→ কোষে ডিএনএ ও আরএনএ এর সঠিক পরিমাণ বজায় রাখতে সাহায্য করে।
→ দেহ ও দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের আকার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
→ ক্ষয়প্রাপ্ত ও মৃত কোষের প্রতিস্থাপনে সাহায্য করে।
→ কিছু জীবে (যেমন: এককোষী ইস্ট) অযৌন প্রজনন বা বংশবৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
→ জনন কোষের (যেমন: শুক্রাণু) সংখ্যা বৃদ্ধিতে।
→ জাইগোট থেকে ভ্রূণে পরিণত হতে মাইটোসিসের ভূমিকা অনেক।
→ দেহের বিভিন্ন অঙ্গের আকার বৃদ্ধিতে যেমন মাইটোসিসের ভূমিকা আছে, ঠিক তেমনি এই নিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজনে যখন নিয়ন্ত্রণ থাকে না, তখন এটি রূপ নেয় টিউমারে। আর টিউমার থেকে হয় ক্যান্সার।
→ একটা সাধারণ দেহ কোষ থেকেও হতে পারে ক্যান্সার। কোষের নিয়ন্ত্রক যে ডিএনএ, সেখানে যদি কোনোভাবে পরিবর্তন চলে আসে, তবে তাকে বলে মিউটেশন।
এই মিউটেশন সৃষ্টিকারী উপাদানগুলোকে বলা হয় মিউটাজেন (mutation + genesis = mutagen)। কোষের বিভাজন নিয়ন্ত্রণকারী জিনগুলোতে মিউটেশন ঘটলে সাধারণত টিউমার হয়। যেমন:
→ BRCA1 জিনকে বলা হয় ব্রেস্ট ক্যান্সারের জিন। এই জিন টিউমার তৈরিতে বাধা দেয়। এই জিনে যদি মিউটেশন হয়, তখনো টিউমার হতে পারে। টিউমার দুই ধরনের-
১) বিনাইন
২) ম্যালিগন্যান্ট
যেখানে টিউমার হয়েছে, সেখান থেকে যদি আর না ছড়ায়, তবে তাকে বিনাইন টিউমার বলে। কিন্তু যে সকল টিউমারের মধ্যে ক্যান্সার কোষ রয়েছে। অর্থাৎ, যা পরবর্তিতে আরো আরো বিভাজিত হয়ে টিউমারের বিস্তৃতি ঘটাবে, তাকে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার বলে।
টিউমারের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পিছনে মিউটেশন ছাড়াও আরেকটি কারণ হচ্ছে এনজিওজেনেসিস।
টিউমারগুলো রক্তে কিছু প্রোটিন ছেড়ে দেয় যা রক্তনালিকাকে শাখা তৈরি করে রক্ত ও গ্লুকোজ সাপ্লাইয়ের ব্যবস্থা করতে উদ্বুদ্ধ করে। ফলে টিউমার বাড়তেই থাকে। তাছাড়া টিউমার কোষ সাধারণ কোষের মত মরণশীল নয়। এরা ক্রমাগত বিভাজিত হতেই থাকে। সুতরাং এদের বিভাজন বন্ধ করতে রেডিয়েশন বা ডিএনএ রেপ্লিকেশন বন্ধ করা ছাড়া উপায় থাকে না।
তবে মাইটোসিসের অপকারিতাটা নিতান্তই দূর্ঘটনা। এছাড়া ছোট্ট বাচ্চাটা থেকে বড় হওয়া বলো কিংবা ক্ষত শুকানোই বলো, মাইটোসিস ছাড়া কিন্তু উপায় নেই!