Warman Hasbi-
গাছের পাতায় তিন ধরণের কালার পিগমেন্ট থাকে; সবুজ, হলুদ এবং কমলা। নাইট্রোজেন এর অভাব এবং বিভিন্ন কারণে যখন পাতায় ক্লোরোফিলের অভাব হয় তখন সবুজ রঙের ঘাটতি হওয়ায় পাতায় থাকা বাকি দুই পিগমেন্ট এর হলুদ এবং কমলা বর্ণ প্রকাশ পেয়ে পাতাকে হলদে করে তুলে, তাছাড়া খারাপ আবহাওয়া (অতি ঠান্ড বা গরম), বিভিন্ন রোগ থেকে পাতাকে রক্ষা করতে অনেকসময় এর উপর এন্টিসায়ানিন এর উচ্চ স্তর হয় যা বেগুনী রঙের পিগমেন্ট, এজন্য তখন পাতা দেখতে বেগুনী দেখায়, অনেক ক্ষেত্রে একারণে লাল ও দেখায়।
যেমন শীতকালে দেখবেন রং পরিবর্তন হয় বেশি, বিশেষ করে ঠান্ডার দেশগুলোতে বেশি।
গাছে বেশি পাতা থাকলে খারাপ আবহাওয়ার প্রভাব বেশি পরবে তাই গাছ তখন পাতা থেকে নাইট্রোজেন এবং ফসফরাস শোষন করে নেয় এবং পরে পাতা ঝরে যায়, নাইট্রোজেনের অনুপস্থিতিতে ক্লোরোফিল ভেঙে যায় এতে সবুজ রং সরে হলুদ কমলা দেখা যায়, আর যেসব গাছে বৈরি আবহাওয়া থেকে রক্ষার জন্য উপরে আবরণ সৃষ্টি হয় সে আবরনে অন্য রঙের(বেগুনী,লাল) পিগমেন্ট থাকায় সেই কালার ফুটে ওঠে।