মানুষ থেকে বুদ্ধিমান প্রাণী এখন অবদি কেউ নয়। তবে শিম্পান্জীর বুদ্ধিমত্তাকে মানুষের কাছাকাছি ধরা হয়।
কারণ---
১) মানুষ এবং শিম্পাঞ্জীর ডিএনএ এর মধ্যে ৯৮% সাদৃশ্য বিদ্যমান।
২) শিম্পাঞ্জী সমাজ এবং দলগত জীবনযাপন পছন্দ করে ।
সচরাচর ৬ থেকে ১৫ টি শিম্পাঞ্জী মিলে একটি দল গঠিত হয় ।
শিম্পাঞ্জী সমাজ পুরুষ শাসিত হলেও অনেকসময় দলনেতারা নারী শিম্পাঞ্জী দ্বারা প্রভাবিত । এইজন্য একটি শিম্পাঞ্জী সমাজ অথবা সম্প্রদায়ের প্রধানকে আলফা মেল (Alfa male) বলা হয় ।
৩) শিম্পাঞ্জী একে অপরের সাথে যোগাযোগের জন্য বেশ উন্নত পন্থা অবলম্বন করে, যেটা অন্য প্রাণীদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায় না ।এরা শুভেচ্ছা বিনিময় করে, দৈহিক অঙ্গভঙ্গি এবং মুখায়ববের মাধ্যমে রাগ, অভিমান এবং উচ্ছাস প্রকাশ করে ।
সন্তান লালন পালনের জন্য শিম্পাঞ্জী মানুষের মতোই পন্থা অবলম্বন করে ।
৪) মানুষের মতো শিম্পান্জীও নিজেদের কার্য সম্পাদনের জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তি এবং সাধনী ব্যবহার করে।পাথরকে হাতুড়ি হিসেবে, গাছের ডাল অথবা চিকন কান্ডকে মাছ শিকার করার যন্ত্র হিসেবে এবং গাছের পাতা অথবা বাকলকে শরীরের মুছুনি হিসেবে ব্যবহার করতে দেখা যায় ।
মানুষকে অনুকরণ করেও এরা খেতে পারে ।
৫) শিম্পাঞ্জীর বিশ্লেষণ ক্ষমতা এবং স্মৃতিশক্তি বেশ ভালো, এরাও মানুষের মতো বিভিন্ন গঠন মনে রাখতে পারে এবং বিন্যাস অনুযারী পুনরায় সাজাতে পারে ।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, মানুষের পর ডলফিনই পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী!