ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলো কী? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+3 টি ভোট
902 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (28,320 পয়েন্ট)

4 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (4,990 পয়েন্ট)
ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলো কী?

ধূমপান ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ফুসফুসের রোগ, ডায়াবেটিস এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রতিরোধমূলক পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) সৃষ্টি করে, যার মধ্যে এম্ফেসিমা এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্রঙ্কাইটিস রয়েছে। ধূমপান যক্ষ্মার ঝুঁকি, নির্দিষ্ট চোখের রোগ এবং বাতজনিত সংক্রমণ সহ প্রতিরোধ ব্যবস্থার সমস্যা বাড়ায়। ধূমপানের সংস্পর্শে প্রতি বছর অনাবশ্যক প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে প্রায় 41,000 এবং শিশুদের মধ্যে 400 মৃত্যুর অবদান রয়েছে। সেকেন্ডহ্যান্ড ধূমপান বড়দের মধ্যে স্ট্রোক, ফুসফুস ক্যান্সার এবং করোনারি হার্ট ডিজিজের কারণ হয়। যেসব শিশুরা ধূমপানের ধোঁয়ায় আক্রান্ত হয় তাদের হঠাৎ শিশুর মৃত্যুর সিন্ড্রোম, তীব্র শ্বাস প্রশ্বাসের সংক্রমণ, মধ্য কানের রোগ, আরও মারাত্মক হাঁপানি, শ্বাসকষ্টের লক্ষণ এবং ফুসফুসের বৃদ্ধি ধীর হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
0 টি ভোট
করেছেন (28,320 পয়েন্ট)

এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা একবার কৌতূহল বশত একটি সিগারেট পান করেছে তাদের অনেকেই পরবর্তীতে পুরাদস্তুর ধূমপায়ী হয়ে গেছেন। ধূমপান যে কত প্রকার ক্ষতি তা বলে শেষ করা যাবে না। নিম্নে কিছু ধূমপানের ক্ষতিকর দিক সমূহ তুলে ধরা হল।

১. নেশাগ্রস্থ করে: সিগারেটের ধোঁয়াতে যে নিকোটিন থাকে তা হিরোইন অপেক্ষা শক্তিশালী। যা একজন সুস্থ ব্যাক্তিকে নেশাগ্রস্থ করে তুলে।

২. অপমৃত্যু ঘটায়: ধুমপান মানুষের অপমৃত্যু ঘটায়। আন্তর্জাতিক স্বাস্হ সংস্হা তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেন যে, সমগ্র পৃথীবিতে ধুমপানের কারনে যত বেশি অপমৃত্যুর ঘটন ঘটে অন্য কোন রোগ-ব্যধির কারনে তত বেশি অপমৃত্যু ঘটেনা। এর জন্য বিশ্বে প্রতি বছর মারা যায় প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষ। ১৯৫০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত শুধু উন্নয়নশীল দেশগুলোতেই মারা গেছে প্রায় ছয় কোটি লোক। আর এদের অর্ধেকই ছিল যুবক শ্রেণী।

৩. রোগপ্রতিরোধ কমায় : ধূমপানে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ধুমপানের কারনে ফুসফুসে ক্যান্সার, শরীরে তাপ, প্রদাহ, জ্বালাপোড়া ইত্যাদি দীর্ঘ মেয়াদী রোগব্যাধী দেখা যায়। ধুমপানের কারনে ফুসফুসে ক্যান্সার, শরীরে তাপ, প্রদাহ, জ্বালাপোড়া ইত্যাদি দীর্ঘ মেয়াদী রোগব্যাধী দেখা যায়।

৪. গৃহ হারা: ধূমপানকারী পরিবার, দেশে ও সমাজে সর্বমহলে একজন ঘৃণিত ব্যক্তি হিসাবেই বিবেচিত হয়। ধূমপানকারী পরিবার থেকে ধীরে ধীরে দূরে রাখে।

