শ্বেতীর চিকিৎসা কি? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
424 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (135,480 পয়েন্ট)

5 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (135,480 পয়েন্ট)
শ্বেতীর কোনো একটি চিকিৎসা হয়না। অনেকধরণের চিকিৎসা পদ্ধতি আছে, এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অনেকগুলি পদ্ধতি মিলিয়ে চিকিৎসা করেই ঠিকমতো সাড়া পাওয়া যায়। এক এক করে কয়েকটি বর্ণনা করা যাক:

লাগানোর ওষুধ/টপিকাল (topical medicine): অল্প জায়গা জুড়ে থাকা শ্বেতীতে দেওয়া হয়।

স্টেরয়েড-দুর্বল স্টেরয়েড মোমেটাসোন থেকে শক্তিশালী স্টেরয়েড ক্লোবেটাসল সবই দরকার মতো দেওয়া যায়।

ক্যালসিনিউরিন ইনহিবিটর- ট্যাক্রোলিমাস বা পাইম্যাক্রোলিমাস। স্টেরয়েড যেহেতু বেশিদিন দিলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে, তাই লং টার্ম ওষুধ হিসেবে মুখে বা নরম চামড়ায় এগুলো লাগাতে দেওয়া হয়।

ডেকাপেপটাইড-একটি নতুন ওষুধ। উপরের ওষুধগুলির সঙ্গে কম্বাইন করে লাগাতে দিলে খুব ভালো ফল দেয়। হাতে, পায়ে যেখানে রোগ সহজে যেতে চায়না, সেখানে দেওয়া যেতে পারে। নতুন মেলানোসাইট সৃষ্টি করার মাধ্যমে কাজ করে, এটি এক ধরণের গ্রোথ ফ্যাক্টর।

ল্যাটানোপ্রস্ট-এটি চোখের কাছের শ্বেতীর জন্য সল্যুশন ফর্মে আজকাল ব্যবহৃত হচ্ছে। গ্লকোমার ওষুধ হিসেবে পরিচিত।
0 টি ভোট
করেছেন (14,120 পয়েন্ট)
শ্বেতীর চিকিৎসা ব্যবস্থা:

একটা সময় পর্যন্ত শ্বেতীর সাদা দাগ বাড়তে থাকে এরপর তা স্থায়ী হয়ে যায়।

(১)  মেডিকেল: যার শ্বেতীর দাগ বাড়ছে।

(২)   সার্জারি: যার শ্বেতীর দাগ কমপক্ষে ছয়মাস ধরে এক রকম আছে।

মেডিকেল:

প্রাথমিকভাবে শ্বেতীর সকল নতুন নতুন সাদা দাগের জন্য মেডিকেল চিকিৎসা দেওয়া হয়। মেডিকেল চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে -

ক. PUVA :  সাধারণত রোগী সোরালিন নামক ট্যাবলেট সেবন করার ২ ঘণ্টা পর রোদে যেতে পারে।

খ. NB-UVB Therapy : এটি শ্বেতীর সর্বাধুনিক চিকিৎসা এবং এই পদ্ধতিতে ফটোথেরাপি মেশিনে চিকিৎসার সময় কোনো ওষুধ প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না।

গ. মেডিসিন : স্টেরয়েড এবং ইমিউনোমোডুলেটর শ্বেতীর দাগ ছড়ানো বন্ধ করতে সাহায্য করে। মেডিকেল চিকিৎসায় রোগী সম্পূর্ণ বা আংশিক ভালো হয়। উক্ত চিকিৎসা সময়সাপেক্ষ, কয়েক মাস হতে কয়েক বছর লাগতে পারে।
0 টি ভোট
করেছেন (14,120 পয়েন্ট)

সার্জারি:

যাদের শ্বেতীর দাগ অনেকদিন ধরে একইরকম আছে অর্থাৎ বাড়ে নাতাদের ক্ষেত্রে বেশি উপকারী। অন্যান্য চিকিৎসার চেয়ে তাড়াতাড়ি ভালো হয়। সাধারণত তিন ধরনের সার্জারি করা হয়ে থাকে। যেমন—

ক. স্কিন গ্রাফটিং

খ. পাঞ্চ গ্রাফটিং

গ. মেলানোসাইট ট্রান্সপ্লানটেশন 

ক.         স্কিন গ্রাফটিং:

