প্রত্যেক মৌচাকে ৩০০-৮০০ পুরুষ মৌমাছি বসবাস করে। ড্রোনগুলো খুবই অলস প্রকৃতির এবং তাদের একমাত্র কাজ হচ্ছে প্রজননে অংশ নেয়া।
কর্মী মৌমাছিদের কাজের পরিধি বিস্তৃত। বয়স অনুযায়ী তাদের উপর বিভিন্ন কাজের ভার বর্তে। তারাই মূলত সকল কাজের কাজী। একটি মৌচাকের প্রায় ৯৯ ভাগ মৌমাছিই কর্মী মৌমাছি এবং এরা নারী মৌমাছি তবে এদের প্রজনন ক্ষমতা নেই। মৌচাক তৈরি, রক্ষণাবেক্ষণ, পুরুষ, রাণী এবং লার্ভাদের জন্য খাবার সংগ্রহ, পুরনো লার্ভা ভক্ষণ, লার্ভাদের লালন পালন, মধুর নির্যাস সংগ্রহ কিংবা হুল ফুটানোর মাধ্যমে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার যারা জানান দেয় যারা তারা কিন্তু এই কর্মী মৌমাছিরাই।
এই কর্মী মৌমাছিদের কাজ বহু গুণ বেড়ে যায় গ্রীষ্মকালে যখন ফুলে মধু আসে, তখন তারা বাঁচে মাত্র ৬ সপ্তাহ অথচ শীতের মৌসুমে এরা প্রায় ৯ মাস বাঁচে।কর্মী মৌমাছিরা প্রয়োজনে বিদ্রোহ করতে পারে কিংবা কোন কারণে রাণী মৌমাছির অক্ষমতা প্রকাশ পেলে তাকে মেরেও ফেলতে পারে। এবার আসা যাক ড্রোন মৌমাছিদের কথায়। এদের স্বভাব কিছুটা অদ্ভুত বটে কেননা মৌচাকে তাদের তেমন কোনো কাজ করতে হয় না এমনকি তাদের খাবারও মুখে তুলে দেয় কর্মী মৌমাছি। তাহলে ড্রোন মৌমাছির জীবনের উদ্দেশ্য কি? এদের জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো রাণী মৌমাছির সাথে মিলন। রাণীর সাথে একবার মিলনের পর ড্রোন মৌমাছি গুলোর জীবনাবসান ঘটে।