প্রোবায়োটিক কী
এমনিতেই দই, পনিরজাতীয় খাবারে এটি থাকে। সাধারণত ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ক্যাপসুল আকারে গ্রহণ করা হয়। পেটে দরকারি ব্যাকটেরিয়ার প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে এই উপাদান। প্রোবায়োটিক গ্রহণের কোর্স করার পর পাকস্থলী ও অন্ত্রনালিতে অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া প্রোবায়োটিক হিসেবে গণ্য হয়। এর মধ্যে আছে ল্যাকটোব্যাসিলাস, বাইফিডোব্যাকটেরিয়াম ও স্যাচারমিসেস বোলারডি।
উপকারিতা
প্রোবায়োটিক গ্রহণে পেটের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। আইবিএস বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল ডিস-অর্ডারে ভোগা রোগীদের জন্য উপকারী। ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) জানায়, আইবিএসে ভোগা রোগীদের উদরস্ফীতি বা পেটফাঁপার মতো সমস্যা দূর করে প্রোবায়োটিক। পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকলেও গুটিকয়েক গবেষণায় বলা হয়েছে, ডায়রিয়া সারাইয়ের কাজে সহায়ক এটি। ব্রিটিশ পুষ্টিবিদ নিকোলা লাডল্যাম-রেইনের মতে, শীতকালের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে বেশ কয়েক ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করে প্রোবায়োটিক। কিন্তু ইউরোপিয়ান ফুড সেফটি অথরিটি জানায়, দই বা এজাতীয় খাবারের মাধ্যমে যে প্রোবায়োটিক মেলে তা স্বাস্থ্যসম্মত কি না তা নিয়ে প্রমাণের অভাব আছে।
ঝুঁকি আছে
এদের উপকারিতা নিয়ে যেহেতু আপত্তি ওঠে না, তাই শক্তিশালী রোগপ্রতিরোধী ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুব একটা অনুভব করেন না। মানুষ পানীয় বা ট্যাবলেট বা ক্যাপসুলের মাধ্যমে প্রোবায়োটিক গ্রহণ করে। কিন্তু এতে পেটের ক্ষতিকর ও উপকারী সব ব্যাকটেরিয়াই মরে যেতে পারে। তাই ক্ষতির ঝুঁকি থেকেই যায়।
ক্ষতির ধরন
প্রোবায়োটিককে খাবার হিসেবেই গণ্য করা হয়, ওষুধ নয়। কাজেই এর মাধ্যমে আপনি যে উপকারী ব্যাকটেরিয়া পাচ্ছেন তা শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায় না। আবার পরিমাণমতো জীবাণু প্রবেশ করছে তাও বোঝার উপায় নেই। এমনকি প্রোবায়োটিকে যথাযথ ব্যাকটেরিয়াগুলোই আছে তারও কোনো গ্যারান্টি নেই। তাই এটি কেবল খাওয়াই হচ্ছে, কার্যকারিতা বোঝার উপায় নেই।