    শ্বেতীর ছোট ছোট দাগের ক্ষেত্রে এ ধরনের সার্জারি করা হয়।

         এটি বড় দাগের ক্ষেত্রে কার্যকরী নয়।

         হাঁটুর উপরের অংশ (থাই) হতে অল্প পরিমাণ স্কিন নিয়ে উক্ত স্কিন থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় বাদামি পিগমেন্ট আলাদা করা হয়। অতঃপর ঐ পিগমেন্ট শ্বেতীর সাদা দাগে লাগানো হয়। এর সুবিধা হলো অল্প পরিমাণ স্কিন দিয়ে অনেক বড় জায়গায় শ্বেতী ভালো করা যায় এবং স্কিনের রঙ শরীরের যে স্থানে পিগমেন্ট প্রতিস্থাপন করা হয় তার রঙ এর সাথে মিশে যায়।

সম্পূর্ণ চামড়া প্রতিস্থাপন করলে অনেক পরিমাণ স্কিন লাগে এবং রঙও মিশেনা—জায়গাটা অন্যরকম দেখায়।

           সার্জারির পর প্রস্থাপিত পিগমেন্ট যাতে নড়াচড়া করতে না পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।

           কিন্তু এতে চামড়ার রঙ ঠিকভাবে আসে না।

খ.         পাঞ্চ গ্রাফটিং:

           পাঞ্চ নামক যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভালো ত্বক সাদা ত্বকে লাগানো হয়।

           সার্জারি পর NB-UV থেরাপি দেওয়ার প্রয়োজন হয়।

           কসমেটিক সার্জারি করার পর শ্বেতীর সাদা সাদা দাগে স্টোন এর মতো দেখা যায়।

           শ্বেতীর ছোট ছোট দাগের ক্ষেত্রে এ ধরনের সার্জারি করা হয়।

           এটি বড় দাগের ক্ষেত্রে কার্যকরী নয়। 

গ.         মেলানোসাইটি ট্রান্সপ্লানটেশন:

শ্বেতী রোগের সর্বাধুনিক সার্জিক্যাল চিকিৎসা বা সর্বপ্রথম সুইডেনের উপসালা ইউনিভার্সিটিতে চালু হয় এবং বর্তমান বিশ্বে খুব অল্পসংখ্যক ডাক্তার সফলভাবে মেলানোসাইট ট্রান্সপ্লানটেশন করে থাকেন। তবে বাংলাদেশেও স্বল্প সংখ্যক ডাক্তার এই চিকিৎসার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। 

0 টি ভোট
করেছেন (14,120 পয়েন্ট)
শ্বেতী রোগের চিকিৎসা সময়সাপেক্ষ, পুরোপুরি না-ও সারতে পারে। দেহের লোমশ অংশের চিকিৎসা অনেকটাই সফল হয়। কিন্তু যেসব জায়গায় লোম থাকে না, যেমন আঙুল, ঠোঁট ইত্যাদির চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। অনেক সময় নিজে থেকেই সেরে যেতে পারে। সাধারণত কোনো ল্যাবরেটরি পরীক্ষা ছাড়া শুধু রোগের লক্ষণ দেখেই এই রোগ নির্ণয় করা হয়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মলম, থেরাপি ব্যবহার করা হয়। প্রয়োজনে ত্বক প্রতিস্থাপন করা যায়। তবে সব রোগীর জন্য সব চিকিৎসা পদ্ধতি একরকম ফল দেয় না। রোগীর বয়স, রোগের স্থান এবং ব্যাপ্তিভেদে চিকিৎসা পদ্ধতি বাছাই করা হয়।
0 টি ভোট
করেছেন (14,120 পয়েন্ট)
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রাথমিকভাবে শনাক্তকৃত শ্বেতী রোগের কার্যকর চিকিৎসা আছে। যেমন-মেডিকেল থেরাপি, ফটোথেরাপি, লেজার থেরাপি, কসমেটিক সার্জারি ইত্যাদি। রোগ ও রোগীর অবস্থাভেদে চিকিৎসা নির্বাচন করা হয়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
2 টি উত্তর 471 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
3 টি উত্তর 263 বার দেখা হয়েছে
21 নভেম্বর 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Fake Id (14,120 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 557 বার দেখা হয়েছে
21 নভেম্বর 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Fake Id (14,120 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 875 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,659 জন সদস্য

165 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 164 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  2. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  4. zifieji

    100 পয়েন্ট

  5. tinsoikeo

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...