আপনার ধারনা ভুল। গুগলে বিভিন্ন গবেষণা, উপাত্তের নাম দিয়ে এই হরমোন সম্পর্কে ভুল নিবন্ধ লেখা পাবেন। হরমোন শরীরের বিভিন্ন বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে, ক্রিয়ার পর সেই হরমোন ধ্বংস হয়ে যায়। আর হরমোনের সমস্যা তখনই বলা যায়, যখন হরমোন নিঃসরণ হয় না, অথবা ঠিকমতো বিপাক ক্রিয়ায় অংশ নেয় না।
অক্সিটোসিন হল স্তন্যপায়ী প্রাণীদের দেহে প্রাপ্ত একটি হরমোন। এটি স্তন্যপায়ীদের মস্তিষ্কে কাজ করে। মানবদেহে এটি নারীদের প্রজননের সময় নির্গত হয়, বিশেষ করে সন্তান প্রসবের সময় এবং প্রসবের পরে। এটি সম্পর্কের বন্ধন তৈরিতে এবং পিতামাতার আচরণের বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করে। এটি অর্গাজম বা রাগমোচনের সময় এবং এমনকি আলিঙ্গণের মত ঘনিষ্ঠ মুহূর্তগুলোতেও নিঃসৃত হয়ে থাকে। উক্ত কারণে একে প্রায়শই ভালোবাসার হরমোন নামে অভিহিত করা হয়।
অদ্ভুত ব্যাপার হল, পিটুইটারি গ্রন্থি হতে নিঃসৃত এই অক্সিটোসিন মস্তিষ্কে পৌঁছাতে পারে না; এটি শরীরের অন্যান্য অংশে বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
একটা বয়স বা সময় পরে, হরমোন তার ক্রিয়া কমিয়ে দিবে এটাই স্বাভাবিক। উদাহরণ হিসেবে বলি, নতুন বিয়ে হলে এই হরমোন নিঃসরণ বেড়ে যাবে , কারণ নতুন বিয়ে করেছেন। বিয়ের পাঁচ বছর পর এই হরমোন নিঃসরণ একই থাকবে না। তারমানে এই নয় যে, বিয়ে, বউয়ের প্রতি ভালোবাসা থাকবে না, বা কমে যাবে।