প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় বরফের মাঝে টিকে থাকার ক্ষমতাসম্পন্ন প্রাণীর সংখ্যা কম নয়। তাই আর্কটিক বা উত্তর মেরুর বরফাচ্ছাদিত অঞ্চলে গড়ে উঠেছে স্বতন্ত্র এক বাস্তুসংস্থান। এ ধরনের পরিবেশে কয়েক কোটি বছরের বেশি সময় ধরে বাস করছে বেলুগা তিমি। এরা সাদা তিমি নামেও পরিচিত। সুমধুর কণ্ঠের জন্য এরা বিখ্যাত। পূর্ণবয়স্ক বেলুগা তিমির সারা শরীর সাদা হলেও বাচ্চা অবস্থায় গায়ের রং থাকে গাঢ় ধূসর। মাথা সামনের দিকে উঁচু। তাই এদের আলাদা করে চিনে নিতে কোনো বেগ পেতে হয় না। এরা সমুদ্রের আটশ’ মিটার গভীর পর্যন্ত যেতে পারে এবং এক ডুবে প্রায় ২৫ মিনিট পানির নিচে থাকতে পারে। অন্যান্য তিমির মতো বেলুগার পিঠে পাখনা নেই।
অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখতে বেলুগার শরীরে বেশ কিছু অভিযোজন ঘটেছে। পিঠের পাখনা বিলুপ্তিও এ ধরনের একটি প্রক্রিয়া। বেলুগা তিমি মাথা ওপর-নিচে, ডানে-বায়ে বিভিন্ন দিকে ঘোরাতে পারে। এরা সামাজিক দলবদ্ধ প্রাণী এবং এক একটি দলে সাধারণত দশটি তিমি থাকে। পরিযায়নের সময় কয়েকটি দল মিলে কয়েকশ’ তিমির দল হয়। এরা নিজেদের মধ্যে কথা বার্তা বলে, যেমন- শিস দিয়ে, ঝনঝন শব্দ করে ভাব বিনিময় করে। স্তন্যপায়ী বেলুগা তিমি মাছ, খোলসওয়ালা প্রাণী, কৃমি সবই খায়। প্রতি তিন বছর পরপর একটি শাবকের জন্ম দেয়।
ক্রেডিট: যুগান্তর