গ্যাস্ট্রিক আলসারের প্রধান কারণ হলো ব্যাকটেরিয়া। হেলিকো ব্যাকটার পাইলোরি নামে এক প্রকার ব্যকটেরিয়া যদি আমাদের পাকস্থলীতে প্রদাহ বা সংক্রমণ ঘটায় তাহলে পাকস্থলীতে ক্ষত সৃষ্টি হয় বা গ্যাস্ট্রিক আলসার হয়। এছাড়া দ্বিতীয় যে কারণ রয়েছে তা হলো অতিরিক্ত এলোপ্যাথিক ঔষধের ব্যবহার, অতিরিক্ত ব্যথার ঔষধ ব্যবহারের কারণে গ্যাস্ট্রিক আলসার হয়ে থাকে। অতিরিক্ত মদ্যপান বা ধূমপানের কারণেও গ্যাস্ট্রিক আলসার হয়। গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ হলো পেট ব্যথা। বিশেষ করে খাবার পরে পরেই পেট ব্যথা দেখা দেয়। দ্বিতীয় লক্ষণ হল মুখ দিয়ে রক্ত বের হবে অথবা পায়খানার সাথে লাল রক্ত যাবে। গ্যাস্ট্রিক আলসারের তৃতীয় লক্ষণ হলো বমি ভাব থাকবে, বমির সাথে রক্ত উঠবে। এছাড়া আরো, ক্ষুধামন্দা, খিদে লাগবে না, বদহজম হবে, ওজন কমে যাবে।
গ্যাস্ট্রিক আলসারের কার্যকরী হোমিওপ্যাথিক ঔষধঃ গ্যাস্ট্রিক আলসারের কার্যকরী হোমিওপ্যাথিক ঔষধ তৈরি করতে তিনটি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ লাগবে ১। সিমফাইটাম মাদার টিংচার ২। হাইড্রাসটিস ক্যান মাদার টিংচার ৩। রুবিনিয়া মাদার টিংচার। এই ঔষধ গুলি ১০ এমএল করে নিয়ে ৩০ এমএল মিক্সার তৈরি করে আধা কাপ পানিতে ২৫ ফোঁটা করে দিয়ে দিনে তিনবার খাবার আধা ঘন্টা পূর্বে খেতে হবে। এছাড়াও গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ অনুযায়ী যেমন রোগী যদি পেটে জ্বালা অনুভব করে, বমি হয়, বমি ভাব থাকে, রোগীর মৃত্যু ভয় থাকে বা রোগী যদি দুর্বল হয় তবে আর্সেনিক ৩০ তিন ফোঁটা করে জিভে দিয়ে দিনে তিনবার খাবার আধা ঘন্টা পর খেতে হবে। যদি রোগীর কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে, যদি নেশা করার ফলে গ্যাস্ট্রিক আলসার হয়ে থাকে তাহলে নাক্স ভমিকা ৩০ তিন ফোঁটা করে দিনে তিনবার খাবার ৩০ মিনিট পর খেতে হবে। যদি বারবার ঢেকুর উঠে তাহলে কার্বোভেজ ৩০ তিন ফোঁটা করে দিনে তিনবার খেতে হবে। গ্যাস্ট্রিক আলসারের একটি কার্যকরী বায়োকেমিক কম্বিনেশন ঔষধ হলো বিসিবি ২৫। এই ঔষধটি গ্যাস, অম্বল, বদহজম, বুক জ্বালা, গ্যাস্ট্রিক আলসারের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী একটি বায়োকেমিক কম্বিনেশন ঔষধ। পাঁচটি করে বড়ি দিনে তিনবার চিবিয়ে খেয়ে হালকা গরম পানি খেতে হবে। এতে আশা করা যায়, গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।