আমরা আরো একটি মহাসাগর পাচ্ছি। পৃথিবীর মানচিত্রে যুক্ত হচ্ছে নতুন একটি মহাসাগর। দীর্ঘদিনের জল্পনা শেষে দক্ষিণ মহাসাগরকে (সাউদার্ন ওশান) পঞ্চম মহাসাগর হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি সোসাইটি। ১৯১৫ সালে মানচিত্র নির্ধারণের পর বিশ্বের ৭১ শতাংশ পানি এলাকাকে আটলান্টিক, প্রশান্ত, ভারত ও আর্কটিক মহাসাগর হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিলেন সোসাইটির মানচিত্র নির্মাতারা।
এবার অ্যান্টার্কটিকার পানিতে বিশেষ বৈশিষ্ট্য খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এতে অন্যান্য মহাসাগরের থেকে পরিবেশগত পার্থক্যের বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ায় দক্ষিণ মহাসাগরকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফি সোসাইটির ভূগোলবিদ অ্যালেক্স টেইট বলেন, ভৌগোলিক বিশেষত্বের জন্য দক্ষিণ মহাসাগরকে আলাদা তালিকাভুক্ত করে গবেষণা করা হচ্ছিল। এর সঙ্গে অন্যান্য মহাসাগরের একাধিক পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।
আন্তর্জাতিকভাবে কখনও সম্মত হওয়া যায়নি বলে এতদিন মানচিত্রে স্থান দেওয়া যায়নি। দীর্ঘদিনের গবেষণার পর গত ৮ জুন বিশ্ব মহাসাগর দিবসে দক্ষিণ মহাসাগরকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয় ন্যাশনাল জিওগ্রাফি সোসাইটি। এই সোসাইটি অনুসরণ করে ইন্টারন্যাশনাল হাইড্রোগ্রাফিক অর্গানাইজেশন নামের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থাকে। এই সংস্থাটি ১৯৩৭ সালেই দক্ষিণ মহাসাগরকে আলাদা মহাসাগর হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও পরে ১৯৫৩ সালে তা প্রত্যাহার করে নেয়। এখনও ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেনি সংস্থাটি।
সমুদ্র বিজ্ঞানীদের মতে, দক্ষিণ মহাসাগরের নীল জলরাশি মনোমুগ্ধকর। এ অঞ্চলের হিমশীতল পাহাড়, হিমবাহ আর নীল পানি একে স্বর্গীয় রূপ দিয়েছে। এর আয়তন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিগুণেরও বড়।
ক্রেডিট: আজকের বাংলাদেশ