৫. অপচয়: ধূমপান নিঃসন্দেহে একটি অপচয়।

৬. শ্রবণশক্তি কময় : একজন ধূমপায়ীর শ্রবণশক্তি কম থাকে। সম্প্রতি উইনকনসিন বিশ্ববিদ্যালয় ৩৭৫০ জন লোকের উপর এক সমীক্ষা চালায়। সেখানে লক্ষ্য করা যায় যে, অধূমপায়ীদের চেয়ে ধূমপায়ীদের শ্রবণশক্তি কমার সম্ভাবনা শতকরা ৭০ ভাগ বেশী। এক গবেষকরা বলা হয়েছে যে, একজন ধূমপায়ীর ধূমপানকালীন সময়ে কোন অধূমপায়ী উপস্থিত থাকলে তারও একই সমস্যা দেখা দেবে।

৬. কন্ঠনালীতে ক্যান্সার: ধূমপান সরাসরি গলায় আক্রমণ করে। এজন্য কন্ঠনালীতে ক্ষতি হয়।  ধুমপানের কারনে কন্ঠনালীতে ক্যান্সার হয়ে থাকে।

৭. রক্তনালীগুলো দুর্বল করে : ধূমপানের কারণে রক্ত নষ্ট হয়ে যায়। এর কারনে রক্তনালীগুলো দুর্বল হয় এবং অনেক সময় একজন ধুমপায়ীর রক্তের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ধূমপান উচ্চ রক্ত চাপের কারণ হয়।

৮. আদর্শহীন ব্যক্তিতে পরিণত: একজন ধূমপায়ী দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে ব্যার্থ হয়। ধূমপায়ীরা ছেলে-সন্তান এবং উত্তরসূরীদের জন্য একজন আদর্শহীন ব্যক্তিতে পরিণত হয়।

৯. রনশক্তি কমিয়ে দেয়: একজন ধূমপায়ী লক্ষে এগিয়ে যেতে পারে না কারণ এটি স্মরনশক্তি কমিয়ে দেয় এবং মনোবল দুর্বল করে দেয়।

১০. ইন্দ্রিয় ক্ষমতা দুর্বল করে: ধূমপানের আরেকটি বড় সমস্যা হলো ইন্দ্রিয় ক্ষমতা দুর্বল করে; বিশেষ করে ঘ্রান নেয়া এবং স্বাদ গ্রহনের ক্ষমতা লোপ পায়।

১১. ক্যান্সার হয় :  ধূমপানকারীর ফুসফুস, মুত্রথলি, ঠোঁট, মুখ, জিহবা ও কণ্ঠনালি, কিডনী ইত্যাদিতে ক্যান্সার হয়।

১২. দৃষ্টিশক্তি লোপ পায়: অতিরিক্ত ধুমপানের কারনে দৃষ্টিশক্তি লোপ পায়।

১৩. হার্টের সমস্যা বাড়ায় : হার্টের সাথে সম্পৃক্ত ধমনিগুলো ব্ল¬¬ক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়। এমনকি বক্ষ ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

১৪. খারাপ লোক হতে সহায়তা :  ধুমপান মানুষকে খারাপ মানুষের সাথে উঠা বসায় বাধ্য করে। ধীরে ধীরে সে খারাপ পথে চলে যায়। সমাজ বিরোধী কাজে লিপ্ত হয়।

১৫. পেটের সমস্যা বৃদ্ধি: ধূমপানের ফলে হজমশক্তি কমে যায়, ধারণক্ষমতা লোপ পায় এবং শরীর ঢিলে হয়ে যায়। ধূমপানের ফলে পাকস্থলী ক্ষত হ’তে থাকে এবং যকৃৎ শুকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

১৬. মুত্রনালীতে বাধা : ধূমপানের ফলে মুত্রথলি যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয় এবং প্রস্রাব বিষাক্ত হয়।

১৭. যৌনশক্তি বিলুপ্ত করে : ধুমপানের কারনে যকৃত শুকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ধূমপানের ফলে যৌনশক্তি বিলুপ্ত হ’তে থাকে।

