ইউরোপের দেশ ফ্রান্স। ক্রিড়াঙ্গনে ফুটবল খেলুড়ে দেশ হিসেবে ফ্রান্সের বেশ পরিচিতি রয়েছে। তবে ক্রিকেটের ক্ষেত্রে ঠিক উল্টো। ক্রিকেট খেলা যখন আন্তর্জাতিক রূপ লাভ করতে শুরু করেছে সেই সময়টা ছিলো ইউরোপীয় উপনিবেশবাদের যুগ। ইংল্যান্ডের মতো ফ্রান্সও ছিল উপনিবেশবাদী রাষ্ট্র। সে কারণে এই দুই দেশ ছিল পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী। ইংল্যান্ডের সংস্কৃতিকে ফরাসিরা ঘৃণার চোখে দেখতো। ফলে শুরু থেকেই ক্রিকেট খেলা ফ্রান্সে জায়গা দখল করতে পারেনি। বিশ শতকের শেষের দিকে সেদেশে ক্রিকেট খেলার প্রচলন শুরু হয়েছে। ২০০১ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়নশিপেও ফ্রান্স ক্রিকেট খেলেছে। এরপর উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। এখনও ক্রিকেটকে ইংল্যান্ডের খেলা হিসেবে দেখে দেশটির জনগণ। তবে ইন্টারনেট এবং স্যাটেলাইট টেলিভিশনের বদৌলতে দেশটিতে ক্রিকেট ধীরে ধীরে পুনরায় জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে। বিবিসির ২০১০ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে যারা ক্রিকেট খেলে তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশ ফরাসি এবং বাকিরা ইংরেজ, পাকিস্তানি, লঙ্কানসহ বিভিন্ন বিদেশি নাগরিক।
ক্রিকেট জগতে জার্মানি মোটেও পরিচিত নাম নয়। দেশটিতে ১৮৫০ সালে প্রথম ক্রিকেট ক্লাব স্থাপিত হয়। ১ম বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির ক্রিকেটে ভাটা পড়ে। নাৎসীদের কট্টর জাতীয়তাবাদের কারণে অনেক ক্রিকেটার ক্রিকেট থেকে ছিটকে পড়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে সর্বশেষ ১৯৩৭ সালে হিটলারের একনায়কতন্ত্রের আমলে ইংলিশ ক্রিকেট দলের সঙ্গে ক্রিকেট খেলে জার্মানি। এরপরই হিটলার জার্মানিতে ক্রিকেট নিষিদ্ধ করেন বলে জানা যায়। দীর্ঘদিন ক্রিকেট থেকে দূরে থাকার কারণে দেশটিতে ক্রিকেট জনপ্রিয় হয়ে ওঠে নি। মূলত তারা এই খেলাটাকে সময়ের অপচয় ভাবে।