মানুষের শরীরে পশুর রক্ত দিলে কী হবে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+2 টি ভোট
1,039 বার দেখা হয়েছে
"তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে করেছেন (141,820 পয়েন্ট)

3 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (141,820 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

কি ঘটতে পারে, যদি মানুষের শরীরে একটি গরুর রক্ত পুশ করা হয়? নিশ্চয়ই জীবনে একবার হলেও এরকম প্রশ্ন ‍আপনার মাথায় এসেছে ! ধর‍া যাক, কোন একজনের দ্রুত রক্ত লাগবে। রক্ত পাওয়া গেলো না। সেই রক্তের বদলে যদি তার শরীরে মানুষ ব্যতীত অন্য কোনো প্রাণীর রক্ত প্রবেশ করানো হয়, তাহলে কি ঘটতে পারে? এই রক্ত কি কাজে দিবে? লোকটি বেঁচে থাকবে? নাকি মারা যাবে? এই প্রশ্নের উত্তরই আজকে আমরা জানবো…

পৃথিবীতে প্রথম সফল রক্ত সঞ্চালন হয়েছিলো পশুর দেহে। রিচার্ড লওয়ার নামে এক ব্রিটিশ চিকিৎসক ১৬৬৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে একদিন দেখতে পেলেন, একটি কুকুর রক্তক্ষরণ হয়ে প্রায় মারা যাচ্ছে। তিনি তখন ওই কুকুরটিকে বাঁচাতে অন্য একটি কুকুরের ধমনী থেকে সরাসরি রক্ত সঞ্চালন করেন। কুকুরটি প্রাণে বেঁচে যায়। এতে চিকিৎসকরাও ভেবে বসলেন, এভাবে রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। তখন তারা ফাউন্টেইন পেনকে সূঁচ হিসেবে ও সিলভার পাইপকে রক্ত সঞ্চালক হিসেবে ব্যবহার করে রক্ত সঞ্চালন শুরু করলেন। কিন্তু ভুল যা করলেন তা হলো, তারা জানতেন না যে, মানুষ ব্যতীত অন্য কোনো প্রজাতির প্রাণীর রক্ত মানুষের দেহে কার্যকর হবেনা। এই রক্ত সঞ্চালন পদ্ধতি ব্যবহার করে তারা একটি অবুঝ প্রাণীর রক্ত মানুষের শরীরে সঞ্চালন করতে শুরু করলেন। ফলস্বরূপ মানুষের মৃত্যু হতে লাগলো ! এই পদ্ধতির প্রয়োগ তখন বন্ধ হয়ে যায়।

১৬৬৭ সালে জিয়ান ব্যাপ্টিস্ট ডেনিস নামে এক চিকিৎসক ১৫ বছরের এক ছেলের দেহে ভেড়ার রক্ত ট্রান্সফার করেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ভেড়ার শরীর থেকে রক্ত দেয়ার পরও ওই ছেলেটি বেঁচে যায়। কিন্তু এরপর থেকে আর কখনোই কোনো মানুষের দেহে পশুর রক্ত কাজ করেনি। এভাবে কয়েকজন রোগী ম‍ারা যাবার পর চিকিৎসকরা এ ব্যাপারে সতর্ক হয়ে যান। এরপর মানবদেহে অন্য প্রাণীর রক্ত প্রবেশ করার চর্চা আইনগতভাবে নিষিদ্ধ হয়ে যায়। অবশেষে ১৯০১ সালে কার্ল ল্যান্ডস্টাইনার নামে এক ব্যক্তি ব্লাড গ্রুপিং আবিষ্কার করেন। সেই থেকে আজ অবদি তার ‍আবিষ্কার করা পদ্ধতিটি রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের একমাত্র নির্ধায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। 

অতএব, মানুষের দেহে কেবলমাত্র মানুষের রক্তই প্রবেশ করানো যাবে। অন্য প্রাণীর রক্ত মানবদেহে কাজ করবে না।

তথ্যসূত্র : ছারপোকা ওয়েবসাইট

0 টি ভোট
করেছেন (7,950 পয়েন্ট)

'রক্তদান' শব্দটির সাথে আমরা সকলে পরিচিত। বিভিন্ন রোগ থেকে আরোগ্য লাভের জন্য একই ব্লাডগ্রুপের একজনের রক্ত সচরাচর অন্যজনকে দেওয়া হয়। আসুন শুরুতে রক্ত সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা নেই,

রক্ত একধরনের তরল যোজক কলা। রক্ত প্রধানত দেহে অক্সিজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ পরিবাহিত করে। রক্তের গ্রুপের প্রধানত দুটি ভাগ :

১. এবিও পদ্ধতি (এ, বি, এবি এবং ও)
২. আরএইচ ফ্যাক্টর (আরএইচ পজেটিভ এবং আরএইচ নেগেটিভ)।