১৮. জ্ঞান-বুদ্ধি লোপ: ধূমপান মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধি লোপ করে দেয় । কারণ সে ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর জেনেও সে তা পান করে। ধূমপায়ী সব সময় দুর্বলতা অনুভব করে এবং আতঙ্কগ্রস্ত থাকে।

- Dr. Afsana Begum

0 টি ভোট
করেছেন (7,980 পয়েন্ট)
ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলো:

ধূমপান একটি মারাত্মক ব্যাধি, অত্যন্ত ক্ষতিকর ও বিপদজনক রোগ। কিন্তু তিক্ত হলে ও সত্য বর্তমান দুনিয়ার অধিকাংশ মানুষ এ ধরণের একটি মারাত্মক ব্যধিতে আক্রান্ত। এর ভয়ানক পরিণতি সম্পর্কে জানেনা, এমন লোক খুব কমই আছে। ধূমপানের ক্ষতি এবং পরিণতি সম্পর্কে জানার পর, তা হালাল বলার কোন অবকাশ আছে বলে আমি মনে করিনা। ধূমপানকারী দেশে সমাজে সর্বমহলে একজন ঘৃনিত ব্যক্তি হিসেবেই চিন্হিত হয়। যে ধূমপানের মত বদঅভ্যাসে আক্রান্ত, তাদের যে সব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তা এখানে আলোচনা করা দরকার। নিম্নে এর কয়েকটি পরিণতি সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

