সার্জারি:
যাদের শ্বেতীর দাগ অনেকদিন ধরে একইরকম আছে অর্থাৎ বাড়ে না, তাদের ক্ষেত্রে বেশি উপকারী। অন্যান্য চিকিৎসার চেয়ে তাড়াতাড়ি ভালো হয়। সাধারণত তিন ধরনের সার্জারি করা হয়ে থাকে। যেমন—
ক. স্কিন গ্রাফটিং
খ. পাঞ্চ গ্রাফটিং
গ. মেলানোসাইট ট্রান্সপ্লানটেশন
ক. স্কিন গ্রাফটিং:
শ্বেতীর ছোট ছোট দাগের ক্ষেত্রে এ ধরনের সার্জারি করা হয়।
এটি বড় দাগের ক্ষেত্রে কার্যকরী নয়।
হাঁটুর উপরের অংশ (থাই) হতে অল্প পরিমাণ স্কিন নিয়ে উক্ত স্কিন থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় বাদামি পিগমেন্ট আলাদা করা হয়। অতঃপর ঐ পিগমেন্ট শ্বেতীর সাদা দাগে লাগানো হয়। এর সুবিধা হলো অল্প পরিমাণ স্কিন দিয়ে অনেক বড় জায়গায় শ্বেতী ভালো করা যায় এবং স্কিনের রঙ শরীরের যে স্থানে পিগমেন্ট প্রতিস্থাপন করা হয় তার রঙ এর সাথে মিশে যায়।
সম্পূর্ণ চামড়া প্রতিস্থাপন করলে অনেক পরিমাণ স্কিন লাগে এবং রঙও মিশেনা—জায়গাটা অন্যরকম দেখায়।
সার্জারির পর প্রস্থাপিত পিগমেন্ট যাতে নড়াচড়া করতে না পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।
কিন্তু এতে চামড়ার রঙ ঠিকভাবে আসে না।
খ. পাঞ্চ গ্রাফটিং:
পাঞ্চ নামক যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভালো ত্বক সাদা ত্বকে লাগানো হয়।
সার্জারি পর NB-UV থেরাপি দেওয়ার প্রয়োজন হয়।
কসমেটিক সার্জারি করার পর শ্বেতীর সাদা সাদা দাগে স্টোন এর মতো দেখা যায়।
শ্বেতীর ছোট ছোট দাগের ক্ষেত্রে এ ধরনের সার্জারি করা হয়।
এটি বড় দাগের ক্ষেত্রে কার্যকরী নয়।
গ. মেলানোসাইটি ট্রান্সপ্লানটেশন:
শ্বেতী রোগের সর্বাধুনিক সার্জিক্যাল চিকিৎসা বা সর্বপ্রথম সুইডেনের উপসালা ইউনিভার্সিটিতে চালু হয় এবং বর্তমান বিশ্বে খুব অল্পসংখ্যক ডাক্তার সফলভাবে মেলানোসাইট ট্রান্সপ্লানটেশন করে থাকেন। তবে বাংলাদেশেও স্বল্প সংখ্যক ডাক্তার এই চিকিৎসার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।