মোমবাতির জ্বলন পদ্ধতি হলো অক্সিজেনের উপস্হিতিতে হাইড্রোকার্বন বা জৈবযৌগের দহন।
মোম+অক্সিজেন>কার্বন ডাই-অক্সাইড+জলীয় বাষ্প+তাপ
বিক্রিয়ায় আগুনের যে শিখাটা উৎপন্ন হয় সেটা সরাসরি উপরদিক করেই জ্বলতে থাকে আপনি মোমকে যে অবস্থাতেই বা রাখুন না কেন। এটা আসলে রসায়ন আর পদার্থবিজ্ঞানের মিশ্র ফল। এখানে সংঘটিত দহন বিক্রিয়ায় উৎপন্ন তাপই উৎপাদ গ্যাসকে জ্বলতে সাহায্য করে মানে আগুনটা উৎপন্ন হয়। এ কারণে শিখাটা নিচের দিকে নীল দেখায়। মনে হয় কার্বন থাকার কারণেই এরূপ নীল দেখায় যেমনটা গ্যাসের চুলা জ্বালালে দেখা যায়। বিক্রিয়ায় উৎপন্ন তাপ তার চারপাশের বাতাসও গরম করে তোলে। যার ফলে গ্যাসের নীতি অনুসারে গ্যাসের উপর প্রদত্ত চাপ অপরিবর্তিত রেখে তার প্রয়োগ করতে থাকলে তার আয়তন বাড়তে থাকবে।ফলস্বরূপ ঘনত্ব কমতে থাকে। যার ফলে চারপাশের ঘন ঠান্ডা বাতাস ঐ হালকা বাতাসকে ঠেলে উপরে ওঠায় এবং ঐ জায়গাটা দখল করে। তাহলে আবার দখলকারী ঠান্ডা, ঘন বাতাসটাও আগের মতো তাপের প্রভাবে হালকা হয়ে পার্শ্বের ঠান্ডা বাতাসের ঠেলায় উপরে উঠে যায়। এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে যতক্ষণ না পর্যন্ত অক্সিজেন না ফুরায়। কিন্তু বাস্তবিকভাবে তো আর অক্সিজেন ফুরায় না, আমরাই ফুঁ দিয়ে নিভিয়ে দিই।
এখন আসল কথায় আসি যেটার জন্য এত কাহিনী বলতে হলো। হালকা বাতাসটা তো উপরের দিকেই উঠছে, সুতরাং আগুনটাও সোজা উপরের দিকে জ্বলবে আর তাপটাও সোজা উপরের দিকে বেশি লাগবে। আগুন যদি বিক্ষিপ্ত হয়ে জ্বলতো তাহলে আশে পাশেও গরম লাগতো।