আমরা জানি বর্ণালীতে মোট সাতটি রং থাকে, আর এই সাত রঙ্গ একসাথে যোগ করলে সাদা রঙ্গের বর্ণ দেখা যায়। রাতের বেলায় উপরের স্তরের বায়ু হালকা থাকে আর নিচের স্তরের বায়ু ঘন থাকে। ফলে বায়ুতে কোন রকম বাধা ব্যাতীত চাঁদের সকল আলো সরাসরি আমাদের চোখে এসে পড়ে। অর্থাৎ আলোর কোন বিচ্যুতি না ঘটার দরূন আমরা চাঁদকে সাদা দেখি। চাঁদের মাটি ধূসর বর্ণের, কিন্তু সূর্যের আলো প্রতিফলিত হওয়ায় অনেক দূর থেকে একে সাদা চকচকে মনে হয়। টেলিস্কোপ বা ভালো দূরবীন দিয়ে দেখলে ব্যাপারটা বোঝা যাবে।
মহাশূন্যে গিয়ে কখনো সূর্য কাছ থেকে দেখলে দেখা যায় সূর্য সাদা, আসলেই সূর্যের বর্ন সাদা। কিন্তু সূর্য তাপ উৎপন্ন করে, বায়ুমণ্ডলে সূর্যরশ্মির বিচ্ছুরণ ঘটে থাকে। অপসারিত হয়ে যায় ছোট ছোট তরঙ্গদৈর্ঘের নীল ও বেগুনি আলোকরশ্মি। সূর্য থেকে আসা আলোক বর্ণালির এ দুটো রঙ সরিয়ে নিলে তা অনেকটা হলুদের মতো হয়ে যায়। সূর্যকে আমরা তখন হলুদ দেখি। অন্যান্য রঙের বেলায়ও এ ঘটনা ঘটে। এভাবে সূর্যের আলো যখন বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তর ভেদ করে পৃথিবীতে আসে তখন তা রঙ বদলে হলুদ, কমলা বা ম্যাজেন্টা রঙ ধারণ করে।