১. ধূমপান আল্লাহর নাফরমানি এবং তার হুকুমের অবাধ্য হওয়া। আল্লাহ নিশ্চয় তাকে শাস্তি প্রদান করবেন।
২. আল্লাহ তাআলা ধুমপান এবং এর সাথে সম্পৃক্ত সকলকে ঘৃনা করেন।
৩. ধুমপানকারী ফেরেশতাদের কষ্ট দেয়।
৪. যে সব ঈমানদার ব্যক্তিবর্গ ধুমপান করে না, একজন ধুমপায়ী তাদের কষ্টের কারন হয়।
৫. ধুমপান নির্মল পরিবেশকে দুষিত করে।
৬. ধুমপান অযথা খরচ, এতে কোন দুনিয়া ও আখেরাতের বিন্দু পরিমাণও উপকার হয় না।
৭. আর ধুমপান হল অপচয়, আল্লাহ তাআলা অপচয় করার ব্যপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। তিনি বলেন। তোমরা অপচয় কর না, নিশ্চয় অপচয়কারীদের আল্লাহ পছন্দ করেন না।
৮. এটির মাধ্যমে মন্দ এবং খারাপ কাজে সহযোগিতা হয়। আল্লাহ বলেন: তোমরা ভাল ও তাকোয়াপূর্ন কাজে সহযোগিতা কর আর মন্দ ও খারাপ কাজে সহযোগিতা কর না।
৯. ধুমপান দ্বারা ইসলামের দুশমনদের ইসলামের বিপক্ষে সহযোগিতা করা।
১০. ধুমপানকারী গুনাহের কাজকে হালকা করে দেখে। আর এ কথা আমাদের সকলের জানা, গুনাহকে হালকা করে দেখা সাধারন গুনাহ অপেক্ষা বড় পাপ। রাসূল (সাঃ) বলেন: আমার সকল উম্মতকে ক্ষমা করা হবে, তবে যারা গুনাহকে খাট করে দেখে তারা ব্যাতীত।
১১. ধুমপানের সকল সামগ্রী নাপাক ও দুর্গন্ধময় এবং ধুমপানকারীকেও এভাবে নাপাক ও দুর্গন্ধময় করে।
১২. ধুমপান দ্বারা অনর্থক কাজে মানুষের সময় নষ্ট হয়।
১৩. আর যারা ধুমপানের লেনদেন করে, তারা সাধারনত ইসলামের দুশমনদের সাথে সাদৃষ্য রাখে।
১৪. ধুমপান একজন মানুষের সম্ভ্রম হনন করে, সম্মান হানি ঘটায়।
১৫. ধুমপান একজন মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি বিলোপ করে এবং তা তার নির্বোধ বা জ্ঞান-হীন হওয়াকেই বুঝায়। কারন সে নিশ্চিত জানে যে ধুমপান তার জন্য ক্ষতিকর, তার পরও সে পান করে। এতে তার বোকামীই প্রকাশ পায়।
১৬. ধুমপানকারী তার ছেলে সন্তান এবং উত্তরসূরীদের জন্য একজন আদর্শহীন ব্যক্তিকে পরিণত হয়।
১৭. আর ধুমপানকারীর জন্য ইবাদত-বন্দেগী করা কঠিন হয়।
১৮. এ কাজটি ধুমপানকারীকে ইলম এবং যিকরের মজলিশ হতে দূরে রাখে এবং তাকে এ ধরনের মজলিশে উপস্হিত হতে হয়।
১৯. ধুমপান মানুষকে খারাপ মানুষের সাথে উঠা বসায় বাধ্য করে।
২০. ধুমপানের অভ্যাস একজন মানুষকে রোযা রাখা হতে বিরত রাখে। কারন, রোযা রাখলে সে ধুমপান করতে পারে না।
২১. ধুমপানের মাধ্যমে যেসব উপার্জন হয়, তা সম্পূর্ন হারাম। কারন, ধুমপানের ব্যবসা করা এবং এর লেনদেন সম্পূর্ন হারাম।
২২. ধুমপান মানুষের অপমৃত্যু ঘটায়। আন্তর্জাতিক স্বাস্হ সংস্হা তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেন যে, সমগ্র পৃথীবিতে ধুমপানের কারনে যত বেশি অপমৃত্যুর ঘটন ঘটে অন্য কোন রোগ-ব্যধির কারনে তত বেশি অপমৃত্যু ঘটেনা।
২৩. ধুমপানের কারনে ফুসফুসে ক্যান্সার, শরীরে তাপ, প্রদাহ, জ্বালাপোড়া ইত্যাদি দীর্ঘ মেয়াদী রোগব্যাধী দেখা যায়।
২৪. ধুমপানের কারনে কন্ঠনালীতে ক্যান্সার হয়।
২৫. ধুমপানের কারনে রক্তনালীগুলো দুর্বল হয় এবং অনেক সময় একজন ধুমপায়ীর রক্তের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
২৬. এটি স্মরনশক্তি কমিয়ে দেয় এবং মনোবল দুর্বল করে দেয়।
২৭. ইন্দ্রিয় ক্ষমতা দুর্বল করে; বিশেষ করে ঘ্রান নেয়া এবং স্বাদ গ্রহনের ক্ষমতা লোপ পায়।
২৮. অতিরিক্ত ধুমপানের কারনে দৃষ্টিশক্তি লোপ পায়।
২৯. মানুষ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং বার বার সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়।
৩০. হার্ডের সাথে সম্পৃক্ত ধমনীগুলো ব্লগ হয়ে যায়।
৩১. বক্ষ ব্যাধীতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
৩২. রক্তের উচ্চ চাপের কারন হয়।
৩৩. যৌনশক্তি বিলুপ্ত হয়।
৩৪. হজমশক্তি কমায় এবং ধারনক্ষমতা লোপ পায়, আর তার শরীর ঢিলে হয়ে যায়।
৩৫. ধুমপায়ী সব সময় দুর্বলতা অনুভব করে এবং আতঙ্কগ্রস্ত থাকে।
৩৬. ধুমপানকারীর ঠোটে মুখে জিহ্বা গলনালি ইত্যাদীতে ক্যান্সার হয়।
৩৭. পাকস্হলী ক্ষত হতে থাকে।
৩৮. ধুমপানের কারনে যকৃত শুকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩৯. ধুমপানের কারনে মুত্রথলিতে ক্যান্সার হয় এবং মুত্রথলি যক্ষায় আক্রান্ত হয়।
৪০. কিডনিতে ক্যান্সার হয়।
৪১. পেশাব বিশাক্ত হয়।

