পানি উপরের দিকে ছুড়ে মারলে দেখবেন বেশকিছু গোলাকার ড্রপলেট সৃষ্টি হয়েছে। এর কারণ শূন্যে থাকা অবস্থায় পানির ফোটায় সবদিক থেকে সমান চাপ প্রযুক্ত হয়। যেকোনো নমনীয় পদার্থকে সবদিক থেকে সমান চাপ দিলে তা গোলাকার অবস্থা লাভ করে।
কচুর পাতায় হাইড্রোফোবিক (পানি-বিকর্ষী) স্তর থাকে।মূলত, পাতার উপরের স্তরে এক ধরণের ওয়াক্স বা মোমের আবরণ রয়েছে।পানির ঘনত্ব মোমের ঘনত্ব অপেক্ষা বেশি এবং অদ্রবণীয়। মোম ও পানির মিশ্রণে পানি নিচে পড়ে থাকে এবং মোম উপরে ভাসতে থাকে।তাই বৃষ্টির সময় বৃষ্টির পানি কচুর পাতার এই মোমের আবরণ বা স্তরের সংস্পর্শে এসে বিকর্ষিত হয়ে নিচে পড়ে যায় কিন্তু জমে থাকে না।কখনো কখনো বৃষ্টির পানি কচুর পাতায় বিন্দু বিন্দু আকারে জমে থাকতে দেখা যায়।এর কারণ হল কচুর পাতার হাইড্রোফোবিক বৈশিষ্ট্য পানি বিকর্ষি হলেও পানির অণুগুলো পরষ্পরকে অতিক্ষুদ্র আয়তন বরাবর হাইড্রোজেন বন্ধন দ্বারা আবদ্ধ করে রাখে যা দেখতে বৃত্তাকার বিন্দু আকৃতির হয়।
চারদিক থেকে থেকে সমান চাপ প্রযুক্ত হওয়ায় পানির ফোটা গোলাকৃতির হয়, তবে অভিকর্ষ বলের কারণে এটি সুষম গোলাকার না হয়ে চ্যাপ্টাকৃতি ধারণ করে।