
©️ Radia Ahmed Lubna