ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এর ধারণা কিন্তু বেশি পুরাতন না। এটি মাত্র আমাদের মধ্যে ডানা মেলতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে এটি সবদিকে ছড়িয়ে যাবে এবং খুব সহজে পাওয়া যাবে। কিন্তু এর ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় ধরণের প্রভাব আছে।
আমরা যেমন চিকিৎসা ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রয়োগ করে বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক ভুল এড়াতে পারি। সিমুলেটেড ট্রেনিং এর মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিতে পারি। আবার মিলিটারি প্রশিক্ষণেও এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। বিমান প্রশিক্ষণে ভার্চুয়াল রিয়ালিটির ব্যবহার অপরিসীম। ফ্লাইট সিমুলেটর এর মাধ্যমে বিমান চালনার ট্রেনিং নেয়া যায়। আমরা আমাদের সৈনিকদের অনেক উন্নত প্রশিক্ষণ দিতে পারবো এর মাধ্যমে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির কিছু নেতিবাচক প্রভাব আছে যা আমাদের জীবনের সাথে সম্পর্কিত। Dehumanization ইস্যুটি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রভাবে মনুষ্যত্ব হারানো। আসলে জিনিসটা হলো যে আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যে আমাদের বাস্তব থাকা তা খুব বেশি দরকার। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রভাব বেশি বিস্তার হলে তখন মানুষ বেশির ভাগ সময় প্রযুক্তির সংস্পর্শে থাকার জন্যে ভার্চুয়াল জগতে থাকতে পছন্দ করবে। এতে করে সে ইচ্ছেমতন তার কল্পনার জগতে বিচরণ করতে পারবে। এভাবে যদি মানুষ ক্রমাগত googles আর gloves ব্যবহার করে কল্পনার রাজ্যে বিচরণ করে, তাহলে মানব সমাজ বিলুপ্ত হতে বেশিদিন লাগবে না। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির জন্যে মানুষের দৃষ্টিশক্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।