অকারনে মানুষ কেন মিথ্যা কথা বলে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
511 বার দেখা হয়েছে
"মনোবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (15,280 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (12,550 পয়েন্ট)
সম্পাদিত করেছেন
প্যাথলজিক্যাল লাইয়িং অর্থাৎ বিনা কারণে মিথ্যা বলা বা বানিয়ে বানিয়ে কথা বলা।
মানসিক স্বাস্থ্যবিজ্ঞানে এটি ইম্পালস কন্ট্রোল ডিসঅর্ডারের অন্তর্ভুক্ত। আবার বলা যায় এটা করার জন্য ব্যক্তি নিজের মধ্যে একধরনের অপ্রতিরোধ্য তাড়না অনুভব করেন। বাধ্য হন। কখনো এটি ইম্পালসিভ (তাড়নাগত) আবার কখনো হয়ে ওঠে কম্পালসিভ (বাধ্যতাধর্মী)।
কেন এই ইম্পালস কন্ট্রোল ডিসঅর্ডার হয়ে থাকে, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, চলছে গবেষণা। প্রচলিত মতবাদগুলো হচ্ছে, একজন মানুষের বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় ধারণাগত ও আচরণের বিবর্তন এবং মস্তিষ্কের কিছু রাসায়নিক পদার্থের কমবেশি হওয়ার কারণে এই সমস্যা হয়ে থাকে। সমাজ ও আইন এই সমস্যাকে কীভাবে দেখবে, তা নিয়েও আছে মতভেদ কোনো আইনে এগুলো রোগ হিসেবে বিবেচিত হলে শাস্তি কম দেওয়া হয়, আবার কোনো দেশের আইনে শাস্তি দেওয়ার সময় এটিকে রোগ হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয় না।
চিকিৎসার মাধ্যমে এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায় সাইকোথেরাপি, বিশেষ করে কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি ও কিছু ওষুধ সেবনের প্রয়োজন হতে পারে। তাই কারও যদি এ ধরনের সমস্যা থেকে থাকে, তবে বড় ধরনের আইনি ঝামেলায় পড়ার আগেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
0 টি ভোট
করেছেন (12,550 পয়েন্ট)
প্যাথলজিক্যাল লাইয়িং অর্থাৎ বিনা কারণে মিথ্যা বলা বা বানিয়ে বানিয়ে কথা বলা।
মানসিক স্বাস্থ্যবিজ্ঞানে এটি ইম্পালস কন্ট্রোল ডিসঅর্ডারের অন্তর্ভুক্ত। আবার বলা যায় এটা করার জন্য ব্যক্তি নিজের মধ্যে একধরনের অপ্রতিরোধ্য তাড়না অনুভব করেন। বাধ্য হন। কখনো এটি ইম্পালসিভ (তাড়নাগত) আবার কখনো হয়ে ওঠে কম্পালসিভ (বাধ্যতাধর্মী)।
কেন এই ইম্পালস কন্ট্রোল ডিসঅর্ডার হয়ে থাকে, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, চলছে গবেষণা। প্রচলিত মতবাদগুলো হচ্ছে, একজন মানুষের বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় ধারণাগত ও আচরণের বিবর্তন এবং মস্তিষ্কের কিছু রাসায়নিক পদার্থের কমবেশি হওয়ার কারণে এই সমস্যা হয়ে থাকে। সমাজ ও আইন এই সমস্যাকে কীভাবে দেখবে, তা নিয়েও আছে মতভেদ কোনো আইনে এগুলো রোগ হিসেবে বিবেচিত হলে শাস্তি কম দেওয়া হয়, আবার কোনো দেশের আইনে শাস্তি দেওয়ার সময় এটিকে রোগ হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয় না।
চিকিৎসার মাধ্যমে এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায় সাইকোথেরাপি, বিশেষ করে কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি ও কিছু ওষুধ সেবনের প্রয়োজন হতে পারে। তাই কারও যদি এ ধরনের সমস্যা থেকে থাকে, তবে বড় ধরনের আইনি ঝামেলায় পড়ার আগেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

ইম্পালস কন্ট্রোল ডিসঅর্ডারের মধ্যে আরও আছে অকারণে চুরি করা,অন্যের ক্ষতি করা ইত্যাদি।এসব ডিসঅর্ডার  নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসার পাশাপাশি যা করতে পারেন
* স্বজন বা বন্ধুদের কাছে বিষয়টি ব্যাখ্যা করুন। ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে তাঁরা আপনাকে বিপদ থেকে রক্ষা করবেন এবং প্রয়োজনে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেবেন।
* ইম্পালস কন্ট্রোল করতে না পারার বিষয়টি ডায়েরিতে লিখে রাখুন তাহলে একপর্যায়ে দেখতে পাবেন চিকিৎসায় কতটুকু উন্নতি হচ্ছে।
* একই ধরনের সমস্যা আছে এবং যাঁরা চিকিৎসা গ্রহণ করে এটিকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন, তাঁদের নিয়ে সহায়তাকারী দল গঠন করুন,
একে অন্যকে পরামর্শ দিন।
* যেসব পরিস্থিতিতে এমন ঘটনা ঘটাতে পারেন, সেই পরিস্থিতিগুলো এড়িয়ে চলুন ও নিকটজনের কাছাকাছি থাকুন।
* নিজের তাড়নাগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিন্তাকে অন্যদিকে সরানোর লক্ষ্যে থট ডাইভারশন জাতীয় বিহেভিয়ার থেরাপি যেমন হাতে রাবার ব্যান্ড লাগিয়ে আস্তে আস্তে তা বারবার টানা, উল্টোদিক থেকে সংখ্যা গণনা ইত্যাদি করা যেতে পারে। আর আপনার আশপাশে কারও যদি এই ধরনের সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে আপনি ব্যাপারটা নিয়ে রাগারাগি না করে সহানুভূতির সঙ্গে নিন, দরকার হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
লেখক: মনোরোগ বিশেষজ্ঞ

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+8 টি ভোট
3 টি উত্তর 405 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
3 টি উত্তর 2,533 বার দেখা হয়েছে
19 অক্টোবর 2021 "মনোবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Anupom (15,280 পয়েন্ট)
+11 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,646 বার দেখা হয়েছে
13 নভেম্বর 2019 "মনোবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (71,290 পয়েন্ট)
+12 টি ভোট
1 উত্তর 296 বার দেখা হয়েছে

10,795 টি প্রশ্ন

18,501 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

483,904 জন সদস্য

124 জন অনলাইনে রয়েছে
30 জন সদস্য এবং 94 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ

    680 পয়েন্ট

  2. Fatema Tasnim

    340 পয়েন্ট

  3. Dibbo_Nath

    280 পয়েন্ট

  4. _Polas

    140 পয়েন্ট

  5. Arnab1804

    140 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে ডিম চাঁদ কেন বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন
...