সোর্স: সদালাপ
0 টি ভোট
করেছেন (141,850 পয়েন্ট)

ধূমপান আসলেই একটি ব্যাধি। এটি সামাজিক ও শারীরিক ব্যাধি। ধূমপান অনেক সামাজিক বিপর্যয় নিয়ে আসে। আমরা একটু পথে-ঘাটে তাকালে দেখব, অসংখ্য মানুষ জলন্ত সিগারেট হাতে নিয়ে ঘুরছে। এটি একটি ভয়াবহ দিক। তবে যারা এ রকম করছে, তাদের কাছে এটি বড় কোনো বিষয় মনে হয় না। তারা এটিকে স্বাভাবিক মনে করে। মনে করে, এটি কোনো ব্যাপারই নয়। এটি আসলেই খুব জঘন্য একটি বিষয়। এর প্রভাব খুবই মারাত্মক।

এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে, আমি একটি কবিতার লাইন বলতে চাই। ‘জ্বলন্ত সিগারেটে জ্বলে এ জীবন,/বুঝতে পারে না তবু প্রতারিত মন,/ধূমপানে পরিশেষে ঘনায় মরণ, তবু কেন ধূমপান চলে আজীবন?’

ধূমপানের প্রভাব কীভাবে বিস্তার হয় বলি। ধূমপানে তো অনেক ধোঁয়া বের হয়। চলাফেরার সময় এই যে ধোঁয়া বের হয়, এটি কিন্তু অনেক মানুষ সইতে পারে না। ধূমপানের ধোঁয়ার কাছে আসলে তার কাশি শুরু হয়ে যায়।

এই ধোঁয়ায় কিন্তু অনেক বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো, নিকোটিন। এ ছাড়া অসংখ্য বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে। অনেক মানুষ কিন্তু এই ধোঁয়ায় বিরক্ত হয়। তবে যারা ধূমপান করে তারা বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয় না।

আবার যারা ধূমপান করে না তারা মনে করে, আমি তো ভালোই আছি। কিন্তু ধূমপায়ীর আশপাশে থাকার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সবাই হচ্ছে। পরোক্ষ ধূমপানে কারণে সমস্যা হয়। যারা ধূমপান করে তাদের তো অনেক ক্ষতি হয়। তবে যারা ধূমপান করে না, তারাও এই পরিবেশের কারণে, ধোঁয়ায় কারণে পরোক্ষভাবে  আক্রান্ত হচ্ছে। এটি তো পথে-ঘাটের ব্যাপার। তবে যারা বাড়িতে ধূমপান করে, যাদের ছোট শিশু তারাও কিন্তু আক্রান্ত হয়ে যায়। যারা বাড়িতে ধূমপান করছে তাদের কারণে কিন্তু ঘরের ছোট শিশুটি নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিসে আক্রান্ত হতে পারে। এমনকি মারাও যেতে পারে। এ বিষয়টি মানুষের জানা নেই। মানুষ বোঝে না। ধূমপান করাকে অনেকে ঐতিহ্য মনে করে। অনেকে অন্যকে প্ররোচিতও করে ধূমপান করার জন্য। এই মানসিকতার পরিবর্তন দরকার।

ক্রেডিট: এনটিভি

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+5 টি ভোট
1 উত্তর 350 বার দেখা হয়েছে
+4 টি ভোট
1 উত্তর 317 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 1,855 বার দেখা হয়েছে
+4 টি ভোট
2 টি উত্তর 593 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 453 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,539 জন সদস্য

88 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 88 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  2. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  4. vz99comreview

    100 পয়েন্ট

  5. sunwinaudio

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...