অক্সফোর্ড ডিকশনারী অনুযায়ী, যেই প্রাণী মানুষ থেকে বিবর্তিত হবে, যাদের শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সক্ষমতা সাধারণ হোমো স্যপিয়েন্সের থেকে বেশি হবে এবং তারা অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার অধিকারী হবে তাদেরকেই 'হোমো সুপিরিয়র' বলা হবে।
(
https://www.oxfordreference.com/view/10.1093/oi/authority.20110803095943483)
বিজ্ঞানীদের ধারণা মতে প্রথম পরিবর্তন আসবে মানুষের মস্তিষ্কের আকারে। মানুষের ক্রমবর্ধমান ব্রেনের জায়গা দেবার জন্য ২০০০০ বছরের মধ্যই এটার আকার কিছুটা বৃদ্ধি পাবে।
৬০০০০ বছর পরে অনেক মানুষ পৃথিবী ছেড়ে অন্য গ্রহে পাড়ী জমাবে। যেখানে সূর্যোলোকের অভাব থাকবে। কম আলোতে দেখার জন্য মানুষের পিউপিল সহ পুরো চোখের আকার বৃদ্ধি পাবে।
সেই গ্রহে থাকবে না ওজোনস্তরের সুরক্ষা। ফলে মানুষের চামড়াতে মেলানিনের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। চোখের পাতা পুরু হয়ে যাবে।
এছাড়া আমাদের নস্ট্রিল বা নাকের ছিদ্র বড় হয়ে যাবে যা আমাদের শ্বাসগ্রহণকে সহজতর করে তুলবে। মাথায় চুলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে মস্তিষ্কের তাপ সংরক্ষণ করবে। পুরুষ ও মহিলাদের চেহারায় অনেক বেশি সামঞ্জস্য দেখা যাবে।
(
https://www.buzzworthy.com/humans-will-look-like-100-thousand-years/#:~:text=100%2C000%20Years%20From%20Today&text=We%20will%20also%20have%20larger,will%20have%20perfectly%20symmetrical%20faces.)
এই আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারি যে, কয়েকলক্ষ বছর পরে মানুষের শরীরে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটবে। তাদের দৃষ্টিশক্তি, বুদ্ধিবৃত্তিক সক্ষমতা, অন্য গ্রহে টিকে থাকার ক্ষমতা অবশ্যই বৃদ্ধি পাবে।
তবে সেটা কমিক্সে দেখানো হোমো সুপিরিয়র এর মত আমূল-পরিবর্তন হবে না। মানুষের আপাতত উড়তে পারা, মাইন্ড রিডিং, সুপার স্পিড, অব্জেক্ট ম্যানুপুলেশন এর ধারণাগুলো কেবল সুপারহিরো কমিক্স ও সিনেমাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে।তাই হোমো সুপিরিয়রিটি ধারণাটি পুরোপুরি ঠিক নয়।