দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে ফিলিপাইনের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি (ফিলিপাইন রাষ্ট্রের সমগ্র ইতিহাসে সপ্তম) ছিলেন রামোন ম্যাগসেসে। (Ramon Magsaysay) ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৫৭ সালে বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু অবধি তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাষ্ট্র পরিচালনায় সততা ও মহৎ আদর্শের উদাহরণ হিসেবে তিনি ফিলিপাইনে অবিস্মরণীয় হয়ে আছেন। তিনি সে বছর মৃত্যুবরণ করেন, তখনই তাঁর নামে এই পুরস্কার চালু হয়। এশিয়ার নোবেল পুরস্কার-খ্যাত রামোন ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ড এশিয়দের নিজ দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অবদানের প্রতিদান হিসেবে প্রতি বছর দেওয়া হয়। তবে মাঝেমধ্যে অন্যান্য মহাদেশের বাসিন্দাদের এশিয়ার উন্নয়নে ভূমিকা রাখার কারণেও এ পুরস্কার দেওয়ার নজির রয়েছে। ২০০৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ছ'টি বিভাগে চালু থাকলেও বর্তমানে শুধু দু'টি বিভাগেই এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। ক্যাটেগরিসমূহের বিবরণ নিচে দেওয়া হলো:-
সরকারি সেবা (১৯৫৮-২০০৮)
পাবলিক সার্ভিস (১৯৫৮-২০০৮)
কমিউনিটি লিডারশিপ (১৯৫৮-২০০৮)
সাংবাদিকতা, সাহিত্য এবং সৃজনশীল যোগাযোগ শিল্প (১৯৫৮-২০০৮)
শান্তি এবং আন্তর্জাতিক বোঝাপড়া (১৯৫৮-২০০৮)
জরুরী নেতৃত্ব (২০০১-বর্তমান)
শ্রেণিভুক্ত নয় (২০০৯-বর্তমান)
চিকিৎসাক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য এ বছর বাংলাদেশের নাগরিক ড: ফেরদৌসী কাদরী-কে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে যাঁরা এ পুরস্কার পেয়েছেন:-
তাহরুন্নেসা আব্দুল্লাহ
ফজলে হাসান আবেদ
মোহাম্মদ ইউনুস
জাফরউল্লাহ চৌধুরী
মোহাম্মদ ইয়াসিন
অ্যাঞ্জেলা গোমস
আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ
মতিউর রহমান
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
প্রথম আলো