এ রেসাস ফ্যাক্টরই ঠিক করে দেয় ব্লাড গ্রুপ পজেটিভ হবে না নেগেটিভ হবে। ব্লাড গ্রুপগুলো হলো : এ পজেটিভ, এ নেগেটিভ, বি পজেটিভ, বি নেগেটিভ, এবি পজেটিভ, এবি নেগেটিভ, ও পজেটিভ এবং ও নেগেটিভ। এটি গেলো রক্ত নিয়ে সাধারণ আলোচনা। রক্ত মানবদেহের পাশাপাশি প্রতিটি পশু-পাখির দেহে প্রবাহিত হয়। আমরা কি কখন ভেবে দেখেছি মানুষের শরীরে মানুষ বাদে কোন পশুর রক্ত দিলে কি হতে পারে?  সেই রক্ত কি কাজ করবে? ধরি, একটি মানুষের শরীরে পশুর রক্ত পুশ করা হলো এমতাবস্থায় মানুষটি কি বেঁচে যাবে? চলুন তাহলে জেনে আসি এ ব্যাপারে বিস্তারিত :

পৃথিবীতে প্রথম সফল রক্ত সঞ্চালন হয়েছিলো পশুর দেহে। রিচার্ড লওয়ার নামে এক ব্রিটিশ চিকিৎসক ১৬৬৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে একদিন দেখতে পেলেন, একটি কুকুর রক্তক্ষরণ হয়ে প্রায় মারা যাচ্ছে। তিনি তখন ওই কুকুরটিকে বাঁচাতে অন্য একটি কুকুরের ধমনী থেকে সরাসরি রক্ত সঞ্চালন করেন। কুকুরটি প্রাণে বেঁচে যায়। এতে চিকিৎসকরাও ভেবে বসলেন, এভাবে রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। তখন তারা ফাউন্টেইন পেনকে সূঁচ হিসেবে ও সিলভার পাইপকে রক্ত সঞ্চালক হিসেবে ব্যবহার করে রক্ত সঞ্চালন শুরু করলেন। কিন্তু ভুল যা করলেন তা হলো, তারা জানতেন না যে, মানুষ ব্যতীত অন্য কোনো প্রজাতির প্রাণীর রক্ত মানুষের দেহে কার্যকর হবেনা। এই রক্ত সঞ্চালন পদ্ধতি ব্যবহার করে তারা একটি অবুঝ প্রাণীর রক্ত মানুষের শরীরে সঞ্চালন করতে শুরু করলেন। ফলস্বরূপ মানুষের মৃত্যু হতে লাগলো ! এই পদ্ধতির প্রয়োগ তখন বন্ধ হয়ে যায়।

১৬৬৭ সালে জিয়ান ব্যাপ্টিস্ট ডেনিস নামে এক চিকিৎসক ১৫ বছরের এক ছেলের দেহে ভেড়ার রক্ত ট্রান্সফার করেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ভেড়ার শরীর থেকে রক্ত দেয়ার পরও ওই ছেলেটি বেঁচে যায়। কিন্তু এরপর থেকে আর কখনোই কোনো মানুষের দেহে পশুর রক্ত কাজ করেনি। এভাবে কয়েকজন রোগী ম‍ারা যাবার পর চিকিৎসকরা এ ব্যাপারে সতর্ক হয়ে যান। এরপর মানবদেহে অন্য প্রাণীর রক্ত প্রবেশ করার চর্চা আইনগতভাবে নিষিদ্ধ হয়ে যায়। অবশেষে ১৯০১ সালে কার্ল ল্যান্ডস্টাইনার নামে এক ব্যক্তি ব্লাড গ্রুপিং আবিষ্কার করেন। সেই থেকে আজ অবদি তার ‍আবিষ্কার করা পদ্ধতিটি রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের একমাত্র নির্ধায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। 

এসব গবেষণার ফলাফল হিসেবে আমরা খুব স্পষ্ট ধারণা পাই যে, মানবদেহে কোন পশুর রক্ত দেওয়া যাবে না,দিলে সেই রক্ত কাজ করবে না। মানুষের দেহে কেবল মানুষরই রক্ত দেওয়া যাবে এবং কেবল মানুষেরই রক্ত কাজ করবে।

লেখকঃ আনিকা আনতারা প্রধান

0 টি ভোট
করেছেন (4,880 পয়েন্ট)
সম্পাদিত করেছেন
আপনার মধ্যে পশুর রক্ত ​​দিলে কি হবে? প্রতিরোধক প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে এবং প্রতিক্রিয়ার তীব্রতার উপর ভিত্তি করে রক্তকণিকা হয় জমাট বাঁধতে পারে বা WBC দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 379 বার দেখা হয়েছে
16 ফেব্রুয়ারি 2023 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Fatema Tasnim (4,880 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
3 টি উত্তর 331 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 395 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 286 বার দেখা হয়েছে
25 ফেব্রুয়ারি 2021 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন মেহেদী হাসান (141,820 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
1 উত্তর 158 বার দেখা হয়েছে

10,729 টি প্রশ্ন

18,374 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

242,135 জন সদস্য

49 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 49 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. amir

    110 পয়েন্ট

  2. TashaMcCorkl

    100 পয়েন্ট

  3. LashundaDunf

    100 পয়েন্ট

  4. JermaineHaga

    100 পয়েন্ট

  5. SarahQuong9

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য প্রাণী বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া গরম শীতকাল কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...